অনিয়ম, কারচুপি ঠেকাতে আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের দিন সকালে প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান।
এতে বলা হয়েছে, যেসব উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ব্যালটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে সেসব নির্বাচনী এলাকার সব ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের দিন সকালে ব্যালট পেপার প্রেরণ করতে হবে। তবে দুর্গম পার্বত্য এলাকা, চর, দ্বীপাঞ্চল বা হাওড়বেষ্টিত এলাকার যে-সব ভোটকেন্দ্রে সকালে ব্যালট পেপার পৌঁছানো সম্ভব হবে না তার তালিকা ন্যূনপক্ষে ০৭ (সাত) দিন পূর্বে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে অবহিত করে কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৮মে দেশের ১৫২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে।
এগুলোর মধ্যে পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর, পিরোজপুর, জামালপুর, মানিকগঞ্জ, শরিয়তপুর, চাঁদপুর ও কক্সবাজার জেলার ২২ উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ করা হবে।
এদিকে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য সর্বশেষ হালনাগাদকৃত ভোটার তালিকার ছবিসহ ও ছবি ছাড়া সিডি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ হতে সংগ্রহপূর্বক উল্লিখিত নির্বাচনে ব্যবহারের লক্ষ্যে আর্থিক বিধি-বিধান অনুসরণ করে ০৩ (তিন) সেট ছবিসহ ভোটার তালিকা লেজার প্রিন্টার মুদ্রণ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
এক্ষেত্রে ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারসহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ছবিসহ ভোটার তালিকা ব্যবহার করবেন। তবে প্রার্থীকে ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি ক্রয় করতে হবে।
এ বিষয়ে ভোটার তালিকা বিধিমালা, ২০১২ এর বিধি ৩০ এর উপবিধি (৪) (খ) অনুযায়ী, ‘পৌর এলাকার ক্ষেত্রে ওয়ার্ড ভিত্তিক এবং পল্লী এলাকার ক্ষেত্রে ইউনিয়ন ভিত্তিক ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার ইলেক্ট্রনিক কপি ৫০০ (পাঁচশত) টাকা হারে পরিশোধ সাপেক্ষে সরবরাহ করা যাবে।’
ভোটার তালিকা বিধিমালা অনুযায়ী, আগ্রহী সকল প্রার্থীকে রিটার্নিং অফিসারসহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি সংগ্রহের জন্য নির্ধারিত অর্থ ট্রেজারি চালান পে-অর্ডারের মাধ্যমে টাকা জমা দিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই কোনো ভোটার, প্রার্থী, নির্বাচনী এজেন্ট, পোলিং এজেন্ট বা অন্য কাউকেও ছবিসহ ভোটার তালিকার সিডি বিক্রয় করা যাবে না বা তার অনুলিপি প্রদান করা যাবে না।
ছবিসহ ভোটার তালিকার কোনো ফটোকপিও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অনুমতি বা নির্দেশনা ছাড়া তৈরি করা যাবে না। ছবিসহ ভোটার তালিকা শুধুমাত্র নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা ব্যবহার করবেন।
আগামী ৮মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।
নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।
মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি