Monday, June 30, 2025

গণমাধ্যমকে সতর্ক করল পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন


পুলিশের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের নিয়ে গণমাধ্যমে ‘অতিরঞ্জিত’ ও ‘নেতিবাচক’ সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। একইসঙ্গে গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে সতর্ক করে সাংবাদিকতার নীতিমালার ব্যাপক জ্ঞান দেওয়া হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। তুলে ধরা হয়েছে পুলিশের ইতিহাস-ঐতিহ্য।

পুলিশ ক্যাডার সার্ভিসের এই সংগঠনটির সভাপতি ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব বলা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুলিশের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের নিয়ে ধারাবাহিকভাবে অতিরঞ্জিত রিপোর্ট প্রকাশ ও প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের আংশিক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ঢালাওভাবে প্রকাশিত ও প্রচারিত অতিরঞ্জিত রিপোর্টের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

কোনও কোনও মিডিয়া হাউজ ব্যক্তিগত আক্রোশ ও নিজস্ব স্বার্থ রক্ষায় কোনও কোনও পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবমাননাকর নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করছেন যা সাংবাদিকতার নীতিমালা বিরোধী। কী কারণে, কার উদ্দেশ্য হাসিল এবং কার ম্যানডেট বাস্তবায়নের জন্য কতিপয় মিডিয়া বাংলাদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে এ ধরনের কুৎসা রটনায় লিপ্ত—সেই প্রশ্ন উত্থাপন করা অযৌক্তিক নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, পুলিশ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বদা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করে আসছে। কোনও পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে কোনও ধরনের ছাড় দেওয়া হয় না। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয, গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ। গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনাকে আমরা বরাবরই স্বাগত জানাই। কিন্তু গণমাধ্যমে কোনও খণ্ডিত বা আংশিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ করতে চাই। গণমাধ্যমে কোনও ঘটনার সামগ্রিক চিত্র উঠে আসুক, সত্য উন্মোচিত হোক। গণমাধ্যমের রিপোর্ট হোক সত্যাশ্রয়ী ও বস্তুনিষ্ঠ।

নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশে পাঠকের কাছে গণমাধ্যমের দায়বদ্ধতা রয়েছে বলে মনে করি। অথচ কোনও এক রহস্যময় কারণে এক শ্রেণির মিডিয়া অতি সুকৌশলে পুলিশকে বিতর্কিত করে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর অপচেষ্টায় মেতেছে, যা সৎ সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধকারী অপসাংবাদিকতারই নামান্তর বলে পরিগণিত। গণমাধ্যমের এ ধরনের একপেশে আচরণ সাধারণ পাঠকের সঙ্গে প্রতারণারই শামিল। এ ধরনের অপসাংবাদিকতা বাংলাদেশ পুলিশের সৎ, নিষ্ঠাবান, পেশাদার ও দেশপ্রেমিক সদস্যদের মনোবল ধ্বংসের অপপ্রয়াস বলে প্রতীয়মান হয় যা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এ ধরনের অপপ্রচার সন্ত্রাসীদের উৎসাহিত করা এবং দেশবিরোধী চক্রান্তের অপকৌশল কিনা তা বিবেচনার দাবি রাখে। ফলে পুলিশি সেবাপ্রত্যাশী মানুষ তথা দেশ ও জাতি সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

জননিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয় অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে কোনও ধরনের রিপোর্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে অধিকতর সর্তকতা অবলম্বন ও সাংবাদিকতার নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণের‌ জন্যও অনুরোধ জানানো হয়।

আরও পড়ুন- বেনজীর ও আছাদুজ্জামান মিয়ার সম্পদ নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী




👇Comply with extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles