জেলা, উপজেলা-থানা, পৌর ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন এবং কমিটি গঠন দ্রুত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে আংশিক কমিটিগুলোকে পূর্ণাঙ্গ করা এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা বিরোধ মিটিয়ে ফেলার নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে এই নির্দেশনা দিলেও দুই মাস পেরিয়ে গেছে, এখনও তেমন কোনও অগ্রগতি নেই। বরং চলমান চার ধাপের উপজেলা নির্বাচনের সময় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে আগামী জুনের প্রথম দিকে উপজেলা নির্বাচন এবং ২৩ জুন ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী তথা হীরকজয়ন্তী বড় আকারে উদযাপন করার পর সংগঠনে মনোযোগ দেবে আওয়ামী লীগ।
দলটির একাধিক সূত্র জানায়, চলতি বছরের শুরুর দিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে দল গোছানোর নির্দেশনা দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত তেমন কোনও অগ্রগতি হয়নি। বরং উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কোন্দল ও গ্রুপিং নতুন করে সামনে এসেছে। দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়া, মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলা উপজেলা, জেলা, পৌর ও মহানগর আওয়ামী লীগে বিভাজন প্রকট আকার ধারণ করেছে। একই ধরনের পরিস্থিতি বিরাজ করছে দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর তৃণমূলের কমিটিতেও। ফলে সব দ্বন্দ্ব নিরসন করে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আগামী জুলাইয়ে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে ডিসেম্বরে শেষ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর দুজন সদস্য, এক জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তিন জন সাংগঠনিক সম্পাদক জানান, উপজেলা নির্বাচনের কারণে সম্মেলন ও কমিটি গঠন বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ২৩ জুন আওয়ামী লীগের হীরকজয়ন্তী উপলক্ষে এবার দেশব্যাপী বড় আয়োজন করা হবে। সে জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হবে। তার আগে সম্মেলন ও কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া কার্যত বন্ধই থাকছে। জুলাই থেকে আবার তৃণমূল সংগঠিত করা, মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সম্মেলন ও কমিটি পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, যেসব কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি, সেসব পূর্ণাঙ্গ করার কাজ চলমান আছে। উপজেলা নির্বাচন শেষ হলেই সব জেলা-উপজেলায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ও অনুমোদন শেষ করা হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোর সম্মেলন বিষয়ে গ্রাউন্ড ওয়ার্ক চলমান।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন করা হবে। এ জন্য বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ চলছে। দেশব্যাপী উৎসব হবে। আমরা আশা করছি, শোকাবহ আগস্টের পর সব ইউনিটের সম্মেলন শুরু হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোর সম্মেলন এ বছরেই হবে। আগামী বছর যাদের মেয়াদ শেষ হবে, আগামী জাতীয় সম্মেলনের আগেই তা শেষ হবে।
সূত্রমতে, আওয়ামী লীগের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা এবং ৪৯৫টি উপজেলা রয়েছে। এর মধ্যে ২০টির বেশি জেলা এবং ৩০০টির বেশি উপজেলা, থানায় সময়মতো সম্মেলন হয়নি কিংবা চলছে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে। অনেক জেলায়, উপজেলা-থানায় সম্মেলন হলেও নতুন কমিটি দেওয়া হয়নি। পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই, এমন জেলা, উপজেলা, থানা, পৌর শাখার সংখ্যাও কম নয়। প্রায় এক যুগ বা অর্ধযুগ সম্মেলন বা নতুন কমিটি না হওয়া জেলা, উপজেলা, থানাও আছে। এসব জেলা, উপজেলা ও থানায় অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা বিরোধ রয়েছে এবং তা দিনকে দিন বেড়েই চলছে।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান জানান, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগে ১০টি জেলা ছাড়া সব সাংগঠনিক জেলায় সম্মেলন হয়েছে। কিছু জেলায় এখনও সম্মেলন হয়নি। অর্ধেকের মতো সাংগঠনিক উপজেলা ও থানায় সম্মেলন হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির জেলা, উপজেলা ও থানার সংখ্যাও এই রকম হবে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, উপজেলা নির্বাচনের কারণে উপজেলা ও থানা পর্যায়ে সব ধরনের সম্মেলন ও কমিটি গঠন বন্ধ রয়েছে। সামনে দলের হীরকজয়ন্তীর বড় আয়োজন আছে। তারপর জেলা, উপজেলাসহ সব পর্যায়ে সম্মেলন ও কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া আবার শুরু হবে।
সূত্রমতে, চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃণমূলের বিভিন্ন পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা বিরোধ প্রবলভাবে সামনে এসেছে। বিভাজনের কারণে প্রতিটি ধাপে বিপুল সংখ্যক নেতা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। গ্রুপিং ও আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় লিপ্ত থাকার অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়া ও মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি থাকায় নতুন কমিটিতে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও থানায় একাধিক গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। এটিই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগের জন্য।
বিষয়টি গতকাল শুক্রবার (১৭ মে) শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যেও উঠে এসেছে। নেতাকর্মীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ব্যাপারে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, ‘ঘরের ভেতর ঘর করবেন না, মশারির মধ্যে মশারি খাটাবেন না। শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। যারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবেন, তাদের অবশ্যই শাস্তি ভোগ করতে হবে। শেখ হাসিনার শাস্তি দেওয়ার পদ্ধতি একটু ভিন্ন রকম। যারা শাস্তি পেয়েছেন, তারা ঠিকই বুঝেছেন। আর যারা পাননি, তাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, গত নির্বাচনে ৭৫ এমপি মনোনয়ন পাননি, এটাও শাস্তি। এখানেই সব শেষ নয়। শাস্তি দেওয়ার অনেক সময় আছে। সময়মতো হিসাব হবে, কেউ রেহাই পাবেন না।’
দলের মধ্যে অন্তঃকোন্দল না করার নির্দেশনা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নিজেদের শত্রু নিজেরা না হই। আপন ঘরে যাদের শত্রু, তাদের বাইরের শত্রুর দরকার নেই। মুখে বলবেন বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা…তাদের জীবন থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।’
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখা, ঢাকা জেলা শাখা এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে যৌথসভা করেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এতে যেসব জেলা, উপজেলা ও মহানগর ও পৌর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন হয়নি, সেগুলোর সম্মেলন দ্রুত করতে সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশের কথা জানানো হয়। সেই সঙ্গে সম্মেলন হলেও এগুলোর যেসব কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি, সেগুলোও দ্রুত পূর্ণাঙ্গ করার নির্দেশনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা বিরোধে মিটিয়ে ফেলতে বলা হয়।
এসব বিষয়ে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকদের দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন শাখার সম্মেলন, সহযোগী সংগঠনের প্রত্যকের অসমাপ্ত সম্মেলন, কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় বিলম্বসহ সাংগঠনিক সমস্যার সমাধান করা জরুরি। বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্তরা সব শাখার নেতাদের ঢাকায় ডেকে বসতে পারেন। সমস্যা ও বিরোধ থাকলে তা সমাধানে অবিলম্বে কাজ শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বড় সংগঠন হওয়ায় ১২ মাসই সংগঠন গোছানোর প্রক্রিয়া চলমান থাকে। কমিটির মেয়াদ শেষ হলে সম্মেলন হয়, নতুন কমিটি গঠিত হয় আবার নির্ধারিত সময় পর সেই কমিটিও মেয়াদোত্তীর্ণ হয়, ফের সম্মেলন হয়। তবে কিছু জেলা, উপজেলা, মহানগর ও পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন সময়মতো করা সম্ভব হয়নি, কয়েকটিতে সম্মেলন হলেও কমিটি করা যায়নি, কিছু কমিটি অপূর্ণাঙ্গ আছে। নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সম্মেলন ও কমিটি দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের সমস্যাগুলোও নেতাদের ঢাকায় ডেকে বা এলাকায় গিয়ে সমাধান করা হচ্ছে।’
নির্দেশনার দুই মাসের মাথায় চার ধাপের উপজেলা নির্বাচনের সময় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। গত ২০ এপ্রিল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনও সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন ও কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।
এদিকে তৃণমূল গোছানোর প্রক্রিয়া বন্ধ থাকলেও ২৩ জুন দলের হীরকজয়ন্তী উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ জন্য গত ৬ মে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠান বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপন করা হবে। হীরকজয়ন্তী আমরা ব্যাপকভাবে উদযাপনের চিন্তাভাবনা করছি। এটা থানা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভা করা হবে ২৩ জুন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীসহ দলের নেতাদের, বুদ্ধিজীবীদের আমন্ত্রণ জানাবো। আলোচনা সভার আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।
তবে উপজেলা নির্বাচনের মধ্যেই আবার চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে উদ্যোগী হয়েছে আওয়ামী লীগ। ১২ মে ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে চট্টগ্রামের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। এতে উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও।
বৈঠকে সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন করা এবং তার আগে চট্টগ্রাম মহানগরের ওয়ার্ড ও থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি পরে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
২০০৯ সালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে সভাপতি ও আ জ ম নাছির উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। ২০১৭ সালে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী মারা গেলে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং গত বছর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীকে ভারমুক্ত করা হয়। ২০২২ সালে তিনবার ও ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও সম্মেলন শেষ হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের জুনে আওয়ামী লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা ও মহানগর সম্মেলনগুলো দ্রুত শেষ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে সম্মেলন হওয়ার পরও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়া জেলাগুলোর কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা বিরোধের কারণে বারবার নির্দেশনা দেওয়ার পর যথাসময়ে সম্মেলন ও সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের তিন জন সাংগঠনিক সম্পাদক।
আরও পড়ুন
অক্টোবরের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর আ.লীগের সম্মেলন
উপজেলা নির্বাচন: জেলা-উপজেলায় আ.লীগের সম্মেলন বন্ধ
👇Observe extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
Starting from 22V to 200V and supporting completely different radiation ranges, TI’s new household of…
As Germans put together to vote on Sunday, their nation’s sluggish financial development will likely…
In at this time’s quickly evolving healthcare panorama, digital transformation is not a luxurious however…
Posted by Matthew McCullough – VP of Product Administration, Android Developer Right now we're releasing…
HELSINKI — Researchers are inspecting how synthetic intelligence applied sciences might help a deliberate Chinese…
মুম রহমান গল্পকার, ঔপন্যাসিক। অনুবাদক হিসেবে তার আলাদা পরিচিতি রয়েছে পাঠক সমাজে। পাশাপাশি তিনি শিল্প…