Wednesday, June 25, 2025

যেভাবে কাটলো চাঁবিপ্রবিয়ানদের প্রথম ঈদ


পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে অন্য সবার মতো বাড়িতে গেছেন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে চাঁবিপ্রবিয়ানদের এবারের ঈদের ছুটি অন্যদের মতো না। কারণ ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এসব শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর এটা ছিল প্রথম ঈদুল ফিতর। বন্ধুরা দূরে থাকলেও অনেকেই মুটোফোনে কিংবা অনলাইনে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ঈদের আনন্দ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেদের প্রথম ঈদ উদযাপনের কথা রাইজিংবিডিতে তুলে ধরেছেন তারা।

বন্ধুদের সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ ছিল

ইদ মানে আনন্দ, ইদ মানে পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া। দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার মধ্যেই চলতে থাকে ঈদের প্রস্তুতি। ছাত্রজীবনে স্কুল-কলেজে থাকাকালের ঈদগুলোর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরের ঈদগুলো একটু ভিন্ন রকমের। সারা বছরের মিড-টার্ম, ফাইনাল, অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন, ট্রাম পেপার থেকে কিছুটা মুক্ত হয়ে দীর্ঘ ছুটিতে শিকড়ে টানে বাড়ি ফেরা। সেখানে আমাদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আমাদের পরিবারের প্রিয় মুখগুলো। ঈদের দিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়া, গোসল সেরে নতুন পোশাক পড়ে মায়ের হাতে রাঁধা মিষ্টিমুখ করে ঈদগাহে যাওয়া, নামাজ পড়ে প্রিয়জনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় এবং কবরস্থানে  গিয়ে পূর্বপুরুষদের কবর জিয়ারত করে বাড়ি আসা, বিকালে নানুবাড়ি ঘুরতে যাওয়া ও সন্ধ্যায় পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের আড্ডা, রাতে দাদী, মা-বাবা, ভাই-বোন, দুলাভাই, ভাগ্নিসহ সবাইকে নিয়ে জমিয়ে আড্ডা। প্রতিটি মুহূর্ত যেন স্বপ্নের মতই সুন্দর। মিস করছি ক্যাম্পাসের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি ও বন্ধুদের। তবে দূরে থাকলেও অনলাইনে যোগাযোগ ছিল সবার সঙ্গে।

ঈদুল ফিতরের পবিত্রতা ও উৎসবের আনন্দে মহিমান্বিত হয়ে উঠুক আমার আপনার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত। ঈদ হোক সম্প্রীতি, সমতা ও সমৃদ্ধির সোপান। ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক আমাদের চারপাশে থাকা সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মাঝে।
(লেখক: মো. নাইমুর রহমান নিয়ামুল, শিক্ষার্থী, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ)

ঈদের দিন সালামি দেওয়া-নেওয়া একরকম ঐতিহ্য হয়ে গেছে

গত ৪ এপ্রিল থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের ছুটি শুরু হয়। এটা চাঁবিপ্রবিয়ানদের প্রথম ইদ। বন্ধ শুরুর পর থেকেই আমার ঈদের আমেজ আরম্ভ হয়ে যায়। ঈদ মানেই অন্য রকম আবেগ। ঈদের দিন সকালে সেমাই খেয়ে নামাজে যাই। নামাজ শেষে এলাকার বন্ধু-বান্ধব, ভাই, চাচা, দাদাসহ সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করে বাড়িতে আসি। ঈদের দিন সালামি দেওয়া-নেওয়া একরকম ঐতিহ্যের কাতারে চলে গেছে। তারপর খাওয়া দাওয়া করে বিকালে বের হই বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে। সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে শুরু হয় তুমুল আড্ডা, অনেকদিন পর সবাই একসঙ্গে হলে যা হয় আর কি! বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা যে কখন হয়ে যায়, তার খেয়ালই থাকে না। সব মিলিয়ে এদের জন্যই ঈদ এতো সুন্দর করে কাটে আমার। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের খুব মিস করেছি।
(লেখক: মো. রাব্বি আহাম্মেদ, শিক্ষার্থী, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ)

এবারের ঈদটা খুবই আনন্দের সঙ্গে কেটেছে

এক মাস রোজা রাখার পর ঈদের আনন্দ আরও বেড়ে যায়। এ বছরের ঈদুল ফিতরটা খুবই আনন্দের সঙ্গে কাটালাম, আলহামদুলিল্লাহ। এটি একটি ধর্মীয় উৎসব হলেও ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এ আনন্দ উদযাপন করে। ঈদুল ফিতরের চাঁদ রাতের আনন্দটা সত্যি অন্যরকম। যখন মসজিদের মাইকে ঘোষণার পরই আমরা শুরু করে দেই ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়। ডিজিটাল যুগের কল্যাণে সবাইকে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, এসএমএস এর মাধ্যমে ঈদ এর শুভেচ্ছা বিনিময় শুরু হয়ে যায়। বন্ধু-বান্ধবরাও ঈদের শুভেচ্ছা দেয়, আমিও শুভেচ্ছা জানাই। ইদানিং বিকাশে সালামি দেওয়া-নেওয়ার প্রথা শুরু হয়েছে। সবমিলিয়ে ভালোই লাগে।

ঈদের নামাজ পর কোলাকুলি কর, আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় যাওয়া, শুভেচ্ছা বিনিময়, খাওয়া-দাওয়া, , বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা- এভাবেই কেটে গেছে ঈদ। আমি খুব খুশি।
(লেখক: নাঈফ, শিক্ষার্থী, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগ)

আমার প্রতি আত্মীয়-স্বজনদের ভালোবাসার মাত্রা বেশি ছিল

আলহামদুলিল্লাহ, এবারের ঈদে আমার নতুন পরিচয়, আমি একজন পাবলিকিয়ান। ঈদে যেহেতু অনেক দূর থেকে আত্মীয়-স্বজন এসেছে, সবাইকে সম্মানের সঙ্গে বলতে পেরেছি আমি চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আমার প্রতি প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের ভালোবাসার মাত্রা বেশি ছিল। ঈদ ভালো কেটেছে। ক্যাম্পাস খুলে যাবে, আবার ক্যাম্পাসে ফিরব সেই অপেক্ষায়  রইলাম।
(লেখক: ফারিহা হক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ)

নিজ শহরে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে ঈদের আমেজ তৈরি হয়ে গেছিল

শত প্রতিকূলতার মাঝে, সবার জীবনে ঈদ বয়ে আনুক নির্মূল আনন্দ। এবারের ঈদ উদযাপনটা ছিল আমার জন্য সুখময়, আনন্দময়, রোমাঞ্চকর এবং হাস্যোজ্জ্বল। নাড়ির টানে নিজ শহরে আসার জন্য অধিক আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম, কবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি হবে। যেদিন বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি হলো, সেদিন খুব ব্যস্ত হয়ে পড়লাম নিজ শহরে আসার। নিজ শহরে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র এক শান্তি ও ঈদের আমেজ তৈরি হয়ে গেল। দীর্ঘদিন পরে বাড়ি ফিরে নিজ পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটানোর প্রতিটা  মুহূর্তটা ছিল অত্যন্ত আনন্দের, সুখের ও আত্মতৃপ্তির। ভালোই কেটেছে ঈদ।
(লেখক: রাজু আহমেদ শুভ, শিক্ষার্থী, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ।)
 




👇Comply with extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles