গুচি ব্র্যান্ডের লম্বা সাদা শার্ট। কোমরে বেল্ট। পায়ে মেরুন রঙা হিল। চুলগুলো মাঝ দিয়ে সিঁথি করা। লিপস্টিকে ভেজা ঠোঁট। কানে গোলাকার রঙিন দুল। এমন ছিমছাম সাজেই দারুণ স্নিগ্ধ লাগলো আমেরিকান অভিনেত্রী লিলি গ্ল্যাডস্টোনকে। ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারকদের একজন হিসেবে সাগরপাড়ের শহরে ফিরেছেন তিনি।
গত বছর কান উৎসবে ‘কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন’ নিয়ে এসেছিলেন লিলি। মার্টিন স্করসিসের পরিচালনায় এতে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর পাশাপাশি অনবদ্য অভিনয়ের সুবাদে অস্কারে সেরা অভিনেত্রী বিভাগে প্রথম আদিবাসী আমেরিকান হিসেবে মনোনয়ন পেয়ে ইতিহাস গড়েন তিনি। বছর ঘুরতেই ভূমধ্যসাগরের তীরে আবারও পা পড়লো তার, তবে এবার বিচারকের আসনে বসেছেন ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা।
নতুন দায়িত্বকে বিশেষ সুযোগ হিসেবে দেখছেন লিলি। সংবাদ সম্মেলনের সঞ্চালক দিদিয়ের আলুশের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘যেসব নির্মাতা নিজেদের ছবি জমা দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ।’
মঙ্গলবার (১৪ মে) স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে উৎসবের প্রাণকেন্দ্র পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের তৃতীয় তলায় সংবাদ সম্মেলন কক্ষে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের বাকি ৮ বিচারকের সঙ্গে হাজির হন লিলি। প্রশ্নোত্তর পর্বে বাংলা ট্রিবিউন-এর এই প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয় লিলির। প্রশ্নটি ছিলো এমন, আপনি একজন আদিবাসী আমেরিকান। বাংলাদেশে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের কয়েকটি সম্প্রদায় আছে, যাদের প্রতিভা, জীবনযাপন ও সংস্কৃতি বেশ অনুপ্রেরণাদায়ক। বড় পর্দায় উপজাতিদের তুলে ধরার ক্ষেত্রে গোটা বিশ্বের চিত্রটা কেমন দেখেছেন?
উত্তরে লিলি বলেন, ‘চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে অবশ্যই আমি অন্য আদিবাসীদের মতো অনুভব করি, আমরা একে অপরের প্রতিনিধিত্বকে দ্রুত বুঝতে পারি। যদিও আমরা আদিবাসীরা বৈচিত্র্যময় বৈশ্বিক সম্প্রদায়, তবুও আমরা কীভাবে বিশ্বকে দেখি এবং জীবনযাপন করি সেসব সবারই জানা। চলচ্চিত্রের প্রতি আমার বরাবরই ভালো লাগা কাজ করে। আদিবাসী আমেরিকান পরিচালক ও গল্পকারদের কাজ দেখার আগে থেকেই বিশ্বের অন্যান্য দেশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাজে অনুরণন টের পেতাম।’
এবারের আসরে স্বর্ণপাম জিতবে কোন চলচ্চিত্র, সেটি নির্বাচনের গুরুদায়িত্ব মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারকদের কাঁধে। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ‘বার্বি’র পরিচালক গ্রেটা গারউইগ। প্রথম আমেরিকান নারী হিসেবে কানে বিচারকদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ইতিহাস গড়েছেন ৪০ বছর বয়সী এই পরিচালক-চিত্রনাট্যকার। নারীদের মধ্যে কানে সর্বশেষ একদশক আগে নিউজিল্যান্ডের জেন ক্যাম্পিয়ন মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের প্রধান বিচারক ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অস্কার মনোনীত গ্রেটা গারউইগ বলেন, ‘কানে মূল প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক হওয়া স্বপ্নপূরণের চেয়ে বেশি কিছু। এমন কোনও স্বপ্নই দেখিনি। নিজেকে এখানে দেখে এখনও আমি অবাক!’
এবারের আসরকে কেন্দ্র করে মিটু হ্যাশট্যাগ ও ফ্রিল্যান্সার কর্মীদের ধর্মঘটসহ বেশ কিছু বিতর্কিত বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের মুখে পড়েন বিচারকরা। গ্রেটা আর লিলি ছাড়াও মূল প্রতিযোগিতার বিচারক প্যানেলে আছেন ফরাসি অভিনেত্রী এভা গ্রিন, লেবানিজ পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার নাদিন লাবাকি, তুর্কি চিত্রনাট্যকার ও আলোকচিত্রী এব্রু জেলান, জাপানিজ পরিচালক হিরোকাজু কোরি-এদা, ইতালিয়ান অভিনেতা পিয়ারফ্রান্সেসকো ফাভিনো, স্প্যানিশ পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার হুয়ান আন্তোনিও বায়োনা, ফরাসি অভিনেতা-প্রযোজক ওমর সি।
এভা গ্রিন বলেন, ‘কানে মূল প্রতিযোগিতার বিচারক হওয়া কঠিন কাজ। কারণ তাদের সিদ্ধান্ত যেকোনও চলচ্চিত্র পরিচালকের জীবন বদলে দিতে পারে।’
২০১৮ সালে স্বর্ণপাম জয়ী জাপানের হিরোকাজু কোরি-এদা বলেন, ‘চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে আমাকে পরিণত হতে সহায়তা করেছে কান উৎসব। এবার আমার দায়িত্ব পালনের পালা।’
সংবাদ সম্মেলন শেষ হতেই ফটকের বাইরে ফের সাক্ষাৎ হয় বাংলা ট্রিবিউন প্রতিনিধির সঙ্গে। অটোগ্রাফের খাতা-কলম এগিয়ে দিতেই মৃদু হেসে বললেন, ‘আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ।’ এরপর অটোগ্রাফসহ লিখে দিলেন, ‘থ্যাংক ইউ জনি।’
সংবাদ সম্মেলনে আসার আগে ৯ বিচারক ফটোকলে অংশ নেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির হওয়ার আগে তারা জমকালো পোশাকে লালগালিচায় জৌলুস ছড়িয়েছেন। সেখানেও সবার চোখে আটকে ছিল লিলির হাসিতেই!
👇Comply with extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com