পরিকল্পনা মাফিক চলছিল ৩৫তম জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসবের তৃতীয় তথা সমাপনী দিনের আসর। এক এক করে শিল্পীরা তাদের মুগ্ধকর পরিবেশনা উপহার দিচ্ছেন। এর মধ্যেই হঠাৎ সেখানে হাজির সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আঁচ করা গেলো, রবীন্দ্রনাথের গান শুনতেই তার আগমন।
কিন্তু শেষটা যে এমন চমকপ্রদ হবে, সেটা হয়ত কেউই ভাবেনি। শিল্পীদের সঙ্গে মঞ্চে ওঠেন মন্ত্রীও। সমবেত কণ্ঠে গাইলেন শেষ দুটি গান। যার একটিতে বেদনার সুর (আগুনের পরশমণি), প্রয়াত সাদি মহম্মদের স্মরণে। অন্যটিতে নতুন সম্ভাবনার বাণী (আলো আমার আলো ওগো), কলিম শরাফীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে।
শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় এমনই স্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে হাজির হওয়া দর্শক-শ্রোতারা। যেখানে গত তিন দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসব। আয়োজনে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা। এবারের আয়োজনটি বিশেষ ছিল দুটি কারণে। এক—কালজয়ী রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী কলিম শরাফীর জন্মশতবর্ষ; আর দুই—নন্দিত শিল্পী সাদি মহম্মদের সাম্প্রতিক প্রয়াণ। তাদেরকে উৎসর্গ করেই সাজানো হয়েছে উৎসবের যাবতীয় কার্যক্রম।
গান গাওয়া শেষে দীপু মনি বলেন, ‘আমি তো কেবল গান শুনতে এসেছি। অথচ এখানে গাইয়েদের মাঝে আমাকে বসিয়ে দিয়েছেন! ভীষণ বিব্রতকর অবস্থা। কিন্তু খুব ভালো লাগলো। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আবার একইসঙ্গে আমরা এক ধরনের মৌলবাদের আগ্রাসন নানান জায়গায় দেখি, তখন আরও অনেক বেশি সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ প্রয়োজন। সেই জায়গা থেকে আপনাদের কাজ অনেক বেগবান হোক। শেখ হাসিনার সরকার আপনাদের সঙ্গে আছে।’
গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) বর্ণিল আয়োজনে শুরু হওয়া উৎসবটি শেষ হয়েছে শনিবার। এ দিনের অধিবেশন শুরু হয় বিকাল ৫টায়, সমবেত কণ্ঠে ‘জগত জুড়ে উদার সুরে’ ও ‘আলোকের এই ঝরনাধারায়’ গান দুটির মাধ্যমে।
এরপর বিশেষ একটি পরিবেশনা নিয়ে হাজির হয় সাদি মহম্মদের গড়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠান ‘রবিরাগ’। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী-শিল্পীরা সমবেত কণ্ঠে শুনিয়েছেন ‘সমুখে শান্তি পারাবার’ ও ‘কান্না হাসির দোল দোলানো’ গান দুটি।
অতঃপর শুরু হয় একক পরিবেশনা। অন্তিম এই পর্বে গান গেয়ে শোনান বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার সদস্যরা। এর মধ্যে ছিলেন ইমা দে, মেরী দেবনাথ, সাগরিকা জামালি, তনুশ্রী দীপক, পূরবী রায়, দেবযানী মিত্র, সৌভিক পাল উদয়, শিল্পী রায় পলি, শিল্পী বালা, সানজিদা সোনিয়া খান ইতি, হ্যাপি দাস, রিফাত জামাল মিতু, শেখর কুমার কর্মকার, শর্মিষ্ঠা ভট্টাচার্য, ফারমিন ইসলাম ইমা, জিনাত ফেরদৌস ছবি, নাসরিন আক্তার, বুলবুল ইসলাম, ছন্দা রায়, খন্দকার খায়রুজ্জামান কাইয়ুম, জয়ীতা তিথি, মাহজাবীন শাওলি, নির্ঝর চৌধুরী, জয়ন্ত আচার্য, অভিজিৎ দে, জান্নাতুল নাঈম পিংকি, তনুশ্রী ভট্টাচার্য, পীযুষ বড়ুয়া প্রমুখ।
এছাড়া সংস্থার নির্বাহী সভাপতি আমিনা আহমেদ পরিবেশন করেন ‘দারুণ অগ্নিবাণে রে’ শিরোনামের গানটি। আবৃত্তি ও গানের যুগলবন্দী উপহার দিয়েছেন জয়ন্ত রায় ও তানজিনা তমা।
উৎসবের শেষ লগ্নে এসে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পীযুষ বড়ুয়া বলেন, ‘আপনারা জানেন, এবারের আয়োজনটি আমাদের সবার শ্রদ্ধেয় শিল্পী কলিম শরাফী ও সাদি মহম্মদকে উৎসর্গ করা হয়েছে। তিন দিনের এই আয়োজনে যারা গান শুনতে এসেছেন, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। আরেকটি কথা না বললেই নয়, পুরো উৎসবের পরিকল্পনা কিন্তু এসেছে অস্ট্রেলিয়া থেকে। সেখানে আমাদের সভাপতি তপন মাহমুদ রয়েছেন। তার দিক-নির্দেশনা মেনেই উৎসব হয়েছে। তিনি দূরে থাকলেও প্রতি ক্ষণে আমাদের পাশেই আছেন।’
👇Comply with extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com