পদ থেকে সরানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে অফিসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন সমন্বয়ক নামধারী কয়েকজন ব্যক্তি এবং মঞ্জুরি কমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তা।
ইউজিসির অচলাবস্থা কাটাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ২৭ আগস্ট চেয়ারম্যানের শূন্য পদে দায়িত্ব পালনে নিয়োগ করা হয় ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে। এরপর সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সমন্বয়কারীর পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তি এবং ইউজিসির কয়েকজন কর্মকর্তারা-কর্মচারী ইউজিসি কার্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। তারা চেয়ারম্যানসহ আরও দুই সদস্যকে ইউজিসিতে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে সেখানে হট্টগোল করেন।
সূত্র জানায়, আজ সকালে ডুয়েট থেকে সমন্বয়কারী পরিচয়ে একদল ছাত্র কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে আসেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন কমিশনের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী।
ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ছিলেন। সরকার তাকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়ার পর অসুস্থ অবস্থায় ইউজিসিতে চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন। এরপর আবার অসুস্থ অবস্থায় বাসায় দিন কাটাচ্ছেন তিনি।
এদিকে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দের মেয়াদ শেষ আজ সোমবার। তার আজই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার কথা। আগেই ছুটি নিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার জন্য। এ ছাড়া ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক সাজ্জাদ বেশ কিছুদিন ধরেই ইউজিসির অফিসে যাচ্ছেন না। আম সোমবারও তিনি অফিসে যাননি দেখা গেছে।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ১১ আগস্ট চেয়ারম্যান পদ থেকে অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ পদত্যাগ করেন। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শূন্য পদে চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনে নিয়োগ দেয়।
ইউজিসিতে বিশৃঙ্খলার কারণ জানতে চাইলে ইউজিসির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সই করা চিঠিতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সে কারণে তাকে অবসরে পাঠানো বা পদত্যাগ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু যাদের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে, (চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য সদস্য) তারা কেউ তা করেননি। সে কারণেই আজকের এই পরিস্থিতি।
উল্লেখ্য, গত ১১ আগস্ট ড. ফেরদৌস জামানকে সচিব পদ থেকে বদলি করা হয়েছে। এরপর তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার চাপ তৈরি করতেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউজিসির কয়েকজন কর্মকর্তা।
জানতে চাইলে ইউজিসির অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমি তো এই দায়িত্ব চাইনি। আমি এই দায়িত্বে (চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব) থাকতেও চাইনি। সরকার দ্রুত চেয়ারম্যান নিয়োগ দিচ্ছে না কেন আমি জানি না। আমি এ বিষয়ে কিছু বলতেও চাই না।
জানতে চাইলে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, আজ আমার মেয়াদ শেষ আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার কর্মস্থলে যোগ দিতে যাবো। তা ছাড়া আমি তো ছুটিতে রয়েছি। কারা কোন উদ্দেশ্যে বিশৃঙ্খলা করছে, তারাই ভালো জানে।
জানতে চাইলে ইউজিসির সাবেক সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বন্ধের অনুরোধ জানানো হয়েছে সরকারের নির্দেশে। চিঠিতে বলা আছে, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী’। এখানে আমার কোনও ভূমিকা নেই।
উল্লেখ্য, ইউজিসির পূর্ণকালীন পাঁচ সদস্য হলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর (চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন), ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র চন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসিনা খান এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন।
👇Observe extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com