ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকার প্রধান থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নোবেল জয়ী ডক্টর ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে। গণঅভ্যুত্থান ও বন্যা পরিস্থিতির পর রাজনীতির অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এখন জাতীয় নির্বাচন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো রোডম্যাপ দেয়নি এই সরকার। এ প্রসঙ্গ এড়িয়ে চলছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ও উপদেষ্টারা। তবে রাজনৈতিক দল হিসাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি। জনগণের দোরগোড়ায় যাচ্ছেন নেতারা। নানাভাবে আশ্বস্ত করছেন তাদের। মানুষের আস্থা ধরে রাখার পাশাপাশি নতুন করে আস্থা অর্জনেরও চেষ্টা করছে দলটি।
শেখ হাসিনার পতনের পর স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে বিএনপি। ১৮ বছর পর মুক্ত পরিবেশ দলীয়-কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারছে। নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা। নেই প্রতিপক্ষ দলের হামলা। যদিও নির্বাচনী রোডম্যাপ দেয়নি সরকার। আজ হোক আর কাল হোক নির্বাচন দিবে, সেটা আলাপ আলোচনার ভিত্তিতেই হবে। বিএনপি সূত্র জানায়, নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দল হিসাবে আমাদের প্রস্তুতি রাখতে হবে। তাই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বিএনপি বহু বছর মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন করতে পারেনি। দুইটি নির্বাচন বর্জন করেছে, মাঝে একটি অংশগ্রহণ করলেও প্রার্থীদের মাঠে দাঁড়াতে দেয়নি। ১৬-১৭ বছর আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়েছে। হামলা-মামলা, নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করতে হয়েছে। এসময়ে দলে অনেকেই উল্লেখ্যযোগ্য অবদান রাখেন। কার কেমন অবদান, জনপ্রিয়তা এসব দেখতে হবে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, একটা রাজনৈতিক দলের নির্বাচনের প্রস্তুতি সব সময় থাকে। সেই প্রস্তুতি আমাদের আছে। পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতির জন্য যে পরিবেশ দরকার বিএনপি সেই পরিবেশ পেয়েছে। সরকার নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করলে আমরা পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু করবো।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রস্তুতি এবং দলের সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়াতে জেলা নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময় শুরু করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রথম দিনে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর সাথে মতবিনিময় সভা করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের সমস্ত জেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। নেতাকর্মীদের নানা দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। জাতীয় নির্বাচনে প্রস্তুতির বার্তাও দিচ্ছেন। জনমনে আস্থা অর্জনে নেতাকর্মীদের কাজ করতে বলছেন।
মতবিনিময় সভায় তারেক রহমান বলেন, আগামী নির্বাচন হবে ইতিহাসের একটি কঠিন পরীক্ষার নির্বাচন। নির্বাচনের ফলাফলের জন্য বিএনপি সবসময়ই জনসমর্থনের উপর নির্ভরশীল। বিএনপি গত ১৭ বছর ধরে শত জুলুম ও নির্যাতন সহ্য করে যেভাবে জনগণের আস্থা ধরে রেখেছে তার ধারাবাহিকতা রাখতে হবে। এমন কোন কাজ করা যাবে না যা জনগণের আস্থা নষ্ট করে। জনসম্পৃক্ত থেকে জনগণের আস্থা অর্জন ও সেটা অক্ষুণ্ণ রাখতে তৃণমূল নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল প্রশ্নের ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করার নির্দেশ দেন তারেক রহমান।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আমাদের দলীয়কর্মকাণ্ড অব্যাহত আছে। নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের জন্য বিএনপি সব সময় প্রস্তুত। নির্বাচনের জন্য আমাদের দলের সব স্তরের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত আছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি আমাদের বলেছেন, অতীতের মত দলীয় ঐক্য ধরে রাখতে। যখনই নির্বাচন আসবে তখনই আমাদের প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/এমপি
👇Observe extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com