Saturday, February 22, 2025

‘শহীদ মিনারে আন্দোলনে আহতদের অপদস্থ করা হয়েছে’


কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের অপমান ও অপদস্থ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আবির আহমেদ শরীফ। রবিবার (৫ জানুয়ারি) জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আহতদের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন। 

উল্লেখ্য, নতুন আত্মপ্রকাশ করা রাজনৈতিক দল জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের কর্মসূচি চলাকালে হট্টগোল ও হামলার মধ্যে এক অতিথিকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি ফারুক হাসান আহত হন।

সংবাদ সম্মেলনে আবির আহমেদ শরীফ বলেন, আমাদের সমস্যা একটাই, আমরা আমাদের কথাগুলো ঠিকভাবে বলতে পারি না। কারণ, আমরা আহত, আমরা অসুস্থ, আমরা হাসপাতালের বারান্দায় শুয়ে থাকি। আমরা যে কারও সঙ্গে কথা বলবো, কিংবা আমাদের কথাগুলো কারও কাছে উপস্থাপন করবো, আমরা পারি না করতে। তাই আমাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক প্যানেল থেকে ডাকা হয়, আমরা আহতরা বুঝে ও না -বুঝে চলে যাই। কারণ আমাদের পুনর্বাসন, উন্নত চিকিৎসা, ১৯৭১ সালের জাতীয় বীরদের মতো মর্যাদা পাওয়ার আশায় আমরা সবার কাছে যাই। দেশের জনগণের কাছে মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের কথাগুলো তুলে ধরার আশায় আমরা সব দাওয়াতে অংশগ্রহণ করি।

তিনি আরও বলেন, অনেকদিন ধরে অনেক সংস্থার পক্ষ থেকে আমাদের দাওয়াত করা হয়। আমরা মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার পরও আহতদের মধ্যে থেকে ২-৪ জন পাঠানোর ব্যবস্থা আমরা করি। আজকে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বে যিনি আছেন, সমন্বয়কের দায়িত্বে যারা আছেন, তাদেরকে তো শুধু আমাদের নিয়ে কাজ করলে হবে না, তারা রাষ্ট্রের সব জনগণকে নিয়ে কাজ করবেন। আমরা যে গণঅভ্যুত্থান করেছি, সেটি ১৯৭১ সালকেও হার মানিয়েছে। সেটা এই জাতিকে স্বীকার করতে হবে। দুঃখ-কষ্ট নিয়ে আমরা আজ জাতির কাছে হেয় হচ্ছি। আমাদেরকে যেভাবে অপদস্থ করা হচ্ছে এটা আমরা দেশের কাছে, রাষ্ট্রের কাছে কখনও আশা করিনি।

আহতদের পক্ষে তিনি জানান, আমাদেরকে দাওয়াত দিয়ে আপনারা অপমান অপদস্থ করতে পারেন না। গতকাল (শনিবার) আমরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি। সেই অনুষ্ঠানের নামও আমি মুখে নিতে চাই না, সেই দলের নামও আমি মুখে নিতে চাই না। সেখানে দাওয়াত দিয়ে অপমান, অপদস্থ করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

শরীফ জানান, ওই দলের মুখপাত্র ফারুক সাহেব সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি ইউনূস সাহেবকে নিয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বিব্রতকর, উসকানিমূলক কিছু কথা বলেন। রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্যও তিনি রাখেন। তিনি সেখানে আহতদের উন্নত চিকিৎসা, পুনর্বাসন নিয়ে বলতে পারতেন। ফারুক সাহেবের কথা শুনে এক ভাই সাইফুল স্টেজে গিয়ে বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। সাইফুল বলেন, আহত শহীদ পরিবার নিয়ে আপত্তিকর কথা বলতে পারেন না। একথা বলার পর জাতীয় ঐক্য পরিষদের কিছু নেতাকর্মী তার কলার ধরে স্টেজের পেছনে নিয়ে যায়। সেখানে আমাদের ভাইদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। সাইফুলের এক চোখ অন্ধ, তারা সাইফুলকে টেনে নিয়ে মারধর করে, তখন তাকে বাঁচানোর জন্য আমরা উপস্থিত হই।

শরীফ আরও বলেন, ফারুক সাহেবকে নাকি ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আহতরা সেখানে ছুরি পাবে কোথায়? তারা তো হাসপাতাল থেকে গিয়েছে। আমাদের গায়ে যে হাত তুলবে, আমাদের জীবন বাঁচানোর জন্য তো রক্ষা করবো। এক পর্যায়ে আমরা তাকে ধাক্কা দেই। এক পর্যায়ে সেখানে সে পড়ে যায়। পড়ে গিয়ে হয়তো তার মাথা ফেটে গেছে। কিন্তু তার নেতাকর্মী বলছে— ছুরি দিয়ে জখম করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা আহত ছাত্র- জনতা সন্ত্রাসী না।   

এসময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্য আহতরাও উপস্থিত ছিলেন।   

 




👇Comply with extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultractivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 bdphoneonline.com
👉 dailyadvice.us

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles