Tuesday, June 24, 2025

ধর্ষণ মামলার পর বড় মনিরকে আ.লীগ থেকে অব্যাহিত


ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হওয়ার পর টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে চূড়ান্তভাবে অব্যাহতির জন্য দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে সুপারিশ করেছে শহর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। গত ৭ এপ্রিল অব্যাহতি দেওয়া হলেও সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিষয়টি জানাজানি হয়।

গোলাম কিবরিয়া বড় মনির জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব ও টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের বড় ভাই। বড় মনিরের বিরুদ্ধে ঢাকার তুরাগ থানায় গত ২৯ মার্চ ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন এক নারী। এজন্য দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। বড় মনিরের বিরুদ্ধে পরপর দুটি ধর্ষণের মামলা হওয়ায় জেলার রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে বলেও জানান তারা।

টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। দলের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।

দলীয় সাধারণ সম্পাদককে দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরের বিরুদ্ধে নারী ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর তুরাগ থানায় মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে দলীয় ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ কারণে টাঙ্গাইলের সাধারণ জনগণ দলের প্রতি বিরূপ ধারণা পোষণ করছে। এ অবস্থায় টাঙ্গাইল জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের পরামর্শ ও নির্দেশক্রমে দলের বৃহত্তর স্বার্থে এবং সুনাম ও ভাবমূর্তি বজায় রাখার নিমিত্তে গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরকে শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো। সেইসঙ্গে চূড়ান্ত অব্যাহতি প্রদানের জন্য আপনার নিকট সুপারিশ করা হলো।”

শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ বলেন, ‘ঈদের আগে দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে গোলাম কিবরিয়াকে চূড়ান্ত অব্যাহতি প্রদানের জন্য সুপারিশ করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদকের কোনও সিদ্ধান্ত এখনও পাওয়া যায়নি।’

এদিকে, ঢাকায় ধর্ষণ মামলা দায়েরের পরদিন থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন বড় মনির। জেলার কোনও অনুষ্ঠানে বা দলীয় সভায় তাকে পাওয়া যায় না। ধর্ষণের ঘটনায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতির পদ থেকেও তাকে অপসারণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের পরিচালক মো. আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।

এর আগে ২০২২ সালেও টাঙ্গাইলে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ ছিল, বড় মনির ২০২২ সালের ১৭ ডিসেম্বর তাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল টাঙ্গাইল সদর থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন। সে সময় ওই তরুণী অভিযোগ করেন, গোলাম কিবরিয়া তার সম্পত্তির সমস্যা সমাধান করে দেবেন বলে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন এবং আপত্তিকর ছবি তোলেন। ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। এরপর আরও কয়েকবার ধর্ষণ করেন বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীর। পরে জন্ম নেওয়া পুত্রসন্তানের ডিএনএ টেস্ট করা হলে দেখা যায়, শিশুটির সঙ্গে গোলাম কিবরিয়ার ডিএনএ মেলেনি। এর ভিত্তিতে গত বছরের ৯ অক্টোবর ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদনটি উপস্থাপনের পর শুনানি শেষে গোলাম কিবরিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। গত ১৮ নভেম্বর শহরের বোয়ালী এলাকা থেকে ধর্ষণ মামলার বাদী ওই তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।




👇Observe extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles