ঈদের পর তিন দিন পার হয়ে গেলেও ফিরতি যাত্রীর চাপ নেই রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট নৌ টার্মিনালে। বরং এখনও রাজধানী ছাড়ছেন অনেকে। বিভিন্ন প্রয়োজনে ঈদের ছুটিতে ঢাকায় থেকে যাওয়ায় ঘাটে ভিড় করছেন গ্রামে ফেরার জন্য। তবে ঈদের আগে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীর চাপ থাকায় ঈদের পরও ফিরতি যাত্রীর চাপ থাকার প্রত্যাশা ছিল লঞ্চ সংশ্লিষ্টদের। আজ শনিবার (২২ জুন) শেষ ছুটির দিন হওয়ায় যাত্রীর চাপ বাড়ার প্রত্যাশা তাদের।
শুক্রবার বিকাল থেকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ও ঘাটের পন্টুন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পন্টুনে বাঁধা রয়েছে সারি সারি লঞ্চ। যাত্রী উপস্থিতি মোটামুটি। মূলত ফিরতি যাত্রী পাওয়ার আশায় তুলনামূলক কম যাত্রী নিয়েই গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো। চাঁদপুর ও মুন্সীগঞ্জের লঞ্চগুলোতে যাত্রী উপস্থিতি মোটামুটি থাকলেও বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠির লঞ্চগুলোতে যাত্রী নেই বললেই চলে।
সদরঘাট ট্রাফিক ইন্সপেক্টর বেলায়েত হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার ৯২টা লঞ্চ এসেছে আর ৮৮টা ছেড়ে গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪৫টা এসেছে আর ৪২টা ছেড়ে গেছে।
লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের পর যাত্রীর চাপ কম থাকে এমনিতেই। মূলত ফিরতি যাত্রী নিতে লঞ্চ ছাড়া হচ্ছে। তবে ফিরতি যাত্রীর চাপও আহামরি নয়। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর সড়ক পথে যোগাযোগ শুরু হওয়ায় নৌপথে যাত্রী কমেছে। এবার ঈদের আগে কিছুটা বেড়েছিল নৌপথে যাত্রীর চাপ। ফলে প্রত্যাশা ছিল ফিরতি যাত্রীও ভালো হবে। তবে তেমনটা না হওয়ায় হতাশ তারা। বিশেষ করে ঈদের আগে যাত্রী থাকায় নির্বিঘ্নে বেতন বোনাস পাওয়ার আশা ছিল লঞ্চকর্মীদের।
বরিশালগামী পারাবত ১০ লঞ্চের কেরানী রিফাত বলেন, ‘যাত্রী নাই এখন, ঈদের পর এমনিতেও থাকে না। আমরা যাচ্ছি ফিরতি যাত্রী নেওয়ার জন্য। তাই অল্প কয়েকজন যাত্রী যা হয় নিয়ে আসবো। ঈদের পরও অনেকে গ্রামে যাচ্ছে। ঈদের আগে বিভিন্ন সমস্যায় তারা যেতে পারেনি। অন্যসময় ২টা লঞ্চ ছাড়ে। আজ ৩টা যাচ্ছে। কোনোটাতেই তেমন যাত্রী নাই।’
একই রুটের সুরভী ৯ লঞ্চের স্টাফ রাতুল বলেন, ‘ফিরতি যাত্রী আনতে যাবো, তাই আজ ছেড়ে যাবে আমাদের লঞ্চ। তবে ফিরতি যাত্রীও তেমন নাই বললেই চলে। কোনও লঞ্চই ঈদের পর শতভাগ ভর্তি হয়ে এ ঘাটে আসেনি বরিশাল থেকে। ঈদের আগে যেমন যাত্রী ছিল, ফিরতি যাত্রী তেমন নাই। শনিবার ছুটির শেষ দিন, তাই অনেক যাত্রী ফিরতে পারে। বরিশাল থেকে ১১টা লঞ্চ আসার কথা রয়েছে।’
সুন্দরবন ১৫ লঞ্চের স্টাফ সাগর বলেন, ‘ঈদের আগে চাপ ছিল, আমরা খুশি ছিলাম। কয়েকবছর পর এবার ৮-১০টা করে লঞ্চ ছেড়েছে। তবে ফিরতি যাত্রী ততটা নেই। পদ্মা সেতু হওয়ার পর এখন লঞ্চ কম চলে। আমাদের বেতন-বোনাসে সমস্যা হয়। ব্যবসা না হলে মালিক টাকা দেবে কীভাবে। এবার যাওয়ার সময় যেমন যাত্রী ছিল আসার সময় ততটা থাকলে বেতন-বোনাস ভালোভাবে পেয়ে যেতাম।’
শুধু লঞ্চ শ্রমিকরা নয়, ফিরতি যাত্রী কম থাকায় প্রভাব পড়েছে ঘাটের ভাসমান ব্যবসায়ী ও অন্য পেশায় জীবিকা নির্বাহকারীদের ওপরও। ঘাটে ডিম বিক্রি করা সাইফুল বলেন, ‘যাওয়ার সময় ভালো যাত্রী হয়েছে, আসার সময় তো যাত্রী নেই। ঈদের দুই দিন পর যাত্রী হয়। বৃহস্পতিবার ১০০টা ডিম নিয়ে আসছিলাম বিক্রি হয়নি অর্ধেকও। তাই আজ কম ডিম আনছি।’
টার্মিনালে কুলির কাজ করা মতিউর রহমান বলেন, ‘ঈদের সময় ছাড়া আমাদের তো কাজ থাকে না তেমন। যাওয়ার সময় যাত্রী ভালো ছিল। আসার যাত্রী তেমন হচ্ছে না। কুলির কাজ করে সংসার চলে না। ভাবছিলাম ফিরতি যাত্রী ভালো হলে সংসারে কিছু কাজ করবো। তার আর সুযোগ হলো না।’
এদিকে ঘাটে যাত্রী উপস্থিতি কম হলেও সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সদরঘাট নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, ‘ঘাটে যাত্রী কম থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে। সার্বক্ষিণক টহল ও নজরদারি করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
👇Comply with extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com