অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের দশম বর্ষপূর্তি আজ (১৩ মে)। এগারোতে পা রাখলো দেশের জনপ্রিয় অনলাইনভিত্তিক এই গণমাধ্যমটি। ২০১৪ সালের ১৩ মে যাত্রা শুরু করা বাংলা ট্রিবিউন এরইমধ্যে পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ‘সঠিক সময়ে সঠিক খবর’ স্লোগানটিকে ধারণ করে পাঠকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে। সাংবাদিকতার নীতি মেনে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে চলছে বাংলা ট্রিবিউন।
দীর্ঘ এক দশক পথচলায় বাংলা ট্রিবিউন সঙ্গে পেয়েছে বাংলাদেশ ও বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি বাংলাভাষীকে। বাংলা ট্রিবিউনের সবচেয়ে বড় শক্তি তার পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীরা। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই বিশেষ দিনে বাংলা ট্রিবিউন তার পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছে।
ডিজিটাল গণমাধ্যমের উৎকর্ষতার এই সময়ে বাংলা ট্রিবিউন জন্মলগ্ন থেকেই প্রচলিত অনলাইন পোর্টালের বাইরে নতুন কিছু করতে চেয়েছে। তার দৃষ্টান্তও দেখিয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি বছরই বিশেষ ছাপা সংখ্যা বের করে আসছে। বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় এ বছরও বাংলা ট্রিবিউনের ছাপা সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। দশম বর্ষপূর্তির ছাপা সংখ্যায় সরকারের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যকে থিম হিসেবে নেওয়া হয়েছে। বর্ষপূর্তি ছাড়াও বিশেষ বিশেষ দিবস ও ইভেন্টকে সামনে রেখে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে আসছে বাংলা ট্রিবিউন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশের বিশিষ্ট ৫০ বীর মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষাৎকারভিত্তিক বই ‘জয় বাংলা’ প্রকাশ করেছে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলা ট্রিবিউনের এ ধরনের আরও প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
ডিজিটাল প্রযুক্তির উৎকর্ষতার এ যুগে পাঠকরা কেবল সংবাদ পড়ে সন্তুষ্ট নন। পাশাপাশি তারা দেখতে চান ঘটনার স্থির ও ভিডিও চিত্র। পাঠক নিজেও তার মতামত দিয়ে সংবাদের অংশ হয়ে থাকতে চান। পাঠকদের সব চাহিদা পূরণ করতেই বাংলা ট্রিবিউন প্রয়োজনীয় অডিও-ভিডিও উপস্থাপনের পাশাপাশি নিয়মিত টকশো, সংবাদের বিশ্লেষণধর্মী লেখা প্রকাশ করে থাকে। গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা লাইভও সম্প্রচার করে আসছে।
দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত পৃথক বাণী দিয়েছেন। পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলা ট্রিবিউনের প্রকাশক কাজী আনিস আহমেদ এবং সম্পাদক জুলফিকার রাসেল।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেন, ‘বাংলা ট্রিবিউন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় অনলাইন পত্রিকা। এক দশক ধরে জাতীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, সমস্যা, সুযোগ-সম্ভাবনা ও জনমতকে সরকারের সামনে তুলে ধরতে পত্রিকাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করার পাশাপাশি বাংলা ট্রিবিউন দেশ ও জনগণের কল্যাণে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে, এটাই সবার প্রত্যাশা।’
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তার বাণীতে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দায়িত্বশীল ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে বাংলা ট্রিবিউনকে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে জরুরি সংবাদটি সাধারণ মানুষের কাছে সঠিক ও দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছে দিতে বাংলা ট্রিবিউনের প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। প্রতিষ্ঠানটি সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে আশা করি।’
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত তার বাণীতে বলেন, ‘সারা বিশ্বে অপতথ্য ও ভ্রান্ত তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই এখন দৃশ্যমান বাস্তবতা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে খুব সহজেই অপতথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশও এর থেকে মুক্ত নয়। বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি দেশের অন্যতম অনলাইন গণমাধ্যম হিসেবে বাংলা ট্রিবিউন অপতথ্য ও ভুল তথ্যের বিপরীতে সত্য প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। তাহলে বস্তুনিষ্ঠতার বিচারে আরও গ্রহণযোগ্য ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবে এই অনলাইন গণমাধ্যম।’
গত তিন দশকে প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের রূপ বদলেছে উল্লেখ করে বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশক কাজী আনিস আহমেদ বলেন, ‘এই পরিবর্তন আগামী এক দশকে সাংবাদিকতাকে আরও ত্বরান্বিত করবে। মুখোমুখি হবে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জেরও। সেসব চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলায় যারা নিজেকে যতটা প্রস্তুত করতে পারবে, সময়টা তাদের হবে। বরাবরের মতো বাংলা ট্রিবিউন সেই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত ও পারঙ্গম।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্রান্তিকালে বাংলা ট্রিবিউন এক দশক ধরে দক্ষতা ও স্থিরতার সঙ্গে এই সত্য উপস্থাপনের কাজটা যেভাবে করে এসেছে, সেজন্যে প্রকাশক হিসেবে আমি গর্বিত। এর সব কৃতিত্ব আমাদের সাহসী, ধীমান ও একনিষ্ঠ সহকর্মীদের।’
প্রকাশক আরও বলেন, ‘সৎ সাংবাদিকতার জন্য নির্ভয় পরিবেশের পাশাপাশি দরকার ডিজইনফরমেশন রোধ ও প্রাইভেসির সুরক্ষা। একটার অজুহাতে যেন অন্যটিকে ক্ষুণ্ন করা না হয়। সব দায়িত্বশীল পক্ষের সঙ্গে সাংবাদিকতার স্মার্ট যুগে বাংলাদেশকেও পৌঁছে দিতে বাংলা ট্রিবিউন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বাংলা ট্রিবিউন সম্পাদক জুলফিকার রাসেল বলেন, ‘বাংলা ট্রিবিউন গত ১০ বছরে নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পথ চলছে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, নতুন প্রযুক্তি- সব ধরনের চ্যালেঞ্জকেই মোকাবিলা করতে হয়েছে আমাদের। তরুণদের একটি দল নিয়ে আমরা যাত্রা করেছিলাম, সেটা এখন অনেক পরিণত। প্রত্যেকেই জানে কোন কাজটা তাকে কীভাবে করতে হবে।’
সম্পাদক আরও বলেন, ‘সংকট থাকবে, সারা বিশ্বে গণমাধ্যম সংকটে আছে। রাজনৈতিক চাপ থাকে, অর্থনৈতিক চাপ থাকে। এমন নানামুখী চাপের ভেতরেই সাংবাদিকতা করতে হয়। এটা নতুন নয়। গণমাধ্যমের ইতিহাস দেখলে বোঝা যায়, কেউই খুব সহজভাবে পথ চলতে পারেনি। তবু শেষ পর্যন্ত পাঠকদের জন্যই সাংবাদিকতা করে যেতে হয়। সাংবাদিকতা কোনও চাকরি নয়, এটা সমাজ-দেশ-জাতির প্রতি দায়িত্ব পালন করা।’
তিনি বলেন, ‘বাংলা ট্রিবিউন যাত্রালগ্ন থেকেই কখনও তথ্যের সঠিকতার সঙ্গে আপস করেনি। কখনও পাঠককে বিভ্রান্ত করেনি। যদি কখনও ভুল হয়, সঙ্গে সঙ্গে সেটার জন্য ক্ষমা চাইতেও আমরা কুণ্ঠাবোধ করিনি। ক্ষমা চাইলে কেউ কখনও ছোট হয় না, বরং আস্থার জায়গা বাড়ে। আমরা এমনটাই মনে করি। আমরা এটিও মনে করি, দ্রুত সংবাদ পরিবেশনের চেয়ে সঠিক সংবাদ পরিবেশন জরুরি।’
👇Comply with extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com