Sunday, June 29, 2025

৪৪ দিন পর কবর থেকে তোলা হলো কোটা আন্দোলনে নিহত সাজ্জাদের লাশ


কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত সবজি বিক্রেতা সাজ্জাদ হোসেনের লাশ ৪৪ দিন পর রংপুর নগরীর মিস্ত্রিপাড়া কবরস্থান থেকে তোলা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতিতে লাশটি তোলা হয়। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

লাশ উত্তোলনের সময় নিহত সাজ্জাদের মা ময়না বেগম, বোন বাবলী বেগমসহ স্বজন ও এলাকার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

সাজ্জাদ নিহতের পর ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয় বলে অভিযোগ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর রংপুরের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজু আহামেদের আদালতে আবেদন করলে বিচারক লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আদেশ দেন।

আদালতের নির্দেশ পেয়ে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ টি এম আরিফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতিতে সাজ্জাদের লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ চলাকালে রংপুর নগরীর সিটি বাজার এলাকায় পুলিশের বেপরোয়া গুলিতে সবজি ব্যবসায়ী সাজ্জাদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। খবর পেয়ে স্বজন ও এলাকাবাসী এবং আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা লাশ উদ্ধার করে তার রংপুর নগরীর পুর্ব শালবন শিক্ষাঙ্গন এলাকার নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। ঘটনার পর পুলিশ ময়নাতদন্তের কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় স্বজন ও এলাকাবাসী জানাজা শেষে মিস্ত্রিপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এদিকে, এ ঘটনার পর গত ২০ আগস্ট নিহত সাজ্জাদের স্ত্রী জিতু বেগম বাদী হয়ে রংপুরের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজু আহামেদের আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছোট বোন রেহেনা বেগম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওয়ার্কার্স পার্টির প্রধান রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুসহ ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে তাদের আসামি করে মামলা করলে বিচারক এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানাকে নির্দেশ দেন।

নিহত সাজ্জাদ হোসেনের মা ময়না বেগম অভিযোগ করেন, মামলার পর থেকে তার ছেলের স্ত্রী জিতু বেগমকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ফলে পুরো পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

তিনি জানান, তার ছেলের স্ত্রী জিতু বেগম এলাকার কিছু দুষ্কৃতিকারীদের নাম মামলা দিয়েছে বলেই তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি তার ছেলে সাজ্জাদ হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করেন।

নিহতের বোন বাবলী বেগম একই অভিযোগ করে বলেন, ভাই সবজি ব্যবসা করে আমাদের সংসার চালাতো। তার মৃত্যুর পর আমরা চরম আর্থিক সংকটে পড়েছি। এখন পর্যন্ত কোনও সহায়তা পাইনি। আমার ভাবি জিতু বেগম যেহেতু মামলার বাদী তাকে আসামিরা বিভিন্নভাবে মামলা তুলে নেওয়ার দিচ্ছে।

অন্যদিকে নিহত সাজ্জাদের লাশ গোসল করানোসহ দাফন কাজে অংশ নেওয়ার জন্য স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা জাহিদকে পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে হুমকি-ধমকি আর হয়রানি করেছে। তিনি সেই সব পুলিশের শাস্তি দাবি করেন।

মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার এসআই কাদের উদ্দিন বলেন, যেহেতু ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়েছিল, তদন্তের প্রয়োজনে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তাদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আজ সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতিতে লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হলো।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ টি এম আরিফ জানান, আদালতের নির্দেশনা পেয়ে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এলাকাবাসী সালাম মিয়া, মামা আফজালসহ অনেকেই বলেন, সাজ্জাদ খুবই ভালো ছেলে ছিল। তাকে পুলিশ নিষ্ঠুরভাবে টার্গেট করে গুলি করে হত্যা করেছে। আমরা তার হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ বিচার চাই।




👇Observe extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles