Sunday, June 29, 2025

বিজিবি’র পাহারায় ঢামেকে জরুরি সেবা চালু


আন্দোলনের মুখে দিনভর কর্মবিরতি ও দুপুরের পরে ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ ঘোষণায় চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকার পরে সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা চালু হয়েছে। হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তা জোরদারের পর বিজিবি’র পাহারায় ঢামেক হাসপাতালে জরুরি সেবা চালু হয়েছে। ইতোমধ্যে কাজে ফিরতে শুরু করেছেন চিকিৎসকরা।

হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, যারা চিকিৎসকদের ওপর হামলা করেছে তাদের গ্রেফতারের আশ্বাস ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার শর্তে ২৪ ঘণ্টার জন্য ইমারজেন্সি সেবা চালু হচ্ছে। তবে রুটিন কাজ ও আউটডোর সেবা বন্ধ থাকবে। হাসপাতাল পরিচালক বলেন, ইনডোরে যে সমস্ত ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি রয়েছে তাদের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এর আগে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হাসপাতালের চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে আহত চিকিৎসকদের দেখতে যান। তাদের খোঁজ খবর নেন ও কথা বলেন।

এদিকে চিকিৎসকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রবিবার সকালের পর থেকে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম বন্ধ রাখেন চিকিৎসকরা। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় সারা দেশ থেকে হাসপাতালে আসা রোগীরা।

বগুড়া থেকে চিকিৎসা নিতে ঢামেকে আসেন কহিনুর বেগম (৪৮)। তার ভাই মাসুদ রানা বলেন, আমার বোনের অবস্থা গুরুতর, সেখানকার চিকিৎসকরা বলেছেন দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাতে। কিন্তু এখানে এসে দেখি সব বন্ধ। আমরা তো গরিব মানুষ, এখন কোথায় যাবো।

লাইজু বেগম ঢাকার মিরপুর থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন স্বামীকে ভর্তি করাতে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ থেকে তাকে এখানে রেফার করা হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কেটে অপেক্ষায় ছিলেন চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার, কিন্তু পারেননি। বাধ্য হয়ে স্বামীকে ইমার্জেন্সি গেটের ভেতরে মাদুর পেতে শুইয়ে রাখেন। পায়ে ক্ষত নিয়ে কিনডি সমস্যায় বিনা চিকিৎসায় কাতরাচ্ছিলেন স্বামী বিল্লাল। 

বহির্বিভাগে সকাল থেকেই শত শত রোগী ফিরে গেছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রচুর রোগী আসছেন, লাইনে দাঁড়িয়ে কিছু সময় টিকিট কিনেছেন। কেউ কেউ দেখাতে পারলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব ফাঁকা হয়ে যায়। অনেকে টিকিট কিনেও চিকিৎসা নিতে পারেননি। সেখানকার টিকিট বিক্রেতা জানান, তারা প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টিকিট বিক্রি করেন আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার। রবিবার টিকিট বিক্রি করেছেন দেড়শর মতো। তবে টিকেট নিয়ে চিকিৎসক দেখাতে পারেননি অনেকেই।

কামরাঙ্গীচর থেকে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা নিতে আসেন হামিরন বেগম (৫০) বলেন, সারা রাত কষ্টে ছটফট করেছি। সকালে চলে এসেছি হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসা নিতে না পেরে ১২টার পরে যাচ্ছি।

একই এলাকার আরেক বাসিন্দা হেলেনা বেগম (৪৫) ডাক্তার দেখিয়েছেন গত সপ্তাহে। আজ রিপোর্ট দেখাতে এসে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছেন।

এদিকে চিকিৎসকদের দেওয়া ছাড়পত্র নিয়ে অনেক রোগী হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সরকারি পর্যায়ে দেশের সর্ববৃহৎ রেফারেল হাসপাতাল। ২৬০০ বেডের এই হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে চার হাজারের বেশি রোগী ভর্তি থাকে। বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগ মিলিয়ে দৈনিক আরও প্রায় পাঁচ হাজার রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন এই হাসপাতালে। মাত্র একবেলার কর্মবিরতিতে হাজারও মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সঙ্গে বৈঠকের পরে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করেন। চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের আশ্বাসে তারা এই ঘোষণা দেন।

আরও পড়ুন- 

নিরাপত্তার সংকটে চিকিৎসকরা

চিকিৎসকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ আপাতত স্থগিত

ডাক্তারদের ‘শাটডাউন’ তুলে নেওয়ার অনুরোধ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার

সারা দেশে চিকিৎসকদের ‌‌‌‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা

ইমার্জেন্সি-আউটডোর বন্ধ, সেবা পেতে রোগীদের করুণ আকুতি

রোগী মৃত্যুর জেরে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যালে চিকিৎসকদের ওপর হামলা




👇Comply with extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles