একের পর এক ব্যাটিংয়ে ব্যর্থতার পরও বোলারদের কল্যাণে কোনও রকমে জয়গুলো পাচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে এসে আর রক্ষা হয়নি। বোলাররা পারেননি জেতাতে। দারুণ ব্যাটিং উইকেট থাকার পরেও স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রান তুলতে পারেনি স্বাগতিক বাংলাদেশ। তাতে ১৫৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৯ বল আগেই ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে সফরকারী দল। অথচ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সম্পূর্ণ জয়ের অভ্যাস নিয়েই বাংলাদেশ দেশ ছাড়তে চেয়েছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনায় সফল হতে পারলেন না নাজমুল হোসেন শান্তরা।
চট্টগ্রামে প্রথম দুই ম্যাচেই বোলারদের কল্যাণে জিম্বাবুয়ের ইনিংস দ্রুত থেমে গেছে। কিন্তু অল্প রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমেও স্বাগতিক ব্যাটারদের সংগ্রাম করতে হয়েছে। চট্টগ্রামে তৃতীয় ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ১৬৫ রান করেছে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে তাসকিনদের দারুণ বোলিংয়েই বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে। ঢাকায় চতুর্থ ম্যাচেও আগে ব্যাট করে ১৪৩ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। সেদিন প্রায় জয়ের দেখাই পেয়ে যাচ্ছিল জিম্বাবুয়ে। শেষ পর্যন্ত মোস্তাফিজ-তাসকিনের দারুণ বোলিংয়ে ৫ রানে ম্যাচটি জিতেছে বাংলাদেশ।
কিন্তু আগের চার ম্যাচে ভালো বোলিং করা বাংলাদেশের বোলাররা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পঞ্চম ম্যাচে এসে ব্যাটারদের ব্যর্থতার মিছিলেই যুক্ত হয়েছেন। শুরুর ব্যাটিং ব্যর্থতার পর মাহমুদউল্লাহ-শান্তর ইনিংসের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ১৫৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল। মাঝারি মানের লক্ষ্য হলেও রবিবার ব্যাটারদের দায়িত্বশীল ইনিংসের পাশাপাশি বাংলাদেশি বোলারদের নখদন্তহীন বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে জিম্বাবুয়ে ৮ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে।
১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বল থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছে জিম্বাবুয়ে। পঞ্চম ওভারে এসে ওপেনার তাদিওনাসে মারুমানিকে (১) ফেরান সাকিব। ৩৮ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে সিকান্দার রাজা ও ব্রায়ান বেনেট মিলে গড়েন ৬৬ বলে ৭৫ রানের ভিত গড়ে দেওয়া জুটি। জয় থেকে ৪৫ রান দূরে থাকতে বেনেট আউট হয়েছেন। তার আগে অবশ্য ৪৯ বলে ৫ চার ও ৫ ছক্কায় ৭০ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়টা প্রায় নিশ্চিত করে যান তিনি। এরপর জনাথন ক্যাম্পবেলকে নিয়ে অধিনায়ক রাজা ২০ বলে বিস্ফোরক ৪৫ রানের অবচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন। ৪৬ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক। ক্যাম্পবেল খেলেন ৯ বলে ৮ রানের অপরাজিত ইনিংস।
অবশ্য এমন বোলিংয়ের জন্য তাসকিনের ইনজুরিও অন্যতম কারণ। অভিজ্ঞ পেসারের অনুপস্থিতিতে বোলিংয়ের তেজ কমে গেছে। কোন বোলারই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। আগের ম্যাচে সাইফউদ্দিন-মোস্তাফিজরা ভালো করলেও আজ হয়েছেন ব্যর্থ। সাইফউদ্দিন ৪ ওভারে ৫৫ রান খরচায় নিয়েছেন একটি উইকেট। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ৪ ওভারে খরচ করেছেন ৩৩ রান। শেখ মেহেদী হাসান ৩১ রান খরচায় ছিলেন উইকেট শূন্য! বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে কেবল সাকিবই ছিলেন কিপটে। ৪ ওভারে ৯ রান খরচ করে একটি উইকেট শিকার করেছেন।
এদিকে, পুরো সিরিজেই ব্যাট হাতে হতাশার গল্প উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে সুযোগ ছিল ভাগ্য বদলানোর। কিন্তু সেই একই গল্প, একই পরিণতি। ব্যাটাররা খেই হারিয়েছেন জিম্বাবুয়ের বোলিং আক্রমণে। মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংয়ে শেষ রক্ষা রয়েছে।
রবিবার টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় স্বাগতিক দল। ৬ ওভারে ৩৩ রান তুলে শুরুতেই বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। তানজিদ হাসান তামিম (২), সৌম্য সরকার (৭) ও তাওহীদ হৃদয় (১) রানে আউট হলেও বড় সংগ্রহের পথটা বন্ধ হয়ে যায় তখন। চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ মিলে প্রতিরোধ গড়েন। ২৮ বলে ৩৬ রান করে শান্ত আউট হতেই ৪৫ বলে দুইজনের ৬৯ রানের জুটি ভাঙে।
শান্তর বিদায়ের পর সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে মাহমুদউল্লাহ আরও ৩৯ রানের জুটি গড়েন। ১৭ বলে ২১ রান করে আউট হন সাকিব। রানের গতি বাড়াতে গিয়ে ১৮তম ওভারের শেষ বলে হাফসেঞ্চুরি ছুঁয়ে আউট হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ডানহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটিং দেখেই মনে হয়েছে স্বস্তি নিয়ে ব্যাটিং করছেন তিনি। কিন্তু বাকিদের সবাইকে অস্বস্তি নিয়ে ব্যাটিং করতে দেখা গেছে। শেষ দিকে জাকের আলী অনিকের ১১ বলে ২৪ রানের ওপর দাঁড়িয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান সংগ্রহ করতে পারে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের বোলারদের মধ্যে ব্রায়ান বেনেট ও ব্লেসিং মুজারাবানি সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন।
👇Observe extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com