প্রকল্প শেষে হয় ২০১২ সালে। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে চালানো হয় ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে। আর আত্মীকরণের কথা থাকলেও তা করা হয়নি। ফলে বেতনবিহীন মানবেতর জীবন যাপন করছেন বিদেশি ভাষা প্রশিক্ষণের জন্য ১০টি কেন্দ্র স্থাপন (এফএলটিসি) প্রকল্পের ৩৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রকল্পের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদে নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মচারী রাজস্ব খাতে আত্মীকরণের সুযোগ পায়নি সাত বছর।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের বিদেশি ভাষা প্রশিক্ষণের জন্য ১০টি কেন্দ্র স্থাপন (এফএলটিসি) প্রকল্পের আওতায় কয়েকটি ধাপে নিয়োগ করা হয় মোট ৩৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাদের মধ্যে ছিলেন ভাটা এন্ট্রি অপারেটর, ল্যাব অ্যাসিস্টেন্ট, এমএলএসএস, নৈশপ্রহরী। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয় ২০১২ সালে। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নেওয়া হয়। এরপর আর প্রকল্পের মেয়াদ বাড়েনি, বেতনও বন্ধ হয়।
সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে ৩৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করা হয়। ওই বছর ২৮ আগস্ট মামলার রায়ে তাদের আত্মীকরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে সরকার। রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে কনটেমপ্ট উচ্চ আদালতে পিটিশন করেন ২৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
এরপর মাউশি রায় বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে আইন ও বিচার বিভাগের মতামত নেওয়ার পর বিদেশি ভাষা প্রশিক্ষণের জন্য ১০টি কেন্দ্র স্থাপন (এফএলটিএস) প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদে নিয়োগপ্রাপ্ত ৩৫ জন কর্মচারীর মধ্যে ৩৩ জন কর্মচারীর চাকরি রাজস্ব খাতের শূন্য পদে আত্মীকরণে সম্মতির জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানায় অধিদফতর। তাতে ২০২০ সালের ৩ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অসম্মতি জানায়।
এ বিষয়ে প্রকল্পের কর্মচারী অফিস সহায়ক মো. শাহীন হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রকল্পে বলা ছিল মেয়াদ শেষ হলে রাজস্ব খাতে আত্মীকরণ করা হবে। কিন্তু করা হয়নি। ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরপর আর বাড়ানো হয়নি। তারপর থেকেই বেতনবিহীন অবস্থায় জীবন যাপন করছি।
কম্পিউটার অপারেটর মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, রাজস্ব খাতে আত্মীকরণের জন্য আমরা ২০১৬ সালে হাইকোর্ট রিট করি। হাইকোর্টের রায়ের পর সরকার আপিল করে। আপিলে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে। রিভিশন করলেও রায় আমাদের পক্ষে থাকে। কিন্তু আমাদের রাজস্ব খাতে আত্মীকরণ করা হয়নি।
এদিকে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার বিদায়ের পর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে লিখিত আবেদন জানান। এতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রকল্পের জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তর বা নিয়মিত করে সম্মতি জ্ঞাপন চাওয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিগত বছরের সব আর্থিক সুবিধাসহ রাজস্ব খাতের শূন্যপদে দ্রুত পদায়নের মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগের রায় বাস্তবায়ন করার অনুরোধ জানানো হয়।
আবেদনে কর্মচারীরা বলেন, ২০১২ সালে ৩০ জুন প্রকল্প মেয়াদ শেষে পদসহ জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের বিষয়টি প্রকল্পে উল্লেখ থাকলেও পদায়ন না হওয়ায় আমরা আদালতের শরণাপন্ন হই। আদালতের সব রায় আমাদের পক্ষে। নতুন নিয়োগের বিপরীতে স্থগিতাদেশ, মাউশি পদ সংরক্ষণ, কর্মচারীদের নিয়োগপত্র, যোগদানপত্র ও আনুসঙ্গিক কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সবার কাম্য যোগ্যতা, প্রাপ্যতা ও পদশূন্যতা নিশ্চিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত আমাদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের পক্ষে থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে অনুরোধ করলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্মতি দেয়নি। ফলে আমরা আদালতে কনটেম্পট পিটিশনের আশ্রয় গ্রহণ করি।
আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ আমাদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের পক্ষে পুনরায় মতামত দিলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সম্মতিসূচক কোনও সদুত্তর পাচ্ছি না। চার বছর ধরে আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতির অপেক্ষায় আছি। আমাদের ন্যায়সংগত ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়নে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গড়িমসি করার কারণে চরম দুর্ভোগে এবং অনেক বছর ধরে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হেয় হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি।
👇Comply with extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com