Sunday, October 19, 2025

সিরিয়ায় ছায়া অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল?


সিরিয়ায় অস্ত্রের গুদাম, সরবরাহ রুট ও ইরান-সংশ্লিষ্ট কমান্ডারদের বিরুদ্ধে গোপন হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। সাত আঞ্চলিক কর্মকর্তা ও কূটনীতিক এই তথ্য জানিয়েছেন। ইরানের প্রধান মিত্র লেবাননের হিজবুল্লাহর ওপর সর্বাত্মক হামলার হুমকি দেওয়ার পর এই হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

সূত্রগুলোর মধ্যে তিন জন জানিয়েছেন, আলেপ্পোর কাছে একটি গোপন ও সুরক্ষিত অস্ত্রের গুদামকে লক্ষ্য করে ২ জুন বিমান হামলা হয়। ওই হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) এক উপদেষ্টাসহ ১৮ জন নিহত হন। আর চারটি সূত্র বলেছিল, মে মাসে লেবাননের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া ট্রাকের একটি গাড়িবহরকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই গাড়িবহরে ক্ষেপণাস্ত্রের যন্ত্রাংশ ছিল। আরও একটি অভিযানে হিজবুল্লাহর কয়েকজন কর্মী নিহত হন।

বছরের পর বছর ধরে সিরিয়া এবং অন্যান্য দেশে চিরশত্রু দেশ ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইসরায়েল। তবে এইসব হামলা এতদিন স্বল্প পরিসরের ছিল। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গোপন হামলার এই পরিসর বেড়েছে। ইরান সমর্থিত আরেকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস, যেটি ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছিল।

ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসি থিঙ্ক ট্যাঙ্কের একটি সমীক্ষা অনুসারে, ৭ অক্টোবরের হামলার আগের দুই বছরে সিরিয়ায় কয়েক ডজন বিপ্লবী গার্ড ও হিজবুল্লাহ অফিসারকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।

এপ্রিলে দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়লের বোমা হামলায় শীর্ষ আইআরজিসি কমান্ডার নিহত হলে লেভান্ত অঞ্চলে ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা চরম মাত্রায় পৌঁছে। প্রতিশোধমূলক হামলায় ইসরায়েলি ভূখন্ডে প্রায় ৩০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করে ইরান। তবে সেগুলোর প্রায় সবক’টি গুলি করে ধ্বংস করে ইসরায়েল। এরপর ইরানের ভূখণ্ডে পাল্টা ড্রোন হামলা চালায়।

এটিই ছিল ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে প্রথম সরাসরি সংঘর্ষের ঘটনা, যা বেশিদূর এগোতে পারেনি।

ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের বক্তব্যকে সমর্থন করে ফরাসি কূটনীতিক সেলিন উইসাল বলেছেন, ইসরায়েল ইরান-সমর্থিত যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে হামলার সংখ্যা কিছুটা কমিয়েছে। তার ভাষায়, এপ্রিলে শুরুতেই তাদের হামলার গতি ‘মন্থর ছিল।’

তিনি বলেছিলেন, ‘তবে লেবাননে সন্দেহভাজন ইরানি অস্ত্র স্থানান্তরের কারণে হামলার গতি আবারও বাড়িয়েছে ইসরায়েল। ইরান ও হিজবুল্লাহর মধ্যকার সাপ্লাই চেইনকে ব্যাহত করার লক্ষ্যে সিরিয়া ও লেবাননে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তারা।’

ইসরায়েলের সিরিয়া অভিযান নিয়ে তিন সিরীয় কর্মকর্তা, এক ইসরায়েলি সরকারি কর্মকর্তা এবং তিন পশ্চিমা কূটনীতিকের সাক্ষাৎকার নিয়েছে রয়টার্স। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্পর্শকাতর এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়েছেন তারা।

২ জুনের হামলাসহ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আলেপ্পো ও হোমস শহরের চারপাশে ঘটে যাওয়া ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছেন সিরীয় কর্মকর্তারা।

সাক্ষাৎকার নেওয়া সেসব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের নেওয়া পদক্ষেপগুলো হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক হামলার প্রস্তুতি নেওয়ার ইঙ্গিত ‍দিচ্ছে। গাজায় অভিযান বন্ধ করার পরই সম্ভাব্য সেই হামলা শুরু করতে পারে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, ‘লেবাননে আসন্ন উত্তেজনা নিয়ে আমাদের নেতাদের বক্তব্য স্পষ্ট।’

গত সপ্তাহে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, তার দেশ লেবাননের সঙ্গে সীমান্তে ‘খুবই শক্তিশালী পদক্ষেপ’ নিতে প্রস্তুত ছিল। ৮ অক্টোবর থেকে সেখানে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের সংঘর্ষ চলছে।




👇Observe extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles