Monday, December 23, 2024

বাংলাদেশ সংক্রান্ত ‘ফেক ভিডিও’ নিয়ে কথা বললেন মমতা


বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব দিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি করার পর এবার সুর অনেকটাই নরম করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভায় বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘(বাংলাদেশ নিয়ে) বাজারে কিন্তু অনেক ফেক ভিডিও ঘুরছে। একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল সেটিকে কাজে লাগিয়ে আগুন লাগাতে চাইছে। হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়কেই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’ 

ভারতের এক শ্রেণির সংবাদমাধ্যম যাতে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট করার সময় সংযম প্রদর্শন করে এবং ফেক নিউজ প্রচার করার ব্যাপারে সতর্ক থাকে, সেই আহ্বানও জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

এসব মিডিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা উত্তরপ্রদেশ বা রাজস্থান নই, যে (ফেক নিউজ প্রচার করলে) আপনাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করবো, কিংবা অ্যারেস্ট করে নেবো। কিন্তু এটা আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ!’ 

তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের নাম না নিলেও বিজেপির কথাই যে বলতে চেয়েছেন, তা নিয়ে অবশ্য কোনও সন্দেহই নেই।

মমতা ব্যানার্জি ‘ফেক নিউজ’ নিয়ে সতর্ক করলেও বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় যে তিনি উদ্বিগ্ন, তা অবশ্য স্বীকার করেছেন। সেইসঙ্গে বলেছেন, ‘দাঙ্গা কিন্তু হিন্দুরা বাঁধায় না, মুসলিমরাও নয়। শিখ বা খ্রিষ্টানরাও নয়। (সব দেশেই) দাঙ্গা যারা বাঁধায়, তাদের একটাই পরিচয় – তারা সমাজবিরোধী।’

তিনি বিধানসভায় আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু (মুসলিম) নেতারা বাংলাদেশে কথিত হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কলকাতায় মিছিল ও সমাবেশ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তাদের বুঝিয়ে-সুঝিয়ে নিরস্ত করেছেন, যাতে এটা নিয়ে কোনও ধরনের উত্তেজনা না ছড়ায়। মমতা ব্যানার্জির কথায়, ‘অনেকে হয়তো এটাকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়ে (আমাদের রাজ্যেও) দাঙ্গা বাঁধাতে চাইবে। কিন্তু আমরা কখনওই দাঙ্গা চাই না, চাই শান্তি।’

দিনকয়েক আগে এই রাজ্য বিধানসভাতেই তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন রুখতে ভারত সরকারকে তিনি বলবেন, যাতে সে দেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী (পিসকিপিং ফোর্স) পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।’

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিধানসভা ভবন গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় আরও বলেছিলেন, ‘যদি বাংলাদেশে ভারতীয়েরা আক্রান্ত হন, তবে আমরা তা সহ্য করবো না। আমরা তাদের সেখান থেকে ফিরিয়ে আনতে পারি।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিবার, সম্পত্তি এবং প্রিয় মানুষেরা বাংলাদেশে আছেন। ভারত সরকার এই বিষয়ে (বাংলাদেশ) যে অবস্থান নেবে, আমরা তা গ্রহণ করবো। কিন্তু বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে ধর্মীয় কারণে কেউ অত্যাচারিত হলে আমরা তার নিন্দা জানাই। আমরা এই বিষয়ে ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানাচ্ছি।’

তার এই প্রস্তাব নিয়ে যথারীতি তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তো বটেই, বিএনপি-সহ দেশটির প্রায় সবক’টি প্রধান রাজনৈতিক দল তার শান্তিরক্ষী পাঠানোর ওই প্রস্তাবের তীব্র প্রতিবাদ করেছে।

সোমবার কিন্তু বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী শান্তিরক্ষী বাহিনীর কথা একবারও বলেননি।  

বরং তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশ নিয়ে নিজে থেকে কোনও পদক্ষেপ করবে না। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিষয়টা আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার দেখবে। আমরা কোনও পক্ষে নই, আমরা সবার পক্ষে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নীতি এ ব্যাপারে খুব পরিষ্কার– আমরা দেশের পররাষ্ট্রনীতি মেনে চলবো।’

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা ধারণা করছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আজকের এই বক্তব্য সেই বিতর্ক ধামাচাপা দিয়ে সুর নরম করারই চেষ্টা। 

আমাদের হাতে কি ললিপপ নাকি?

বাংলাদেশের কয়েকটি ‘প্ররোচনামূলক’ ভিডিও সম্প্রতি সীমান্তের অন্য পারে ভারতেও তুমুল ভাইরাল হয়েছে। সেগুলো নিয়ে ভারতের সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপক সমালোচনা ও তর্কবিতর্ক হচ্ছে।   

এরকম একটি ভিডিওতে জনৈক বিএনপি নেতাকে বলতে শোনা গেছে, ঢাকার উচিত হবে শুধু (অবিভক্ত) বাংলা নয়, বিহার ও ওড়িশাকেও দখল করে নেওয়া। অপর একটি ভিডিওতে বাংলাদেশের কয়েকজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা বলেন, তারা চাইলে ‘মাত্র চার দিনের মধ্যে কলকাতা, আসাম ও ত্রিপুরা কব্জা করে নিতে’ পারেন।

মমতা ব্যানার্জি সোমবার বিধানসভায় নিজে থেকেই এই প্রসঙ্গের উত্থাপন করেন এবং বলেন, ‘দেখলাম, আপনাদের কেউ কেউ বলছেন বাংলা-বিহার-ওড়িশা নাকি আপনারা দখল করে নেবেন!’

‘তো ভালো কথা, আমাদের হাতে কি ললিপপ আছে ভেবেছেন? কাজেই এসব চিন্তাভাবনা ছাড়ুন!’

তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব বলছেন, ভারত ও বাংলাদেশের পরস্পরের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা করাটা যেকোনও ‘অপশন’ নয়, ললিপপের তুলনা টেনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সেটাই আরও একবার বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন। 




👇Observe extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles