২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ধারাবাহিকভাবে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসবে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। এমনটিই প্রত্যাশা করছে দলটি। ৪০০ আসন পাওয়ার কথা বলেছে তারা। কিন্তু জরিপে বলা হয়েছে, ৪০০ আসনের কম পাবে। বিভিন্ন জরিপে উঠে আসা তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
জরিপে বলা হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৩৬৫টি জিতবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)। এদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ভারত ১২২টি আসন পেতে পারে। বাকি ৫৬টি আসন জোটের বাইরে বিভিন্ন দল পেতে পারে।
এই ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা নাও হতে পারে। কারণ এনডিএ ইতোমধ্যেই অনেক জয় দেখেছে। তবে ২০১৯ সালের নির্বাচন থেকে ক্ষমতাশীন দল ও বিরোধী দলের মধ্যে আসন সংখ্যার পার্থক্য কমানোর কথা বলা হয়েছে।
সতর্ক করে বলা হয়েছে, মতামত জরিপ ভুল হতে পারে।
এই বছর এনডিএ-এর ৩৬৫টি আসন জেতার কথা বলা হয়েছে। যা ২০১৯ সালের ফলাফলের তুলনায় তিন দশমিক চার শতাংশ বেশি। ওই নির্বাচনে এনডিএ ৩৫৩টি আসন জিতেছিল। যার মধ্যে বিজেপি ৩০৩টি। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স ৯০টি আসন পেয়েছিল।
এনডিএ ২০১৪ সালে সালের নির্বাচনে জিতেছিল ৩৩৬টি আসন। ২০১৯ সালে তার চেয়ে পাঁচ শতাংশ বেশি আসন পায় জোটটি।
২০১৪ সালে ৬০ আসন পায় বিজেপির প্রাথমিক প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু ২০১৯ সালে ৯০টি আসন পায় তারা। যা আসন সংখ্যা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই নির্বাচনেও আশা করা হচ্ছে, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ৩৫ শতাংশ আসন বেশি পাবে।
২৫ ডিসেম্বর, ১২ মার্চ ও ১৬ এপ্রিল এবিপি-সি পরিচালিত তিনটিসহ নয়টি জরিপ থেকে জনমত সমীক্ষার তথ্য নেওয়া হয়েছে। এই তিনটিতে জরিপে দেখা গেছে, এনডিএ ২৯৫-৩৩৫ থেকে ৩৬৬টি আসন পাবে। অপরদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ১৬৫ থেকে ১৫৬টি বা তারও কম ১৫৫টি আসন পেতে পারে।
টাইমস-ইটিজি জরিপে বলেছে, বিজেপি-নেতৃত্বাধীন জোটের জন্য সবচেয়ে বড় পূর্বাভাস হলো, দলটি ৩৫৮ থেকে ৩৯৮টি আসন পেতে পারে। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ১১০ থেকে ১৩০টি আসন পাবে। অপরদিকে, জোটনিরপেক্ষ দলগুলোকে ৬৪-৬৮টি আসন পেতে পারে।
ভারতীয় টিভি-সিএনএক্স, জি নিউজ-ম্যাট্রিজ ও টাইমস-ম্যাট্রিজ সবাই জরিপে বলেছে, এনডিএ ৩৫০টি আসন পাবে। আর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ১০০-এর কম আসন পাবে। এদিকে, ব্যতিক্রম হল টাইমস ম্যাট্রিজ, তারা বলেছে, কংগ্রেস জোট ১০৪টি আসন পেতে পারে।
নিকটতম ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ইন্ডিয়া টুডে-সি ভোটাররা। ৮ ফেব্রুয়ারির জরিপে প্রায় ৩৬ হাজার ভোটারের একটি নমুনায় তারা বলেছেন, এনডিএ ৩৩৫টি আসন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ১৬৬টি এবং অন্যান্য বিরোধী দল ৪২টি আসন পাবে।
কেন্দ্রশাসিত ৮টি রাজ্য এনডিএ-এর স্পষ্ট জয়
রাজধানী দিল্লি, মোদির নিজ প্রদেশ গুজরাট ও উত্তর-পূর্বে অরুণাচল প্রদেশসহ আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে স্পষ্ট জয়ের পূর্বাভাস পেয়েছে এনডিএ।
রাজস্থান ছাড়াও চণ্ডীগড়, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ প্রদেশে শক্ত অবস্থানে আছে এনডিএ। এই আসনগুলোতে গত নির্বাচনেও জিতেছিল জোটটি।
এই প্রদেশগুলো ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে একসঙ্গে ৭২ জন সাংসদকে লোকসভায় পাঠিয়েছিল বিজেপি। যদি এবারও জিতে তবে উল্লেখযোগ্য সাংসদ পাঠাবে দলটি। জরিপে দেখা গেছে, জাফরান দল আবারও দক্ষিণ ভারতে প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হবে৷
২০১৯ সালের নির্বাচনে দিল্লি (সাতটি আসন), গুজরাট (২৬টি), অরুণাচল প্রদেশ (দুটি), চণ্ডীগড় (একটি), উত্তরাখণ্ড (পাঁচটি), হিমাচল প্রদেশ (চারটি) এবং দমন ও দিউ (একটি) জয় করেছিল বিজেপি।
এবার রাজস্থানের ২৫টি আসনের মধ্যে ২৪টিরই দাবি করছে বিজেপি। ২৫তম আসনটি কংগ্রেস জোটের দিকে যেতে পারে।
হিন্দি হার্টল্যান্ডে আধিপত্য বিস্তার করবে বিজেপি
জরিপে দেখা গেছে, সম্ভবত উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও মধ্যপ্রদেশে প্রতিদ্বন্দ্বীদের পরাজিত করবে বিজেপি ও মিত্ররা। এখানে ১৪৯টি আসনের মধ্যে ১৩৭টি জিততে পারে এনডিএ। এটি যদি সত্য হয়, তাহলে ২০১৯ সালের সঙ্গে মিলে যাবে। বিহারের ৪০টি আসনের মধ্যে ৩৯টি, ইউপির ৮০টির মধ্যে ৭৪টি এবং মধ্যপ্রদেশের ২৯টি আসনের মধ্যে ২৮টি জিতেছিল তারা।
বিহারে কংগ্রেস জোট মাত্র পাঁচটি আসন জিততে পারে
জনমত জরিপ দেখা গেছে, ইউপি-তে ৮০টি লোকসভা আসন রয়েছে। যা যেকোনও রাজ্যের থেকে সর্বোচ্চ। এখানে কংগ্রেস জোট হারতে পারে। আর মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস জিতবে মাত্র একটি আসনে।
পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্রে হাড্ডাহাড্ডি
মহারাষ্ট্রে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহাযুতি জোট এবং মহা বিকাশ আঘাদি জোটের মধ্যে লড়াই হবে। বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির উচ্চ-টেনশন দেখা যাবে। মহাযুতি মহারাষ্ট্রে আধিপত্য বিস্তার করতে পারে। ৪৮টি আসনের মধ্যে ৩০টি জিততে পারে। বাংলায় পাঁচ বছর আগের অবস্থান বজায় রাখতে পারে তারা।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল সম্ভবত বাংলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ পেয়ে বিজয়ী হবে। সেখানে ৪২টি আসনের মধ্যে ২২টি আসন পেতে পারে। গত ভোটে ১৮টি জিতেছে বিজেপি। এইবার ১৯টি জিতবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট যা মিসেস ব্যানার্জিকে কাগজে-কলমে মিত্র হিসাবে গণ্য করে। সে একটি আসন পেতে পারে।
বিজেপির ‘দক্ষিণ মিশন’
জাফরান পার্টি ঐতিহাসিকভাবে দক্ষিণের প্রদেশগুলোতে, বিশেষ করে তামিলনাড়ু ও কেরালায় ভালো করেনি। ২০১৯ সালের নির্বাচনে একটি আসনও জিতেনি।
এই বছর এর পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে। কারণ এখানে গত আট সপ্তাহে ১০ বার সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এখানে মিত্র সর্বভারতীয় আন্না দ্রাবিড় মুনেত্র কাজগম (এআইএডিএমকে)-কে ছাড়াই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বিজেপি।
তামিলনাড়ুতে বড় জয় হতে পারে কংগ্রেস জোটের। কারণ ক্ষমতাসীন দ্রাবিড় মুন্নেত্র কাজগম (ডিএমকে) ৩৩টি আসন পেয়েছেন। এদিকে, এআইএডিএমকে পেয়েছে মাত্র চারটি আসন।
দক্ষিণের অন্য কোথাও যেমন, কর্ণাটকে কংগ্রেসের ওপর প্রতিশোধ নিতে জিততে পারে বিজেপি। গত বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছিল দলটি। এবার ২৮টি আসনের মধ্যে ২৩টি আসন পেতে পারে।
অন্ধ্র প্রদেশে ক্ষমতাসীন ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি সম্ভবত ২৫টি আসনের মধ্যে ১৬টি আসন নিয়ে তাদের আধিপত্য বজায় রাখতে পারে।
অবশেষে, তেলেঙ্গানায় বিজেপি, কংগ্রেস ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-এর ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে। এখানে কংগ্রেস ৯টি, বিজেপি চারটি ও বিআরএস তিনটি আসন পেতে পারে। ১৭তম আসনটি আসাদউদ্দিন ওয়াইসির এআইএমআইএম-এর কাছে যেতে পারে।
👇Observe extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
POCO continues to make one of the best funds telephones, and the producer is doing…
- Commercial - Designed for players and creators alike, the ROG Astral sequence combines excellent…
Good garments, also referred to as e-textiles or wearable expertise, are clothes embedded with sensors,…
Completely satisfied Halloween! Have fun with us be studying about a number of spooky science…
Digital potentiometers (“Dpots”) are a various and helpful class of digital/analog elements with as much…
Keysight Applied sciences pronounces the enlargement of its Novus portfolio with the Novus mini automotive,…