Saturday, November 9, 2024

ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের জন্য কী অপেক্ষা করছে?


বৃষ্টির কারণে বুধবার দিনের বেশিরভাগ সময়ই নষ্ট হয়েছে। প্রথম দফায় ৮০ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে ৫ ওভার খেলা হলেও আলোর স্বল্পতার কারণে দিনের খেলা আগেভাগে শেষ করে দিতে বাধ্য হন আম্পায়ারা। তৃতীয় দিন শেষ হওয়ার আগে বাংলাদেশ ৭ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ২৮৩ রান। ৮১ রানে এগিয়ে থেকে বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিন শুরু করবে তারা। এদিকে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে এদিনও প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই অবস্থায় ঢাকা টেস্টের ভাগ্যে কী আছে, সেটাই দেখার।

দিনের হিসাবে এখনও পুরো দুই দিন বাকি। বাংলাদেশ তৃতীয় দিন শেষে ৮১ রানের লিড নিতে পেরেছে। চতুর্থ দিনে মাঠের খেলা ঠিকমতো গড়ালে বাংলাদেশ ঠিক কতখানি লিড নিতে পারবে, তার ওপরই নির্ভর করবে বাংলাদেশের ভাগ্য। মিরাজ ৮৭ রান নিয়ে ক্রিজে ব্যাটিং করছেন। বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসেবে কেবল তিনিই আছেন। তার সঙ্গে দারুণ ব্যাটিং করা নাঈম হাসানও অপরাজিত আছেন ১৬ রানে। এর বাইরে তাইজুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ অপেক্ষায় আছেন। তারাও ভালোই ব্যাটিং করতে পারেন। মিরাজ এই তিন বোলারকে নিয়ে স্কোরবোর্ডে আরও ১০০ রান যোগ করতে পারলেই ম্যাচের মোমেন্টাম হয়তো বাংলাদেশের পক্ষে চলে আসবে। উইকেটের যা অবস্থা তাতে করে ১৮২ রান প্রোটিয়াদের জন্য সহজ লক্ষ্য হওয়ার কথা নয়। 

যদিও মিরপুরে ২০৯ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ইংল্যান্ড এই কীর্তি গড়েছিল। তবে মিরপুরের উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে স্পিনারদের সামনে দাঁড়ানো বেশ কঠিনই। এই অবস্থায় ঢাকা টেস্টের ভাগ্য অনেকখানি নির্ভর করছে মেহেদী হাসান মিরাজের ওপর। দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ ব্যাটিং করা মিরাজ কতদূর যেতে পারেন, সেটিই দেখার!

তবে বাংলাদেশকে এত চাপে পড়তে হতো না। যদি প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে শান্ত-লিটনরা রানের দেখা পেতেন। ঢাকা টেস্টের শুরুতেই বাংলাদেশ দল পিছিয়ে যায়। আগে ব্যাটিং করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল ১০৬ রান সংগ্রহ করে। জবাবে খেলতে নেমে প্রোটিয়ারা থামে ৩০৮ রানে। ২০২ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে। বুধবার ২৭.১ ওভরে ৩ উইকেটে ১০১ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে। তবে সকালের শুরুতে মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার সুবিধা দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের তিন উইকেট তুলে নেন প্রোটিয়ারা। 

প্রথমে জোড়া আঘাতে কাগিসো রাবাদা ফিরিয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয় (৪০) ও মুশফিকুর রহিমকে (৩৩)। লিটনকেও (৭) দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ দেখান তারা। তাতে ৬ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১২ রানের। সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়েন। মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলী অনিক মিলে ২৪৫ বলে ১৩৮ রানের জুটি গড়েন। অভিষেকে ব্যাট করতে নেমে ২ রান করে আউট হয়েছিলেন জাকের। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থতা কাটিয়ে পান সাফল্যের দেখা। ধ্বংস্তূপে দাঁড়িয়ে মিরাজের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন। এটি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে যে কোনও উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগের এই রেকর্ডটা ছিল ২০০৩ সালে চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৩১ রান যোগ করেছিলেন হাবিবুল বাশার সুমন ও জাভেদ ওমর বেলিম।  

৭৬তম ওভারের প্রথম বলে জাকেরকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে জুটি ভাঙেন মহারাজ। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি বাংলাদেশি ব্যাটার। ১১১ বলে খেলেন ৫৮ রানের ইনিংস। মোসাদ্দেক হোসেনের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ৮ নম্বরে নেমে অভিষেক টেস্টে হাফ সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন তিনি। জাকের আউটের পর নাঈম হাসানকে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় প্রতিরোধ গড়েন মিরাজ। বৃষ্টির কারণে দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ৫৯ বলে ৩৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি তাদের। 

বৃষ্টির কারণে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থাকা মিরাজের অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম হাফ সেঞ্চুরি করতে মিরাজ খেলেছেন ৯৪ বল। তিনি ১৭১ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত আছেন। তার সঙ্গী নাঈম ২৮ বলে ১৬ রানে অপরাজিত। আগামীকাল ম্যাচের চতুর্থ দিন পৌনে ১০টায় খেলা শুরু হবে।

টেস্ট ক্রিকেট মানেই ক্ষণে ক্ষণে রং বদলানো। বাংলদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার টেস্ট ম্যাচেও গত তিন দিনে রং বদলেছে। তবে বাংলাদেশ প্রথম দিনের শেষ দেড় সেশনের পর আজ কিছুটা দাপট দেখাতে পেরেছে। ঢাকা টেস্টের যা অবস্থা, তাতে করে ম্যাচ যে কোনও সময় যে কারও পক্ষে হেলে পড়তে পারে। বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে আরও ১০০ রান তুলতে পারলে চালকের আসনে বসে যাবে, সেটি অনেকটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।




👇Observe extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles