উচ্চ আদালতে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ এর রিভিউ পিটিশন দাখিল ও কিছু শব্দ ও বাক্যাংশ বাদ দিতে এটর্নি জেনারেলের আবেদনকে ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন পাহাড়ি জনগোষ্ঠি। এই প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে পাহাড়ি সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
একে ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে ইউপিডিএফ রাঙামাটির বিভিন্ন স্থানে সড়কে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছে।ইউপিডিএফের নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বুধবার (১০ জুলাই) রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বেতবুনিয়া ও শিমুলতলী বেতার কেন্দ্র এলাকায় এবং বাঘাইছড়ির সাজেক পর্যটন সড়কে তারা শান্তিপূর্ণ অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করে। এতে কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। অবস্থান ধর্মঘটকালে এসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জাতিসত্ত্বাগুলোর অস্তিত্ব বিলীন করে দিতে নানা চক্রান্ত জারি রেখেছে। উচ্চ আদালতে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ এর রিভিউ পিটিশন দাখিল ও কিছু শব্দ ও বাক্যাংশ বাদ দিতে এটর্নি জেনারেলের আবেদন এই চক্রান্তের সর্বশেষ সংযোজন।
তারা আরও বলেন, ব্রিটিশ শাসকদের প্রণীত ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনে পাহাড়িদের কিছু অধিকার দেওয়া হয়। কিন্তু ভারত ভাগের পর পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলে শাসকগোষ্ঠী এই আইনটি একটি বিশেষ জাতিগোষ্ঠীর স্বার্থে বেশ কয়েকবার সংশোধন করে পাহাড়িদের ওই অধিকার হরণ করে। বর্তমানে সরকার সুকৌশলে আদালতকে ব্যবহার করে এই রেগুলেশনটি একেবারে বাতিল অথবা অকার্যকর করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জনগণ যুগ যুগ ধরে নিজেদের প্রথাগত আইন মেনে এ অঞ্চলে বসবাস করে আসছে মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, সরকার যদি এই সিএইচটি রেগুলেশন বাতিল ও রাজা-হেডম্যান-কারবারির পদ বিলুপ্ত করে প্রথাগত রীতি-নীতি পদ্ধতি ও অধিকার হরণ করতে চায় তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ তা কখনই মেনে নেবে না। ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো জনগণকে সাথে নিয়ে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে।
পাহাড়িদের প্রথাগত শাসন ব্যবস্থা মেনে নিতে হবে, পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশেষ শাসন ব্যবস্থা মেনে নাও, রাজা-হেডম্যান-কারবারী প্রথা বাতিল করা যাবে না, পূর্ণস্বায়ত্বশাসন পার্বত্য চট্টগ্রামের একমাত্র রাজনৈতিক সমাধান, পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০ আমার রক্ষাকবচ, পাহাড়িদের প্রথাগত অধিকারের স্বীকৃতি দিতে হবে, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বেদখল বন্ধ কর, বেদখলকৃত জমি ফেরত দাও- অবস্থান ধর্মঘটে ইত্যাদি স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।
রাঙামাটি সদরে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের যৌথ উদ্যোগে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বেতার কেন্দ্র এলাকায় অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করে। এতে বক্তব্য দেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের জেলা সভাপতি রিমি চাকমা ও পিসিপি জেলা সভাপতি তনুময় চাকমা।
একই দাবিতে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ), হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এসডব্লিউএফ) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাউখালীর বেতবুনিয়া বাজারে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ—সাধারণ সম্পাদক নিকন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য দয়া সোনা চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কাউখালি উপজেলা শাখা সভাপতি থুইনুমং মারমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কাউখালি উপজেলা শাখার সভাপতি দিপায়ন চাকমা।
রাঙামাটির সাজেক পর্যটন সড়কে অবস্থান ধর্মঘটে সভাপতিত্ব করেন ইউপিডিএফ সংগঠক রিয়েল চাকমা। গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বাঘাইছড়ি সভাপতি বীর চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)—এর বাঘাইছড়ি উপজেলা সভাপতি প্রকাশ চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সহ—সভাপতি সুখী চাকমা, সাজেক মাচালং কারবারি ফুলেশ চাকমা, সাজেক মাচালং গণঅধিকার রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মেহেন্দ্র ত্রিপুরা, সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা ও ইউপিডিএফ এর রাঙামাটি জেলা সংগঠক ডায়মন্ড চাকমা।
👇Comply with extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com