Sunday, June 29, 2025

বাড়ি ফিরে পেতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ফুটপাতে দিদারুল


নিজের বাড়ি-ভিটা ফিরে পেতে দুই শিশু সন্তান নিয়ে ঈদের দিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশনে বসেছেন কক্সবাজারের বাসিন্দা দিদারুল আলম। তার দাবি, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে কক্সবাজার সদর থানার খুরুশকুল ইউনিয়নের তাদের বাড়ি-ভিটা, মাছের খামার, কৃষি জমিসহ ৬ একর জায়গা জোর করে দখলে নেয় জাহাঙ্গীর কাশেম নামে স্থনীয় এক প্রভাবশালী। ঘটনায় সাড়ে তিন বছরেও কোনও মামলা নেয়নি থানা পুলিশ। জায়গা-জমি ফিরে পেতে পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ বিভিন্ন বিভাগে অভিযোগ দিয়েও কোনও সমাধান পাচ্ছেন না। অবশেষে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আমরণ অনশনে বসেছেন।

ঈদুল আজহার দিন (১৭ জুন) বিকালে প্রেস ক্লাবের সামনে ফুটপাতে দেখা যায় দিদারুল ও তার পরিবারকে। গত ১০ জুন থেকে পরিবার নিয়ে আমরণ অনশনে আছেন বলে জানান দিদারুল।

তিনি বলেন, ‘তিন বছর আগেই আমাদের ঈদ চলে গেছে। বাড়ি-জমি হারিয়ে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছি। ঈদের দিন সন্তানদের কোনও খাবার দিতে পারছি না। এখন আমাদের অস্তিত্ব ফিরে পেতে যুদ্ধ করছি।’

চাষি দিদারুল আলম বলেন, ‘২০২১ সালের ৩ জানুয়ারি জাহাঙ্গীর ও তার লোকজন বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমাদের উচ্ছেদ করে। আমার মাছের খামার, কৃষি জমি সব কিছু কেড়ে নেয়। অনেকবার থানায় অভিযোগ করেছি। মামলা নেয় না। ঘটনার নয় মাস পর একটা জিডি (সাধারণ ডায়রি) নিয়েছিল থানা পুলিশ। কিন্তু জাহাঙ্গীর অনেক প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশও তাকে ভয় পায়। পুলিশ আমাকে বহু দিন ঘুরিয়ে বলছিল, ১০-২০ জন সাক্ষী নিয়ে এলে মামলা নেবে। নয়তো জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে কথা বলার তাদের কোনও সাহস নাই।’

তিনি বলেন, ‘পুলিশ আমার কোনও অভিযোগ আমলে না নেওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, জেলা প্রশাসক, র‌্যাব প্রধান, পুলিশ সুপারসহ ৯টা অধিদফতরে অভিযোগ দিয়েছিলাম। তবুও কোনও সমাধান পাইনি। জমি-বাড়ি ফিরে পেতে বিভিন্ন মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যাওয়ার কারণে জাহাঙ্গীর অনেক বার আমার ওপর হামলা করছে। আমাকে পরিবারসহ মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। জাহাঙ্গীর স্থানীয় যুদ্ধাপরাধী আবুল কাশেমের ছেলে। তবুও তার অনেক ক্ষমতা।’

বাড়ি-ভিটা-জমি ফিরে পেতে কাঁদছেন দিদারুল

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই। তিনিই পারেন আমার সন্তানদের আশ্রয়স্থান ফিরিয়ে দিতে। আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। তারপরও আমাকে কেউ দেখছে না। অথচ জাহাঙ্গীর কাশেমের নামে ইয়াবা ব্যবসা, তেল পাচারকারী, ভূমিদস্যু, হত্যার অভিযোগসহ নানা অভিযোগ আছে। তবুও তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা নাই। পুলিশও তাকে ভয় পায়।’

দিদারুল বলেন, ‘প্রশাসন হয় আমার বাড়ি ফিরায়ে দিক, নয়তো আমাদের গুলি কইরা মাইরা ফেলুক। তাইলে আমাদের আর বিচারের দরকার নাই। আমরা আর কারো কাছে বিচার চাইবো না। কেউ দায়ী থাকবে না। খোদার কসম, আল্লাহর কসম করে বলছি আমরা কারো কাছে অভিযোগ দেবো না। এমনিতে তো মারা যাবো। এর চেয়ে ভালো প্রশাসন আমাদের মেরে ফেলুক।’

তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমার কতটা কষ্ট হচ্ছে তা আমি ছাড়া কেউ জানে না। সাইক সুলতান তুরাব (৭) ও নওশিন নাজিয়াত (২) নামে আমার দুইটা শিশু সন্তান আছে। আমাদের এখন আর কোনও উপায় নাই। আমরা যদি বিচার না পাই তাইলে এখানেই আত্মহত্যা করমু। না হলে আমরা গাড়ির নিচে পইরা মারা যামু। এছাড়া আমাগোর কোনও পথ খোলা নাই। এমনিতে কক্সবাজারে গেলে তারা আমাদের মাইরা ফেলবো। এর চেয়ে ভালো নিজেরাই আত্মহত্যা করমু।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, ‘আমি এই থানায় আছি গত ছয় মাস ধরে। সাড়ে তিন বছর আগের ঘটনার সম্পর্কে কিছু জানি না। তিনি থানায় এসেছিলেন কিনা, কোনও অভিযোগ করেছিল কিনা অথবা কেন মামলা হয়নি, এসব বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’




👇Comply with extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles