বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় হওয়া জলোচ্ছ্বাসে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ দিয়ে লোকালয়ে এখনো পানি ঢুকছে। ফলে নষ্ট হচ্ছে ফসলের খেত। তলিয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি। দ্রত সময়ের মধ্যে বাঁধ মেরামতের দাবি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বরগুনায় ৮ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হয়। সেসময় জেলার বিভিন্ন স্থানে ১৮টি পয়েন্টের প্রায় দুই কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে যায়। বরগুনা সদর উপজেলার গুলিশাখালী, বাওয়ালকার, জাঙ্গালিয়া, বাঁশবুনিয়া, পোটকাখালী, পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা, মাদারতলী এবং আমতলী উপজেলার পশুর বুনিয়া, ছোপখালীসহ অর্ধশতাধিক গ্রামে ভেঙে যাওয়া বাঁধের স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। বাঁধ মেরামত না হওয়ায় পানি এখনো প্রবেশ করছে। ফলে ওইসব এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
শুক্রবার (৩১ মে) সরেজমিনে বরগুনা সদর উপজেলা বদরখালী ইউনিয়নের বিষখালী নদীর তীরবর্তী গুলিশাখালী, বাওয়াকার, কুমড়া খালী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ছয়টি স্থানে প্রায় ৪০০ ফুট বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। এই বাঁধের অভ্যান্তরে সাতটি গ্রামের ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ প্রতিদিন জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছেন।
কুমড়াখালী এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মালেক হাওলাদার জানান, ঘূর্ণিঝড়ের রাতে জলোচ্ছ্বাসে এই বাঁধ ভেঙে যায়। এরপর থেকে প্রতিদিনের স্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হন তারা। বাঁধ মেরামতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তালতলী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া প্রায় আধা কিলোমিটার বাঁধের এক তৃতীয়াশং জোয়ারের পানির তোড়ে বিষখালী নদীতে বিলীন হয়েছে। বাঁধ ভেঙে লোকালয় পানি ঢুকে ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
বরগুনা সদর উপজেলার গুলিশাখালী গ্রামের চিত্র একই রকম। স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল কুদ্দুস মিয়া বলেন, ঘূর্ণিঝড় শুরুর কিছু সময় পর আমরা দেখতে পাই, আমাদের বাঁধ ভেঙে লোকালয়ের ভেতরে পানি ঢুকে পড়ছে। কিছু সময়ের মধ্যে পানিতে আমাদের গ্রাম তলিয়ে যায়। এখনো প্রতি জোয়ারে আমাদের এই গ্রামে বিষখালী নদীর পানি প্রবেশ করছে।
একই গ্রামের অপর বাসিন্দারা বলেন, বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর এলাকার ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। ঘূর্ণিঝড় সিডরেও এমন অবস্থা হয়নি। আমাদের বাঁচাতে হলে এই ভাঙা বাঁধ দ্রুত মেরামত করা দরকার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৭-৮ ফুট উচ্চতায় নদীর পানি প্রাবাহিত হয়েছে। একারণে জেলার ১৮টি পয়েন্টের প্রায় দুই কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে। আমরা এসব বাঁধের ভাঙা স্থান মেরামতের কাজ শুরু করেছি।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বরগুনা সদরের জাঙ্গালিয়া ভাঙ্গা বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেছেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু। বন্যার এতোদিন পরেও কেন ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামত কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি জানতে চান পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে। ভোগান্তির শিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সরকারি ও তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে পৃথকভাবে নগদ অর্থ ও খাবার বিতরণ করেন তিনি।
শুক্রবার সকাল ১১টায় সদরের পোটকাখালী এলাকা পরিদর্শন করেন গোলাম সরোয়ার টুকু। সেখানেও কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। সরকারি ও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগদ অর্থ ও খাবার বিতরণ করেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাদের সহায়তা প্রয়োজন, তাদের সবাইকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আর্থিক ও খাবার সহায়তার পাশাপাশি অন্যান্য সব ধরনের সহায়তা করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত সব পরিবার সহায়তা পাবেন।
তিনি আরও বলেন, ভাঙা বেরিবাঁধ দ্রুত মেরামতের জন্য নির্দেশ দিয়েছি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে। সব বিষয়ে নজর রেখেছি। মানুষের ভোগান্তি শেষ হবে দ্রুত সময়ের মধ্যে।
👇Comply with extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com