Tuesday, February 4, 2025

যা হলো সালমান-আনিস-জিয়া-দীপু মনি-ফিরোজের রিমান্ড শুনানিতে


রাজধানীর লালবাগ ও নিউমার্কেট থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের ৫ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বাড্ডা থানায় সুমন সিকদার হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনির ৪ দিন এবং রাজধানী ভাটারা থানা এলাকায় সোহাগ মিয়া নামে এক যুবক নিহতের মামলায় সাবেক হুইপ আ স ম ফিরোজের ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।

শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসিমের আদালত এই রিমান্ডের আদেশ দেন।

শনিবার সন্ধ্যায় আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাদের প্রত্যেক মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। সন্ধ্যা ৭টা ৩৮ মিনিটে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এসময় আ স ম ফিরোজের হাতে হাতকড়া না থাকায় প্রতিবাদ করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। পরে পুলিশ সদস্যরা তার হাতে হাতকড়া পরিয়ে দেন। এসময় আ স ম ফিরোজ বলেন, এত বাড়াবাড়ি ভালো না।

৭টা ৪২ মিনিটের দিকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে রাজধানীর লালবাগ থানার আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান বলেন, ছাত্র আন্দোলন কঠোর হাতে দমন করতে গুলি চালানো হয়। এতে তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদত আছে। তাদের সর্বোচ্চ রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।

কোর্ট অফিসার হিসেবে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের পক্ষে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, এটা একটা মর্মান্তিক ঘটনা। শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা করা হলো। তারা টেলিভিশনে এসে জাতির সামনে অহরহ মিথ্যা বলেছে। আন্দোলন দমাতে সর্বশক্তি প্রয়োগের কথা বলেছে। আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের জোর করে উঠিয়ে নিয়ে আন্দোলন দমাতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। শেখ হাসিনার সঙ্গে বসে আন্দোলনকারীদের দেখামাত্র গুলি করার সিদ্ধান্ত দেয়। পুলিশ গুলি চালায়। কোমলমতি ছাত্রদের হত্যা করে।

আসামি জিয়াউল হাসানের পক্ষে তার বোন বলেন, গত ৭ আগস্ট ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ পর্যন্ত রিমান্ডে আছেন। আমরা রিমান্ড নামঞ্জুরের প্রার্থনা করছি। তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা। ঘটনাস্থলে ছিলেন না। খুবই অসুস্থ। জরুরিভিত্তিতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হোক।

সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের পক্ষে তার আইনজীবী বলেন, তারা সিনিয়র সিটিজেন। প্রয়োজনে তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।

জিয়াউল আহসানের বিষয়ে ওমর ফারুক বলেন, তিনি র‍্যাবে ছিলেন। দায়িত্ব পালন করেন ডিজিএফআইয়েও। সেনাবাহিনীকে তিনি বিতর্কিত করেছেন। জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন। আয়নাঘর সৃষ্টি করেছেন। তিনি আজ কাঠগড়ায় আছেন। তার ভাব দেখে মনে হচ্ছে, কারও সাথে এখনই লেগে যাবে। তার লোকই তাকে বহিষ্কার করেছে। হাসিনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। র‍্যাব, ডিজিএফআইতে থাকা অবস্থায় গুম, খুন করেছে। এ ধরনের মানুষ আর যেন সৃষ্টি না হয়। আর যেন আয়নাঘরের সৃষ্টি না হয়। তার তো আয়নাঘরে থাকার কথা। তার দৃষ্টান্তমূলক সাজা হোক।

এরপর ঢাকা কলেজের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সবুজ হত্যার অভিযোগে করা মামলায় এ তিন জনের ১০ দিনের রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষ সর্বোচ্চ রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করে।

ওমর ফারুক বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হত্যা করতে তাদের হাত, বুক কাঁপেনি। তাদের ক্ষমতার লোভ। আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

জিয়াউল আহসানের পক্ষে তার বোন বলেন, তিনি অসুস্থ। তার চিকিৎসার আবেদন করছি।

এরপর বাড্ডা থানায় করা সুমন সিকদার হত্যা মামলায় দীপু মনির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষ সর্বোচ্চ রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করে।

আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, এই মামলায় শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, বসুন্ধরার মালিক আহমেদ আকবর সোবহান ও তার ছেলে আসামি। সারাদেশে যে কজন মানুষের ওপর জনগণের রোষ-ঘৃণা তাদের মধ্যে দীপু মনি একজন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তিনি দেশ বিক্রি করে দেন। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছেন। প্রেসক্রিপশন মতে শিক্ষা ব্যবস্থা সাজিয়েছেন। মুসলিম কান্ট্রিকে বিজাতিকরণ করার চেষ্টা করেছেন। দেশকে মেধাশূন্য করেছেন, কীভাবে মগজ ধোলাই করেছে! তাকে গ্রেফতার করায় চাঁদপুরের লোক এখানে চলে এসেছে আনন্দ করতে। চাঁদপুরে মিষ্টির দোকানে মিষ্টি ছিল না। শেখ হাসিনাকে সবসময় সাপোর্ট করেছেন।

দীপু মনির আইনজীবী বলেন, তিনি চার দিনের রিমান্ডে ছিলেন। অসুস্থ। এসময় তার রিমান্ড বাতিল করে জামিন চাওয়া হয়।

সবশেষে রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকায় সোহাগ মিয়া নামে এক যুবক নিহতের মামলায় সাবেক হুইপ আ স ম ফিরোজের ১০ দিনের রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়।

ফিরোজের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। তিনি বলেন, সন্দিগ্ধ আসামি। বিগত ৬ বছরে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন না। গত ৭ জুলাই থেকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। আন্দোলনে তিনি কাউকে কোনও নির্দেশ দেননি।

এসময় কথা বলতে চান আ স ম ফিরোজ। বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আপত্তি জানান। এরপরেই ফিরোজ বলেন, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমার কথা শুনতে হবে। এসময় জিয়াউর রহমানের নাম উচ্চারণ করলে আইনজীবীরা হইহুল্লোড় শুরু করেন। তিনি বলেন, আমাকে বলতে হবে। পরে তিনি আর কিছু বলতে পারেননি। এরপর আদালত তাদের রিমান্ডের আদেশ দেন।




👇Comply with extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles