আজ কবি নির্মলেন্দু গুণের ৮০তম জন্মদিন। ১৯৪৫ সালের ২১ জুন নেত্রকোণার বারহাট্টায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর কবিতা নিয়ে আলাপচারিতায় উত্তর-প্রজন্মের কবি আমিনুল ইসলাম।
প্রশ্ন : কবিতার সরলতা নির্মলেন্দু গুণের জনপ্রিয়তার কারণ? নন্দনতত্ত্বের জায়গা থেকে এই সরলতাকে আপনি কীভাবে দেখেন?
আমিনুল ইসলাম : আমি বাল্যকাল থেকেই কবিতাপাগল মানুষ। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় নিজেই কবিতা লিখে পাটিগণিতের অনুশীলনের খাতা ভরে তুলতাম। তখন কাজী নজরুল ইসলাম, মোহিতলাল মজুমদার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ফররুখ আহমদ, জসীমউদদীন, ওমর খৈয়াম প্রমুখ কবির কবিতা ছিলে আমার ভালো লাগার কবিতাভুবন। অতঃপর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সেই ভুবনে প্রবল প্রতিপত্তিসহ যুক্ত হন শামসুর রাহমান এবং আল মাহমুদ। এরপরে পরিচিত হই নির্মলেন্দু গুণের কবিতার সঙ্গে। নির্মলেন্দু গুণ একজন জনপ্রিয় কবি। তাঁর জনপ্রিয়তার পেছনে অনেক কয়টি কারণ কাজ করেছে। তিনি মূলত কাজী নজরুল ইসলামের পথ ধরে প্রতিবাদের কবি, বিপ্লবের কবি, তৃণমূল মানুষের আর্থসামাজিক মুক্তির পক্ষের কবি । এবং একইসঙ্গে প্রেমের কবি। তিনি বঙ্গীয় বুদ্ধিজীবীদের সার্টিফিকেটের কথা মনে রেখে কবিতা রচেননি। তাঁর কবিতা দুর্বোধ্য নয়। তাঁর কবিতা সরাসরি মানুষের ক্ষুধা, তৃষ্ণা, যৌনতা, স্বাধীনতা, আশা, হতাশা, শরীর, হৃদয় ইত্যাদির কথা বলে। তাঁর কবিতা ব্যাপকভাবে আবৃত্তি করে ছড়িয়েছেন বাংলাদেশের বাচিক শিল্পীগণ। এসকল কারণে তাঁর কবিতা ব্যাপক মানুষের কাছে পৌঁছেছে এবং মানুষের আবেগকে ছুঁতে পেরেছে। তাছাড়া তাঁর প্রায় সকল কবিতা সাবলীল ও সহজবোধ্য হলেও সেসবের সবগুলোই কিন্তু তরল নয়। কেবল ‘হুলিয়া’ নয়, তাঁর বহু কবিতার বিষয়ভাবনা গভীর। তাঁর বহু কবিতায় পরিহাস, স্যাটায়ার ইত্যাদি আছে। ভেবে দেখুন, আপাত সহজ সরল ভাষায় রচিত তাঁর ‘তোমার চোখ এতো লাল কেন’ শীর্ষক কবিতাটির আবেদন কত গভীর নিবিড় শাণিত ও সূক্ষ্ম! তাঁর কবিতায় মনোহর ও অভিনব চিত্রকল্প আছে, উপমা আছে। সবচেয়ে বড় কথা, তাঁর বহু কবিতা মানুষের আবেগ ও হৃদয়কে আলোড়িত করার ঐশ্বর্যে সমৃদ্ধ। আর অক্ষমের কষ্টকল্পনাজাত কোষ্ঠকাঠিন্যময়তা নেই তাঁর সৃষ্টির কোথাও। নেই শব্দের ধাঁধা যোগে তৈরি পাঠক-ঠকানো সস্তা উপরচালাকি।
নন্দনতত্ত্ব একটি বিতর্কিত ও আপেক্ষিক ব্যাপার। নন্দনতত্ত্ব আজও একটা অমীমাংসিত প্রপঞ্চ। শিল্পের জন্য শিল্প অথবা জীবনের জন্য শিল্প এই হচ্ছে নন্দনতত্ত্বের এদিক-ওদিক। কলাকৈবল্যবাদীগণ শিল্পের জন্য শিল্প তত্ত্বকে অন্ধভাবে অনুসরণের পক্ষপাতী। কিন্তু সেই পথ জনপ্রিয়তার পথ নয়; অধিকতর গ্রহণযোগ্যতাও সে-পথে নেই। ফলে অধিকাংশ পাঠকের কাছে পৌঁছানোর পথ নয় সেটি। শামসুর রাহমান তাঁর প্রথম দিকের কয়েকটি কাব্যগ্রন্থে ইউরোপীয় আধুনিকতাকে শতভাগ অনুসরণ করেছিলেন। সেসব কবিতায় ছিল মূলত শিল্পের জন্য শিল্প তত্ত্বের একাগ্রচিত্ত অনুসরণ। কিন্তু তিনি আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন পরবর্তীতে রচিত তাঁর জনমুখী বা জীবনমুখী কবিতাগুলোর জন্য। সেসব কবিতার বড়ো অংশটাই বিবৃতিধর্মী। অন্যদিকে শিল্পের জন্য শিল্প নীতিতে রচিত আবদুল মান্নান সৈয়দের মাছ সিরিজের পরাবাস্তব কবিতাগুলো কিন্তু সেভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। নন্দনতত্ত্বের বিষয়টি গুরুত্বহীন নয় মোটেও কিন্তু জনগণ যেসব সৃষ্টিকে সাদরে বরণ করে নেয়— সেসব সৃষ্টির সাফল্য বা সার্থকতার প্রশ্ন তুলে কোনো কাজ হয় না। কোকিলের ডাক বা গান ব্যাপক মানুষ গ্রহণ করে বলেই তার এত নামডাক। সেখানে নন্দনতত্ত্ব খোঁজে না কেউ। একথা মানতেই হয় যে, কবিতার রাজ্যে নির্মলেন্দু গুণ একজন বিজয় বীর। তাঁর এই বিজয়ের পেছনে কতখানি ইউরোপীয় শৈল্পিকতার কৌশল আর কতখানি আবেগের মিছিল কাজ করেছে, সেটা নিয়ে পণ্ডিতরা তর্ক করতেই পারেন।
কিন্তু নন্দনতত্ত্বের বিচারেও নির্মলেন্দু গুণের কবিতাকে খারিজ করার কোনো সুযোগ নেই। আজকাল অনেকে কবিতার নন্দনতত্ত্ব বলতে শব্দসর্বস্ব ক্ষুদ্রাকৃতির দুর্বোধ্য পঙ্ক্তিমালা বা বাক্যসমষ্টিকে বোঝেন। তারা মনে করেন, আয়তনে বা আকারে বড় হলেই সেটা বিবৃতি হয়, কবিতা হিসেবে তরল হয়। এটা ভুল। উইপোকার ঢিবির চেয়ে হিমালয় বা কাঞ্চনজঙ্ঘা শুধু লক্ষগুণে কোটিগুণে বড়ই নয়, সৃষ্টি হিসেবেও তুলনারহিতভাবে বেশি শৈল্পিক ও সার্থক। নজরুলের ‘বিদ্রোহী’, আবুজাফর ওবায়দুল্লাহর ‘আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি’ কিংবা আল মাহমুদের ‘সোনালি কাবিন’ দীর্ঘ আকৃতির কবিতা। কিন্তু এগুলো শৈল্পিক সৌকর্যে এবং নান্দনিক সৌন্দর্যেও অতুলনীয় সুন্দর সৃষ্টি। নির্মলেন্দু গুণের অনেক কবিতা আছে দীর্ঘাকৃতির এবং সেগুলো শিল্পের বিচারেও মানোত্তীর্ণ। আবার তিনি অল্প কয়েকটি পঙ্ক্তিতে অনন্যমানের সমৃদ্ধ কবিতা লিখতে দক্ষ। উদাহরণস্বরূপ তাঁর ‘আগ্নেয়াস্ত্র’ কবিতাটির কথা বলা যায়।
প্রশ্ন : নির্মলেন্দু গুণের প্রথম যৌবনের মার্কসবাদের জোয়ার ধীরে ধীরে আওয়ামী লীগের দিকে প্রবাহিত হয়েছে—এসব বিষয় তাঁর কবিতাকে রাজনৈতিকভাবে কোনো বিশেষ অবস্থানের মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করে?
