চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন ভারত মহাসাগরে সোমালিয়া জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকরা। জাহাজে খাবার সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও স্বাদু পানির মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। সংরক্ষিত পানি যাতে দ্রুত ফুরিয়ে না যায় এ কারণে রেশনিং করে পানির ব্যবহার করতে হচ্ছে। সপ্তাহে মাত্র এক দুই বারের বেশি গোসল করার সুযোগ পাচ্ছেন না। জাহাজে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য যেসব ওষুধপত্র ছিল সেগুলো ফুরিয়ে গেছে।
অপরদিকে দিন-রাত অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাহারায় থাকছে দস্যুরা। তবে দীর্ঘদিন থাকার কারণে নাবিকদের সঙ্গে দস্যুদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এ কারণে নাবিকদের এখন আগের মতো নির্যাতন করছে না। থাকতে দেওয়া হচ্ছে নিজ নিজ কেবিনে। পাশাপাশি জাহাজের নিয়মিত কাজও করছেন নাবিকরা। স্বজনদের এসব কথা বলেছেন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে অয়েলার পদে কর্মরত শামসুদ্দিন।
শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে শামসুদ্দিনের ভগ্নিপতি বদরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, শামসুদ্দিন এখন একদিন দুই দিন পর পর আমাদের কাছে ফোন করেন। বলেছেন, তারা ভালো আছেন। জাহাজে রক্ষিত খাবার এখনও মজুত আছে। তবে কমে এসেছে। এখন দস্যুরা আর নাবিকদের থেকে খাচ্ছে না। তারা উপকূল থেকে দুম্বা-খাসিসহ অন্যান্য খাবার নিয়ে আসছেন। দস্যুরা তাদের সংগ্রহ করা খাবার খাচ্ছেন। আবার নাবিকরা চাইলে তাদের খেতে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, কবে এ জিম্মি দশা থেকে নাবিকরা মুক্তি পাচ্ছেন তা নিয়ে চিন্তা হচ্ছে। আমাকে ফোনে বলেছে, জাহাজ মালিক বা এসআর শিপিংয়ের পক্ষ থেকে তাদের মুক্তির বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে যাতে খোঁজ নিই। ইতিমধ্যে আমি এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন নাবিকদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে, সমুদ্রগামী বাণিজ্যিক জাহাজের ক্যাপ্টেন আতিক ইউ এ খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের অধিকাংশ নাবিকই চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের কাছে নেই ওষুধপত্র। পানির সংকট মারাত্মক হয়েছে। সপ্তাহে মাত্র দুয়েকবার স্বাদু পানি পেলেও বাকি সময় সমুদ্রের লোনা পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, জিম্মি নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে জাহাজ মালিকপক্ষ কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে সে বিষয়ে বলা যাচ্ছে না। তবে দস্যুদের সঙ্গে কোনও একটা সমঝোতা হচ্ছে তা বোঝা যাচ্ছে। কেননা তাদের আচরণ নমনীয় হয়েছে। এখনও অনেক প্রক্রিয়া বাকি। প্রথমে সমঝোতা হবে। এরপর তাদের কথা অনুযায়ী মুক্তিপণের টাকা পৌঁছাতে হবে। টাকা পাওয়ার পর নাবিকদের মুক্তি মিলবে। নাবিকরা সেখান থেকে কোনও বন্দরে যাওয়ার পর জাহাজটিতে নাবিকদের নতুন সেটআপ দেওয়া হবে। এরপর বিমানযোগে তারা দেশে ফিরবেন। বিষয়টি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার। এসব প্রক্রিয়া শেষ করতে অন্তত এক মাস কিংবা আরও বেশি সময় লাগতে পারে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সভাপতি এম আনাম চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমি যা শুনেছি, জিম্মি নাবিকদের ছাড়ানোর বিষয়ে দস্যুদের সঙ্গে জাহাজ মালিকের সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছে। তবে এখনও অনেক ধাপ বাকি আছে। মুক্তিপণের টাকা কীভাবে কোথায় কখন পৌঁছাবে সেটা ঠিক হবে। মুক্তিপণ পৌঁছার পর নাবিকরা মুক্তি পাবে। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত দস্যুদের এলাকা থেকে জাহাজ আন্তর্জাতিক জলসীমায় পৌঁছাবে না ততক্ষণ পর্যন্ত তারা মুক্ত সেটা বলা যাবে না। এসব প্রক্রিয়া শেষ করতে এক সপ্তাহ থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।
কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সব নাবিক সুস্থ আছেন। তাদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। দস্যুদের সঙ্গে আমাদের আলোচনার অগ্রগতি আছে। আশা করছি, যেকোনও সময় নাবিকরা বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাবেন।
এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি কবির গ্রুপের এস আর শিপিংয়ের মালিকানাধীন। এসআর শিপিং সূত্র জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে প্রায় ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা আছে। গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে এসব কয়লা নিয়ে যাত্রা শুরু করে জাহাজটি। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর মধ্যে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরের জলদস্যুর কবলে পড়ে জাহাজটি। অর্থাৎ ভাড়ার বিনিময়ে মোজাম্বিক থেকে দুবাইয়ের আমদানিকারকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর।
এই প্রতিষ্ঠানের অধীনে মোট ২৪টি জাহাজের মধ্যে সর্বশেষ যুক্ত করা হয় এমভি আবদুল্লাহ। ২০১৬ সালে তৈরি এই বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার ও প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। ড্রাফট ১১ মিটারের কিছু বেশি। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেওয়ার আগে এটির নাম ছিল গোল্ডেন হক। মালিকানা পরিবর্তনের পর নামও পরিবর্তন করা হয়।
POCO continues to make one of the best funds telephones, and the producer is doing…
- Commercial - Designed for players and creators alike, the ROG Astral sequence combines excellent…
Good garments, also referred to as e-textiles or wearable expertise, are clothes embedded with sensors,…
Completely satisfied Halloween! Have fun with us be studying about a number of spooky science…
Digital potentiometers (“Dpots”) are a various and helpful class of digital/analog elements with as much…
Keysight Applied sciences pronounces the enlargement of its Novus portfolio with the Novus mini automotive,…