সীমান্তে হত্যা বন্ধ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে মশাল মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘আধিপত্যবাদ বিরোধী মঞ্চ’-র ব্যানারে মিছিলটি করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকা থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়ে ট্রান্সপোর্ট চত্বর হয়ে বটতলায় এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে করেন তারা।
এ সময় ‘জাহাঙ্গীরনগরে চলবে না, ভারতীয় প্রকল্প’, ‘সীমান্তে যদি মানুষ মরে, সেভেন সিস্টার্স থাকবে না রে’, ‘সীমান্তে যদি মানুষ মরে চিকেন নেক থাকবে না রে’, ‘মোদির গদিতে আগুন জ্বালো একসঙ্গে’, ‘আরএসএসের বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালো একসঙ্গে’, ‘ভারতীয় প্রকল্প, চলবে না-চলবে না’, ‘বিজেপির আগ্রাসন, চলবে না-চলবে না’, ‘সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, চলবে না-চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম নাইমের সঞ্চালনায় বক্তারা বক্তব্য রাখেন। তাদের বক্তব্যে ভারতীয় আগ্রাসন, আধিপত্যবাদ, সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক আগ্রাসন উঠে আসে। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে যেসব দ্বিপাক্ষিক চুক্তি রয়েছে সেগুলো যেন দুই পক্ষের সমন্বয়ে হয়, ভারত যেন আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে সেগুলো তুলে ধরা হয়।
শিক্ষার্থী আহসান লাবীব বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের একটি বিষফোঁড়া রাষ্ট্র আছে সেটি হচ্ছে ইসরায়েল। তারা মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি বিনষ্ট করেছে তারা। তেমনি উপমহাদেশের একটি বিষফোঁড়া রাষ্ট্র হলো ভারত। আমাদের দেশে ১৫ বছর যে আওয়ামী রেজিম ছিল তারা কখনও সীমান্ত হত্যার বিচার চায়নি। ভারতীয় তাবেদার এই হাসিনা সরকার সীমান্ত হত্যার বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। অন্তর্বতীকালীন সরকারের কাছে আমাদের আবেদন আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে এই সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া ভারত আমাদেরকে যে রাজনৈতিক আগ্রাসন করে, সেগুলো বন্ধ করতে হবে। বিজেপির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের আওয়াজ বন্ধ হবে না। এ ছড়া ভারত ছাড়াও অন্য যে দেশ আমাদের ওপর আধিপত্য বিরাজ করতে চায় তাদেরকে হুঁশিয়ারি করে দিতে চাই, এসব আর বরদাশত করা হবে না।’
আধিপত্যবাদ বিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক আনজুম শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা দেখেছি কিছুদিন আগেই আমাদের দেশের ২০টি জেলাকে বন্যার মাধ্যমে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর কিছুদিন পরেই আমরা দেখেছি, সীমান্তে স্বর্ণা দাসকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা আওয়ামী রেজিমে কোনও হত্যার বিচার পাইনি। হুঁশিয়ার করে দিতে চাই যদি এ ধরনের আগ্রাসন আমাদের দেশে চলতে থাকে আমরা বসে থাকবো না। আমরা দেখেছি, গত ২০২১ সালে ১৮ জন, ২০২২ সালে ২৩ জন, ২০২৩ সালে ৩১ জনকে হত্যা করা হয়েছে সীমান্তে। ২০০৯ সাল থেকে প্রায় ৬০০র অধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এগুলো সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের প্রকল্পকে আমরা আধিপত্যবাদেরই অংশ হিসেবেই মনে করছি। ভারতের অধীনে কোনও প্রকল্প এই জাহাঙ্গীরনগরে চলতে দেওয়া হবে না। যদি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কোনও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করতে হয়, তবে সেটা হতে হবে সমানে সমান। সেখানে যদি কোন আধিপত্য দিল্লি বিরাজ করতে যায় তাহলে সেটা মেনে নেওয়া হবে না।’
উল্লেখ্য, গত রবিবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের গুলিতে নিহত স্কুলশিক্ষার্থী স্বর্ণা দাসের লাশ ৪৫ ঘণ্টা পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিএসএফের গুলিতে নিহত স্বর্ণা দাস (১৬) মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের কালনীগড় গ্রামের পরেন্দ্র দাসের মেয়ে। সে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সে হত্যার বিচার চেয়ে ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে এই মশাল মিছিলটি আয়োজন করা হয়।
👇Comply with extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com