উত্তর : বাংলা সাহিত্যে মার্কসবাদ বা বাম ঘরানার বড় ধরনের প্রভাব ছিল ব্রিটিশ আমলের শেষদিক থেকেই। নজরুল-সুকান্তের ব্যাপক জনপ্রিয়তার পেছনে সেটি ছিল অন্যতম কারণ। বাংলাদেশের সাহিত্যের ওপর পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যেরও একটা কঠিন প্রভাব ছিল। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক সেভাবেই নামডাক কুড়িয়েছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাম রাজনীতির জোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল। আল মাহমুদ, অসীম সাহা, নির্মলেন্দু গুণ, রফিক আজাদ প্রমুখ কবিগণ বাম রাজনীতির অনুরাগী ছিলেন। আল মাহমুদের “আমাদের ধর্ম হোক ফসলের সুষম বণ্টন” ইত্যাকার অনেক পঙ্ক্তি প্রবাদবাক্যের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছিলো। সেই সময়ে রচিত নির্মলেন্দু গুণের একটি সুপরিচিত কাব্যগ্রন্থের নাম “তার আগে চাই সমাজতন্ত্র’’।
“তোমাকে নিশ্চয়ই একদিন আমি কিনে দিতে পারবো
একসেট সোনার গহনা, নিদেনপক্ষে নাকের নোলক
একখানা।
তোমাকে নিশ্চয়ই একদিন আমি কিনে দিতে পারবো
একটি
আশ্চর্য সুন্দর ইজিপ্সীয়ান কার্পেট। মখমল-নীল শাড়ি
পরে
তুমি ভেসে বেড়াবে সারা ঘরময় রাজহাঁস;
—কিন্তু তার আগে চাই সমাজতন্ত্র।”
তখন দেশের যুবসমাজ, তরুণসমাজ বিশেষত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থীগণ দেশে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে ছিলে বিভোর এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও সমাজতন্ত্র ঘেঁষা ছিল। আমাদের সংবিধানের চারটি মূলনীতির একটি ছিল সমাজতন্ত্র। স্বভাবতই নির্মলেন্দু গুণের সমাজতন্ত্রমুখী কবিতাগুলো ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছিল। পশ্চিমবঙ্গসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তেও বামপন্থী ভাবনার কবিতার জোয়ার ছিল তখন। কিন্তু কালক্রমে বাম রাজনীতি মুখ থুবড়ে পড়তে থাকলে কবিরা ডান ঘেঁষা হতে থাকেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিও তলেতলে ডানপন্থি হয়ে যায়। নির্মলেন্দু গুণ তো আওয়ামী লীগের টিকেটে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। তিনি আওয়ামীপন্থি কবি— এটা তো তিনি নিজেও অস্বীকার করবেন না। সম্প্রতি তাঁকে ‘পোয়েট অব বঙ্গবন্ধু’ উপাধি প্রদান করেছে এবং তিনি উল্লসিত মেজাজে ও উৎফুল্ল ঘোষণা সহকারে তা গ্রহণও করেছেন বলে আমরা মিডিয়ায় দেখেছি। অতএব এটা আর কোনো অমীমাংসিত বিষয় নয়।
প্রশ্ন : কবিতার পাশাপাশি তিনি গদ্য এবং ভ্রমণকাহিনি লিখেছেন ও ছবি এঁকেছেন। এই রচনাগুলো পড়া আছে? অভিজ্ঞতা বলুন।
উত্তর : তাঁর প্রবন্ধের বই পড়েছি। তাঁর গদ্য সাবলীল স্বতঃস্ফূর্ত এবং ঝরঝরে। এবং অবশ্যই উপভোগ্য। তাঁর গদ্য পড়ে মনে হয় তিনি দেশ ও দুনিয়া, অর্থনীতি ও রাজনীতি, সমাজ ও সাহিত্য, মানুষ ও পশুপাখি, প্রকৃতি ও বিজ্ঞান প্রভৃতি প্রায় সবকিছু সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখেন এবং সেসবে তাঁর আগ্রহ ও উৎসাহ অদম্য। পাঠকের মনকে আকর্ষণ ও স্পর্শ করতে পারা নির্মলেন্দু গুণের গদ্যের সবচেয়ে বড়ো গুণ। তাঁর আঁকা ছবিও দেখেছি। মনে হয় তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ছবি আঁকায় হাত দিয়েছেন। আমি ছবি বিষয়ে মন্তব্য করার মত শিল্পবোদ্ধা নই। তবে তাঁর প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। এটা তাঁর বহুমাত্রিক মেধার পাশাপাশি অদম্য ও অফুরান প্রাণশক্তির পরিচয় বহন করে।
প্রশ্ন : আধুনিক যুগেও তাঁর কবির মতো বেশভূষা ও যাপন— আপনাদের ঈর্ষা জাগায়?
উত্তর : কবিদের আলাদা বেশভূষা থাকার কথা নয়। টি এস এলিয়ট, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বুদ্ধদেব বসু, সৈয়দ আলী আহসান, শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ প্রমুখ বিখ্যাত কবিগণ কিন্তু আধুনিক ইউরোপীয় পোশাক অর্থাৎ শার্ট প্যান্ট, কোট, টাই ইত্যাদি পরেছেন। শামসুর রাহমান পাঞ্জাবী ধরেছেন অনেক পরে তাঁর প্রধান অতিথি হওয়ার অধ্যায় ও উৎসাহ শুরুর কাল থেকে। কবিদের মধ্যে মূলত জীবনানন্দ দাশ ধুতি-পাঞ্জাবি পরতেন। সেই পোশাকে তাঁকে অন্তত স্মার্ট দেখাত না। কিন্তু অনেকেই মনে করেন কবিরা ‘স্মার্ট’ পোশাকের অধিকারী হবেন না। তারা ঢিলেঢালা কাপড়চোপড় পরবেন, বুকের বোতাম কিংবা ট্রাউজারের জিপার লাগাতে ভুলে যাবেন। তাদের চুল হবে এলোমেলো ও উশকো খুশকো। তারা হবেন নিরীহ, গোবেচারা এবং বাহ্যিক দৃষ্টিতে করুণা আকর্ষণকারী। তারা প্রেমে ছ্যাঁকা খাবেন অথবা একতরফা প্রেমে দগ্ধ হবেন জীবনানন্দ দাশ-বিনয় মজুমদারের মত। তারা বড় চেয়ারের সরকারি চাকরি করবেন না এবং একটা অসহায়ত্বের ব্যঞ্জনা ঘিরে থাকবে থাকবে তাদের উপস্থিতির আলো। আমি ব্যক্তিগতভাবে এসবের সমর্থক নই। আমি মনে করি পোশাক-পরিচ্ছদে কবিরা হবেন আর দশজন মানুষের মতোই স্বাভাবিক সুন্দর। তারা সকল ধরনের পেশায় ও কাজে স্বাভাবিক সাফল্যে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। অধিকন্তু তারা চলনে-বলনে ‘স্মার্ট’ হলে আরও ভালো হয়। নির্মলেন্দু গুণ খুবই স্মার্ট মানুষ । তিনি রসিক, সাহসী এবং কথাবার্তায় সপ্রতিভ। তিনি জীবনানন্দ দাশের মতো লাজুক নন বা কুণ্ঠিত নন কোনো অবস্থানেই । তিনি এক ধরনের পোশাক পরেছেন যেটা তাঁর একসময়ের আবাসনের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খেয়ে যেত। কিন্তু তাঁর সেই পোশাকের সঙ্গে আধুনিকতার কোনো প্রেম-অপ্রেম সম্পর্ক নেই । তিনি কবি হিসেবে জনপ্রিয়, ব্যক্তি হিসেবেও জনপ্রিয় সমানভাবে। কিন্তু নতুন প্রজন্মের কবিরা তাঁর বেশভূষাকে অনুসরণ করে বলে আমার চোখে পড়ে না।
প্রশ্ন : কখন থেকে নির্মলেন্দু গুণের কবিতা পড়া শুরু করেন? বিশেষ কোনোকিছুতে মুগ্ধ হয়েছেন?
উত্তর : আমি গত শতাব্দীর আশির দশকে আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষদিকে নির্মলেন্দু গুণের কবিতার সঙ্গে পরিচিত হই। আমি পলিটিক্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ছিলাম না। কিন্তু মনেপ্রাণে বাম রাজনীতির অনুরাগী ছিলাম। কাজী নজরুল ইসলাম আমার ভালো লাগার কেন্দ্রে ছিল। শরীরে ও প্রাণে তারুণ্য ছিল। নির্মলেন্দু গুণের কবিতায় যৌনতা ছিল, বৈপ্লবিক আবেগ ও উসকানি ছিল। এসবই আকৃষ্ট করেছিল।
নির্মলেন্দু গুণের কবিতার মূলশক্তি হচ্ছে প্রাণ। তিনি নানা ধরনের কবিতা লিখেছেন। প্রচুর সংখ্যক কবিতা লিখেছেন তিনি। তিনি বিবৃতিধর্মী অনেক কবিতা লিখেছেন এবং তুলনামূলকভাবে কম হলেও আঁটোসাঁটো প্রকৃতিরও কবিতা লিখেছেন অনেক। কিন্তু একটিও নিষ্প্রাণ কবিতা লেখেননি তিনি। আদি যুগ, মধ্যযুগ, রোমান্টিক যুগ, আধুনিক যুগ, উত্তরাধুনিক যুগ ইত্যাদি ভেদে কবিতার আঙ্গিকে যতই পরিবর্তন ঘটুক, পাঠকগণ রয়ে গেছেন মূলত হৃদয়কেন্দ্রিক প্রাণবান মানুষ। যারা হৃদয়কেন্দ্রিক প্রাণবান মানুষ নন, তারা কবিতার পাঠক নন বললেই চলে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নন্দনতাত্ত্বিক প্রশ্ন এবং বিভাজিত রাজনৈতিক বিবেচনাজনিত সীমাবদ্ধতা নিয়েই নির্মলেন্দু গুণের কবিতা ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। আর এই গ্রহণযোগ্যতার পেছনে মূলশক্তি হিসেবে কাজ করেছে তাঁর কবিতার প্রাণ-সচ্ছলতা যা পাঠকের প্রাণের সঙ্গে নিজেকে বেঁধেছে বিচিত্রমুখী আবেগের বন্ধনে।
👇Observe extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com