সেই ২০১৪ সালে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছিল নেপাল। এরপর দীর্ঘ বিরতি। পাক্কা ১০ বছর বিরতির পর ফের যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে চলমান বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায় তারা। আজই ছিল নেপালের বিশ্বকাপের ময়দানের প্রত্যাবর্তন ম্যাচ।
দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ডালাস যেন হয়ে উঠলো কীর্তিপুর! নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচটি হয়তো জিততে পারেনি নেপাল। কিন্তু নেপালের সমর্থকরা ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে যেভাবে তাদের দলের জন্য গলা ফাটিয়েছেন সেটি দেখেছে বিশ্ববাসী। একটু পরপরই যেন গ্যালারিতে উঠেছে মেক্সিকান ওয়েভ। তাদের এই চিৎকার-উচ্ছ্বাস ডাচ সমর্থকরাও প্রাণভরে উপভোগ করছিলেন। তবে ডাচদের বিপক্ষে ৬ উইকেটের হারে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রত্যাবর্তন ম্যাচটি সুখকর হলো না নেপালের।
মঙ্গলবার রাতে নেদারল্যান্ডেসের সঙ্গে সমানে সমান লড়াই করেছে নেপাল। আগে ব্যাটিং করে ১০৬ রান তুলতে পারে এক দশক পর বিশ্বকাপে খেলতে আসা নেপাল। মামুলি এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে সহজে জিততে পারেনি ডাচরা। নেপাল বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে কঠিন চাপে পড়ে যায় নেদারল্যান্ডস। শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ১৩ রানের। তবে ১৯তম ওভারে অবিনাশ ভোহারার প্রথম ৪ বলেই সমীকরণ মিলিয়ে ফেলে নেদারল্যান্ডস। ৮ বল আগে ৬ উইকেটের এই হারেও যেন গর্ব খুঁজে পাচ্ছেন নেপালের সমর্থকরা! ডাচ ব্যাটার বাস ডি লিড কভার দিয়ে অবিনাশকে চার মেরে জয় নিশ্চিত করতেই নেপালের সমর্থকরা দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে অভিবাদন জানালেন। সেই অভিবাদন যে নিজ দেশের ক্রিকেটারদের জন্য সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না।
ডাচ ব্যাটারদের কাছে ১০৭ রানের লক্ষ্যটা সহজই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নেপালের বোলারদের কল্যাণেই ম্যাচটি এতোদূর পর্যন্ত গড়িয়েছে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই নেপালের পেসার সোমপাল কামি তুলে নেন ওপেনার মাইকেল লেভিটের উইকেট। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ম্যাক্স ও’ডাউড ও বিক্রমজিৎ সিং মিলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলেছিলেন। তবে ৪৩ বলে ৪০ রানের জুটির পর অফস্পিনার দীপেন্দ্র সিং আইরি ফেরান বিক্রমজিৎকে।
এরপর আরও দুই উইকেট হারালেও ম্যাক্সের দায়িত্বশীল ইনিংসের কল্যাণে জয় তুলেই মাঠ ছাড়ে নেদারল্যান্ডস। ম্যাক্স ৪৮ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৫৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। তার সঙ্গে বাস ডি লিড ১১ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে নেপাল। ২০১৪ সালে প্রথমবার নেপাল যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে, তখন রোহিত পাউদেলের বয়স ছিল ১১ বছর। আজ সেই রোহিতের কাঁধে ভর করেই স্কোরবোর্ডে লড়াই করার মতো পুঁজির সংস্থান করে নেপাল। ৩৭ বলে ৫ চারে ৩৫ রানের ইনিংসটি খেলেন নেপালের অধিনায়ক। ব্যাটিং নেমে পাওয়ার প্লেতেই দুই ওপেনার হারিয়ে বসেছিল হিমালয়কন্যা হিসেবে পরিচিত দেশটি। কুশল ভুর্তেল ৭ ও আসিফ শেখ করেন ৪ রান। এরপর একে একে চলছিল যাওয়া আসার মিছিল। তবে দলের ২১ বছর বয়সী অধিনায়কের দায়িত্বশীল ইনিংসেই শেষ রক্ষা হয়।
রোহিত যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন নেপালের দর্শকদের কণ্ঠে কেবল ছিলো-‘রোহিত পাউদেল, রোহিত পাউদেল’। গ্যালারিতে দর্শকদের উচ্ছ্বাস দেখে বোঝার উপায় ছিল না, ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে তাদের দেশ। শুধু নেপালের ব্যাটিং ইনিংসেই নয়, ম্যাচের পুরোটা সময়ই গ্যালারি মাতিয়ে রেখেছে নেপালের দর্শকরা। ডালাসের এই গ্যালারিকে এক টুকরো কীর্তিপুর বললেও ভুল হবে না।
নেপালে ক্রিকেট নিয়ে উন্মাদনা আছে আগে থেকেই। তবে ১০ বছর পর এবার ফের বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ায় সেই উন্মাদনা আরও বেড়েছে। তাইতো ম্যাচের দিন কাঠমান্ডু আর কীর্তিপুরেও উৎসব হয়েছে রীতিমতো। স্টেডিয়াম ছাড়াও হাজার হাজার মানুষ খেলা দেখেছেন জায়ান্ট স্ক্রিনে। শুধু সাধারণ দর্শকরা নন, নেপালের এই ক্রিকেট উৎসবে সামিল হয়েছেন দেশটির সংসদ সদস্যরাও। ম্যাচের নেপালের জার্সি গাযয়ে সংসদ সদস্যদের অফিস করতেও দেখা গেছে।
👇Observe extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com