ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে সমর্থনের ব্যাপারে বেইজিং যদি তাদের নীতির পরিবর্তন না করে, তবে চীনকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ। রাশিয়ার যুদ্ধকে সমর্থন করার পাশাপাশি ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করায় বেইজিং উভয় পক্ষকে সন্তুষ্ট করতে চাইছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ন্যাটোর প্রধান ওয়াশিংটন সফরের সময় বিবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন। বেইজিংয়ের দ্বিমুখী নীতি দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করবে না- এমনটি বলেন তিনি। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ থামানোর কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গত সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত একটি শান্তি সম্মেলনে পশ্চিমা বিশ্বের কয়েক ডজন দেশ ইউক্রেনকে সমর্থন করার প্রতিশ্রতি দিয়েছে। তবে মস্কো এই সম্মেলনকে ‘সময়ের অপচয়’ অভিহিত করে বলেছে, রাশিয়া আংশিকভাবে দখল করেছে এবং দখলের দাবি করেছে এমন চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেন সেনা প্রত্যাহার করলে মস্কো শান্তি আলোচনায় সম্মত হবে।
রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের ব্যাপারে ন্যাটো সদস্যদের করণীয় প্রসঙ্গে বিবিসির প্রশ্নের জবাবে ন্যাটো প্রধান স্টলটেনবার্গ জানান, সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘চীন রাশিয়াকে অনেক প্রযুক্তি সরবরাহ করছে যেমন- মাইক্রো ইলেকট্রনিকস, যা রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য চাবিকাঠি। চীনা এই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরিকৃত অস্ত্র ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে রাশিয়া।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘কিছু ক্ষেত্রে, চীন যদি তাদের নীতি পরিবর্তন না করে, তাহলে আমাদের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।’
মস্কোকে সমর্থন করার কারণে বেইজিং ইতিমধ্যে বেশ কিছু মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছে। সর্বশেষ গত মাসে চীন ও হংকংভিত্তিক প্রায় ২০টি সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বেইজিং মস্কোর সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রক্ষা করে জানিয়েছে, তারা প্রাণঘাতী অস্ত্র বিক্রি করছে না এবং আইন ও প্রবিধান অনুযায়ী দ্বৈত-ব্যবহারের আইটেম রপ্তানিকে বিচক্ষণতার সাথে পরিচালনা করে।
বিবিসি জানিয়েছে, ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে রাশিয়া বিশ্ব মঞ্চে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করছেন- পশ্চিমা শক্তির ভারসাম্য নড়বড়ে হচ্ছে। পুতিন তার সমমনা নেতাদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য কাজ করছেন।
ইরান, চীন এবং উত্তর কোরিয়ার কথা উল্লেখ করে স্টলটেনবার্গ বিবিসিকে বলেন, ‘রাশিয়া এই মুহূর্তে কর্তৃত্ববাদী নেতাদের সাথে আরও বেশি করে সারিবদ্ধ হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে আর্টিলারি শেল দিয়েছে এবং বিনিময়ে রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য উন্নত প্রযুক্তি দিয়েছে। উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের যুদ্ধ পরিচালনা করতে সাহায্য করছে।’
ন্যাটো প্রধান জানান, এ বছর ২০টির বেশি ন্যাটো সদস্য দেশ প্রতিরক্ষা খাতে জিডিপির ২ শতাংশ ব্যায়ের টার্গেট পূরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। যা ২০১৪ সালে এ বিষয়ে সম্মত হওয়ার পর থেকে যেকোনো বছরের তুলনায় বেশি।
এর আগে, গত রোববার টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টলটেনবার্গ বলেছিলেন, ন্যাটো রাশিয়া ও চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ হিসাবে মোতায়েনযোগ্য ওয়ারহেডের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে।
এদিকে, ন্যাটো প্রধানের এসব মন্তব্যকে রুশ মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ‘উত্তেজনার মাত্রা আরেকটু বাড়ানো ছাড়া আর কিছুই নয়’ বলে সমালোচনা করেছেন।
তবে ন্যাটো প্রধান বলেছেন, ‘আমরা একটি সাধারণ বার্তা দিতে চাই যে, ন্যাটো একটি একটি পারমাণবিক জোট। ন্যাটো সদস্যের ওপর যেকোনো আক্রমণে পুরো জোট এর প্রতিক্রিয়া জানাবে।’
তিনি বলেন, ‘ন্যাটোর উদ্দেশ্য যুদ্ধ করা নয়, এর উদ্দেশ্য যুদ্ধ প্রতিরোধ করা।’
👇Comply with extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com