Wednesday, June 25, 2025

অস্ত্রের ঘাটতি ও দুর্বল মনোবল নিয়ে লড়ছেন ইউক্রেনীয় সেনারা


অপর্যাপ্ত অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে লড়ছেন ইউক্রেনীয় সেনারা। তবে তাদের মনোবল ভেঙ্গে গেছে। এভাবে যুদ্ধ করাটা অনেক সেনাদের কাছেই প্রহসনের মতো লাগছে। একটি অপারেশন থেকে বেচে ফিরলে অর্পিত দায়িত্ব থেকে বদলি হচ্ছেন বা সরে যাচ্ছেন কিংবা যুদ্ধের ময়দান ত্যাগের চেষ্টা করছেন অনেকে। নাম পরিবর্তনের অথবা প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এমনটাই জানিয়েছেন কয়েকজন ইউক্রেনীয় সেনা। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

সিএনএন’র সঙ্গে দিমি ছদ্মনামের একজন কমান্ডার কথা বলেছেন। একটি সিগারেটে সুখ টান দিতে দিতে তিনি বলেন, ইউক্রেনের সম্মুখভাগে কয়েক বছর কাটিয়েছেন তিনি। তাই একটি ভালো সিগারেটের যে মূল্য কত তা তার আর কেউ ভালো জানে না। আর তাই সিগারেটটা পুড়তে পুড়তে ফিল্টারের কাছে এসে আঙ্গুল স্পর্শ না করা পর্যন্ত সেটা টানতেই থাকেন তিনি।

এভাবেই কথা বলা শুরু করেন দিমি, যিনি বেশ কিছু রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে ৮শর’ কাছাকাছি সেনার দায়িত্বে ছিলেন। এর মধ্যে সাম্প্রতিক লড়াইয়ের উদাহরণ হলো পোকরোভস্কের কাছে রুশ সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় কৌশলগত এই এলাকাটি এখন প্রায় রাশিয়ার দখলের যাওয়ার পথে।

সাম্প্রতিক এই যুদ্ধে দিমির বেশকিছু সেনা নিহত ও গুরুতর আহত হয়েছেন। এসব দেখে তার মনে হলো, যথেষ্ট হয়েছে। এবার আর নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলেন যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে দেওয়ার। এরপরই যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে যোগ দেন কিয়েভে সেনাবাহিনীর একটি কার্যালয়ে।

নিজ কার্যালয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে ও কফি খেতে খেতে দিমি সিএনএনকে বলেন, এসব তিনি আর নিতে পারছিলেন না। ‘চোখের সামনে সেনাদের এভাবে মরে যেতে দেখতে’ পারছিলেন না।

ইউক্রেন যুদ্ধের আড়াই বছরে রুশ হামলায় সেনাবহিনীর অনেক ইউনিট ধ্বংস হয়েছে। শক্তিবৃদ্ধি প্রায় হচ্ছে না বললেই চলে। এতে সেনাদের মনোবলও দুর্বল হয়ে গেছে। অনেকের মধ্যেই দেখা দিয়েছে হতাশা। পোকরোভস্ক ও পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য এলাকার সম্মুখভাগে সবচেয়ে করুণ দশা পদাতিক বাহিনীর। প্রয়োজনীয় সামরিক সরঞ্জামের অভাবে এসব এলাকায় রাশিয়ার অগ্রগতি ঠেকাতে পারছে না তারা।

এসব এলাকা পরিদর্শনে ছিলেন বা এখনও রয়েছেন এমন ছয়জন কমান্ডার ও অফিসারের সঙ্গে কথা বলেছে সিএনএন। দুর্বল মনোবল ও হতাশা সেনাদের মধ্যে একটি বিস্তৃত সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে বলে জানান তারা। বিশেষ করে এসব এলাকায় নতুন নিয়োগ পাওয়া সেনাদের মধ্যে এ সমস্যা প্রকট।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পোকরোভস্কে এখনও যুদ্ধ করছেন এমন এক কমান্ডার বলেছেন, ‘সব সেনারাই তাদের অবস্থান থেকে সরে আসছেন না। তবে অধিকাংশই নিচ্ছেন। যখন নতুন সেনারা এখানে আসেন, তারা বুঝেন এখানকার অবস্থা কতটা জটিল।’

তিনি আরও জানান, ‘নিজেদের অবস্থানে একবার গিয়ে বেঁচে ফিরতে পারলে তারা আর সেখানে ফিরে আসে না। হয় নিজেদের অবস্থান ত্যাগ করেন, নতুবা যুদ্ধক্ষেত্রে যেতে অস্বীকৃতি জানান, অথবা সেনাবাহিনী ত্যাগ করার একটি সুযোগ খুঁজে বের করেন তারা।’

তবে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ভলান্টিয়াররা এমনটি করতে পারেন না। চুক্তির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বা এমন কোনও ঘোষণা না আসা পর্যন্ত যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করা তাদের জন্য অবৈধ।

এছাড়া, মার্কিন সহায়তা পৌঁছানোয় দীর্ঘ বিলম্বও যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের অবস্থান ধরে রাখতে না পারার পেছনে অন্যতম একটি কারণ। ফলে তাদের গুদামে অস্ত্রের ঘাটতি দেখা দেয়।

অনেক সেনা সিএনএনকে বলেন, অনেক সময় তারা এমন একটি সুবিধাজনক অবস্থানে নিজেদের পেয়েছেন যে, শত্রুদের তারা খু্ব পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছিলেন। তবে ঠিক ওই মূহুর্তে তাদের ওপর হামলা করার মতো গোলাবারুদ তাদের কাছে ছিল না। কেউ কেউ তো পদাতিক সেনাদের যথেষ্ঠ নিরাপত্তা দিতে না পারায় তীব্র অপরাধবোধে ভুগছেন বলেও জানিয়েছেন।




👇Comply with extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles