ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ভয়াবহ হামলা প্রতিরোধে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বলে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে জাতীয় নিরাপত্তা সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার বারবার অবমূল্যায়ন এবং রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে বিভক্তি তৈরির জন্য নেতানিয়াহুকে দায়ী করা হয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এ খবর জানিয়েছে।
স্বাধীন বেসামরিক তদন্ত কমিশন জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর পাশাপাশি পুরো সরকারই তাদের প্রধান দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ), শিন বেট ও অন্যান্য সংস্থাগুলোও দেশের নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
এ হামলার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবার দ্বারা গঠিত এ কমিশন গত চার মাস ধরে ১২০ জন সাক্ষীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে, যার মধ্যে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা প্রধান ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তবে কমিশন জানিয়েছে, তাদের কাজ আনুষ্ঠানিক তদন্তের বিকল্প হতে পারে না, কারণ তাদের সাক্ষী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন জারি করার ক্ষমতা ছিল না।
কমিশন উল্লেখ করেছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতানিয়াহু জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল ও মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে অকার্যকর করেছেন। এছাড়া, হামাসকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে এবং তাদের প্রতি আক্রমণাত্মক অবস্থান গ্রহণ না করাতেও সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে।
প্রতিবেদনে নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও দায়ী করা হয়েছে। কমিশন বলেছে, রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে দূরত্বের ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে।
৭ অক্টোবরের হামলার আগে শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সম্ভাব্য হামলা সম্পর্কে সতর্ক করলেও তা নিয়ে কোনও বিশদ আলোচনা হয়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭৩ সালের ইয়োম কিপুর যুদ্ধের সময় যে অপ্রস্তুতির পরিচয় দেওয়া হয়েছিল, তার থেকে কোনও শিক্ষা নেওয়া হয়নি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিড সাক্ষ্যে বলেছেন, একটি যৌথ নিরাপত্তা ব্রিফিংয়ে নেতানিয়াহু উদাসীন ও অনাগ্রহী ছিলেন। অন্যদিকে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাভিগদর লিবারম্যান ২০১৬ সালেই হামাসের এমন হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন।
প্রতিবেদনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সামরিক প্রধানদেরও ব্যর্থতার জন্য দায়ী করা হয়েছে। গাজা সীমান্তে পর্যাপ্ত সেনা উপস্থিতি নিশ্চিত না করা এবং সীমান্ত পর্যবেক্ষণের জন্য নির্ধারিত সেনাদের সুরক্ষা দিতে না পারার জন্য তাদের সমালোচনা করা হয়েছে।
আইডিএফের দক্ষিণ কমান্ড ও গাজা ডিভিশন ৭ অক্টোবরের হামলায় ‘পুরোপুরি ব্যর্থ’ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, হামাসের পরিকল্পনা এক বছর আগেই জানা সত্ত্বেও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিতে পারেনি।
কমিশন জানিয়েছে, ইসরায়েলের নিরাপত্তা ধারণা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ফলে জাতীয় নিরাপত্তা নীতিতে ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। প্রতিটি স্তরে কার্যকর পর্যালোচনা প্রক্রিয়া চালু এবং দায়িত্ব গ্রহণের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
কমিশন বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল নেই। এ বিষয়ে একটি বিল বর্তমানে কনেসেটে প্রক্রিয়াধীন।
কমিশনের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) এয়াল বেন-রেউভেন জানিয়েছেন, প্রতিবেদনের লক্ষ্য ছিল কাঠামোগত সমস্যাগুলো তুলে ধরা। তবে তিনি সরাসরি বলেছেন, নেতানিয়াহু অনেক সমস্যার কেন্দ্রবিন্দু।
পরিবারের সদস্যদের জন্য সঠিক তথ্য নিশ্চিত করা এবং সরকারের ওপর একটি আনুষ্ঠানিক তদন্ত পরিচালনার জন্য চাপ সৃষ্টি করাই এ প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে কমিশন। এক মুখপাত্র বলেন, ৯/১১ ঘটনার পর তদন্ত না হলে তা কল্পনা করা যায় না। আমাদের এখানেও একই ঘটনা ঘটেছে।
👇Comply with extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com