Categories: Bangladesh News

‘শিক্ষার্থীদের লাগাম টেনে ধরার সময় হয়েছে’


কোটা আন্দোলনকে ঘিরে যেন কোনও ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য প্রথম থেকে আন্দোলনকারীদের সতর্ক করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এসবের মধ্যেই গত বুধবার (১০ জুলাই) হাইকোর্ট চার সপ্তাহের জন্য কোটার স্থিতাবস্থা জারি করেন। এরপর থেকে এ আন্দোলনের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। তখন থেকে আন্দোলনে নানাভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এই বাধা ডিঙিয়ে তারা সড়কে অবস্থান নিয়েছেন একাধিকবার।

দফায় দফায় বলার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথা আমলে না নেওয়ায় এখন কঠোর হবেন বলে জানিয়েছে আইন প্রয়োগকারীর সংস্থাগুলো। ইতোমধ্যে সংস্থাগুলোর পক্ষে থেকে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। অন্যায়ভাবে সড়কে নামলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে।

পুলিশের একাধিক সূত্র বলছে, কোটা আন্দোলনকারীরা আদালতের নির্দেশ অমান্য ও সড়ক অবরোধ করে প্রচলিত আইনে অপরাধ করছেন। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করছেন। পুলিশ আন্দোলন শুরু থেকে তাদের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারিসহ এ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে যেন কোনও দুষ্কৃতকারী প্রবেশ করতে পারে, সে জন্য সতর্ক রয়েছে। পুলিশ অনেক ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের অনেক সময় দেওয়া হয়েছে। এখন সময় এসেছে তাদের লাগাম টেনে ধরার। কোটা আন্দোলনের নামে রাজধানীতে অচলাবস্থা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টির আর ছাড় দেওয়া হবে না।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্) ড. খ মহিদ উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কোটা নিয়ে আদালতের নির্দেশনার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অযৌক্তিক ও আইন পরিপন্থি। তাদের কয়েক দফা অনুরোধ করা হয়েছিল। তারপরও তারা রাস্তায় নেমে আন্দোলনের নামে সড়ক অবরোধ করে জনসাধারণ ও রাষ্ট্রের ব্যাপক ক্ষতি করছে। তাই আন্দোলনের নামে রাস্তা অবরোধ করতে দেওয়া হবে না। শুধু তা-ই নয়, রবিবার (১৪ জুলাই) থেকে সড়কে নামলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে টানা কয়েক দিনের কোটা আন্দোলনের অংশ হিসেবে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে কোটা যৌক্তিক সংস্কারের জন্য সংসদের জরুরি অধিবেশন ডেকে আইন পাসের দাবিতে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেবেন কোটা আন্দোলনকারীরা। এ জন্য আজ রবিবার (১৪ জুলাই) বেলা ১১টায় বঙ্গভবন অভিমুখে পদযাত্রা করবেন শিক্ষার্থীরা।

এ ছাড়া কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নামে ‘মিথ্যা’ মামলা দেওয়ার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শুরুতে কয়েকটি বিষয়ে দাবি জানালেও শিক্ষার্থীদের এখন দাবি এক দফা। সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য যে কোটা রয়েছে, সেটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাস করার দাবি করছেন তারা।

কোটা নিয়ে বর্তমানে সৃষ্টি হওয়া সমস্যার সমাধানের জন্য সরকারের নির্বাহী বিভাগের কথাই বারবার বলছেন আন্দোলনকারীরা। তবে সরকারের পক্ষে থেকে বলা হচ্ছে, আইনি প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ না করে সরকার এ বিষয়ে কোনও কিছুই করতে পারবে না। সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকায় এ বিষয়ে সরকার আনুষ্ঠানিক কোনও ঘোষণা দিতে পারে না।

এই বিতর্কের মধ্যেই এক দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে আন্দোলন নিয়ে যেন কোনও ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য প্রথম থেকে আন্দোলনকারীদের সতর্ক করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অন্য কেউ ইন্ধন দিতে পারে। ঘটনাটি অন্যদিকে ধাবিত করারও চেষ্টা চলছে। এসব নিয়ে ডিবির টিম ও পুলিশ কাজ করছে। কেউ যদি হাইকোর্টের নির্দেশনা না মেনে আন্দোলনের নামে সড়কে নেমে অবরোধ করে গাড়িতে হামলা ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে, তবে আমরা ধরে নিতে পারি অনুপ্রবেশকারীরাই এসব কাজ করছে। কেউ যদি আদালতের আদেশ না মানে, আন্দোলনের নামে জানমালের ক্ষতি করে, সড়ক অবরোধ করে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে যৌক্তিক কাজ, সেটাই করা হবে।’

এর আগে গত শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের আদালতের আদেশ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গজনিত কোনও কার্যক্রম চললে বরদাশত করা হবে না।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির বিষয়টি আদালতের। আদালতের প্রতি সবার আস্থা রাখা ও শ্রদ্ধা-সম্মান থাকা উচিত। আদালতের আদেশ মেনে চলার জন্য বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেটি সবার মেনে চলা উচিত বলে আমি মনে করি।’

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘ছাত্রদের কিছু বলার থাকলে রাস্তাঘাট বন্ধ না করে আদালতে এসে তাদের যা বলার যেন বলেন। রাস্তাঘাট বন্ধ করলে জনগণের দুর্ভোগ বাড়ে, হাসপাতালগামী রোগীদের দুর্ভোগ বাড়ে। যে যেখানে যাচ্ছেন, তারা বাধাপ্রাপ্ত হলে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা বসে থাকেন। সেই সাধারণ মানুষের যে কী অভিব্যক্তি, ছাত্রদের তা শোনা উচিত। আমি মনে করি, রাস্তা অবরোধ না করে আমাদের প্রধান বিচারপতি যেভাবে বলেছেন, তাদের সব দাবি যেন আদালতে এসে বলেন।’


👇Comply with extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com

Uncomm

Share
Published by
Uncomm

Recent Posts

That is the POCO X7 Professional Iron Man Version

POCO continues to make one of the best funds telephones, and the producer is doing…

9 months ago

New 50 Sequence Graphics Playing cards

- Commercial - Designed for players and creators alike, the ROG Astral sequence combines excellent…

9 months ago

Good Garments Definition, Working, Expertise & Functions

Good garments, also referred to as e-textiles or wearable expertise, are clothes embedded with sensors,…

9 months ago

SparkFun Spooktacular – Information – SparkFun Electronics

Completely satisfied Halloween! Have fun with us be studying about a number of spooky science…

9 months ago

PWMpot approximates a Dpot

Digital potentiometers (“Dpots”) are a various and helpful class of digital/analog elements with as much…

9 months ago

Keysight Expands Novus Portfolio with Compact Automotive Software program Outlined Automobile Check Answer

Keysight Applied sciences pronounces the enlargement of its Novus portfolio with the Novus mini automotive,…

9 months ago