Tuesday, February 4, 2025

বাইডেনের চিঠির ফলোআপ করতে লু আসছেন: ওবায়দুল কাদের


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফর নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে পাঠানো মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের চিঠির ফলোআপ করতে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে আসছেন।

রবিবার (১২ মে) বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।

ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফর নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বক্তব্য উত্তাপ ছড়াচ্ছে কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা কোনও উত্তাপ ছড়াতে চাইনি। আমরা বিএনপির হাসিখুশি ভাব দেখলাম। তারা হঠাৎ চাঙা হয়ে গেছে! সামনে তো কিছু নেই। এখন ডোনাল্ফ লু এলে সামনে কিছু করার অভিসন্ধি আছে কিনা সেটা বিএনপিই ভালো জানে। আমাদের সঙ্গে তাদের আলোচনা হবে। আমেরিকার সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের যে চিঠি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে, সেটার ফলোআপ করার জন্যই আসছেন ডোনাল্ড লু। আমরা সেটাই মনে করি।’

ডোনাল্ড লু দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আসছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন। আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেবে কিনা এ ধরণের উদ্ভট চিন্তাও বিএনপির থাকতে পারে। তারা এমন অনেক উদ্ভট চিন্তা করে বার বার প্রলাপ বকেছিল। জনগণ দ্বারা প্রত্যাখাত হয়ে বেসামাল হয়ে পড়েছে।’

জয়ী হওয়ার নিশ্চয়তা ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে চায় না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ফখরুল সাহেব জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেছেন। তাদের সময় দেশের মানুষকে অর্ধাহারে, অনাহারে থাকতে হতো। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে শুধু খাদ্য নিরাপত্তাই নিশ্চিত করেননি বরং খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি দেশকে আবারও খাদ্য ঘাটতির দিকে নিয়ে যায়। চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ সরকার যথেষ্ট উন্নত করেছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা নির্বাচনের আগেই বলেছেন, নির্বাচনের পর দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির পায়তারা চলছে। নেতাকর্মীদের তিনি এ বিষয়ে সতর্ক করে দেন। কাজেই আপনারাও জানেন, কথাটা সত্য নয়। শেখ হাসিনা কিন্তু বলেননি নির্বাচন হলেই সংকট কেটে যাবে। তিনি বলেছেন দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হতে পারে। সে চেষ্টা অনেকেই করছেন আন্তর্জাতিকভাবে ও দেশের অভ্যন্তরে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সংবাদ মানেই অসত্যকে সত্য বলে চালানোর কৌশল। সত্যকে পাশ কাটিয়ে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরা, নিজের অতীত অপকর্ম ভুলে গিয়ে অপরের ওপর দায় চাপিয়ে দেওয়া। বিএনপি নেতারা নেতিবাচক রাজনীতিতে জড়িয়ে অবিরাম মিথ্যাচার, অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। কোন অদৃশ্য শক্তি বাংলাদেশ চালাচ্ছে পরিষ্কার করে ফখরুল সাহেব বলবেন কী?’

তিনি বলেন, ‘এখন দেশটা নাকি আমরা চালাচ্ছি না। একটা নির্বাচিত সরকার ৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে সরকার গঠন করেছে। নিরপেক্ষ নির্বাচন বলতে যা বুঝায়, সেই রকম একটা নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন সক্ষম হয়ছে।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালের আগে নির্বাচন ব্যবস্থা কী ছিল? নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রীর অধীনে ছিল। সেখান থেকে সংসদে আইন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন করা হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে শেখ হাসিনা স্বাধীন করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি এমন একট নির্বাচন কমিশন চায়, যে কমিশন বিএনপিকে জেতার গ্যারান্টি দেবে। বিজয় লাভের নিশ্চয়তা ছাড়া এই দল নির্বাচন অংশ নিতে চায় না।’

এ সময় আরও ছিলেন– আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।




👇Observe extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles