Categories: Bangladesh News

যতক্ষণ দেশবাসী পাশে আছে, কাউকে পরোয়া করি না: শেখ হাসিনা


জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের শক্তি নিয়ে আমি চলি। আমি তাদের জন্য কাজ করি। জনগণের মাঝে একটা আস্থা তৈরি হয়েছে। ওই আস্থা ও বিশ্বাসই আমার একমাত্র সম্বল। এই সম্বল নিয়ে আমি চলি। এজন্য কাউকে পরোয়া করি না। যতক্ষণ আমার দেশবাসী পাশে আছে, কাউকে পরোয়া করি না। সমালোচনা করে জনগণ থেকে আমাকে দূরে সরাতে পারবেন না।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের কল্যাণে কী করণীয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ করি। দেশের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ভোগ করবেন সবাই, আর কথায় কথায় ব্যাঙ্গ করবেন, আর প্রশ্ন তুলবেন! প্রশ্ন তোলার আগে নিজেরা কী করেছেন? কোন দল করেন? সেই দলের বৃত্তান্ত থেকে শুরু করে অপকর্মগুলো একটু চিন্তা করে নেবেন।

বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধেও সমালোচনা হয়েছিল

বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধেও এ ধরনের সমালোচনা হয়েছিল উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমার বাবার সঙ্গেও একটি জিনিস হয়েছে। যতগুলো কাজ তিনি করে গেছেন, তারপরও তার সমালোচনা। তার বিরুদ্ধে নানা কথা। নানা লেখা। অনেক কিছু করে তাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা হয়েছে। যখন পারেনি, তখন হত্যা করা হয়েছে। আমাকে তো হত্যার জন্য বার বার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এখন জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। 

জিয়াউর রহমানের সময়ে দেশে এলিট শ্রেণি সৃষ্টি করা হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ যে কথায় আসে ঋণখেলাপি, এই সংস্কৃতি কখন শুরু হয়েছিল? ওই জিয়াউর রহমান যখন অবৈধ ক্ষমতা দখল করে, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে সেই সময় থেকে। যার ধারাবাহিকতা আমরা দেখেছি এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলে। সেখান থেকে এখনও পূর্ণমুক্তি পাওয়া যায়নি। এটাই হলো বাস্তবতা। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা আছে।

গণতন্ত্রের প্রবক্তা হয়ে গেছে অনেকেই

তিনি বলেন, আজ অনেকেই গণতন্ত্রের কথা বলে। গণতন্ত্রের প্রবক্তা হয়ে গেছে অনেকেই। আমার প্রশ্ন, যারা এখন গণতন্ত্র, গণতন্ত্র করে চিল্লায় তাদের জন্ম কি গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে হয়েছে? না ওই রক্তাক্ত হাতে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, সেই সেনা কর্মকর্তাদের পকেট থেকে? যারা বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছিল সেই রাজনৈতিক দল! জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার সাংস্কৃতি জিয়াউর রহমানের আমল থেকে শুরু। 

আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বিদ্যুৎ নিয়ে কথা ওঠে। তখন (বিএনপির ১৯৯১ সালের সরকারের আমল) বিদ্যুৎ ছিল মাত্র ১৬শ মেগাওয়াট, বিদ্যুতের জন্য হাহাকার। বিএনপির সময়ে বিদ্যুৎ ও পানির দাবিতে মানুষের আন্দোলনের কথা তুলে ধরেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ প্রথম গণতন্ত্রের স্বাদ পান এবং তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন যে হয় এটা প্রথম উপলব্ধি করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে।

আমার পক্ষে তো দেশ বিক্রি সম্ভব না

২০০১ সালের নির্বাচনের আগে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাবে রাজি হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতো বলে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় যাব? আমি তো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে। আমার পক্ষে তো দেশ বিক্রি সম্ভব না। আমি রাজি হইনি বলেই ক্ষমতায় আসতে পারিনি।

২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার চিত্র তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অন্য এলাকায় থাকতে না পেরে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ আমার কোটালিপাড়ায় আশ্রয় নিয়েছিল। এই ছিল দেশের অবস্থা, এই হলো গণতন্ত্র! এই গণতন্ত্র তারা দিয়েছিল। ২০০১-০৬ পর্যন্ত এ তাণ্ডব তাদের চলে।

বাংলাদেশ বিএনপির আমলে দুর্নীতিতে এক নম্বর দেশ, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের দেশে পরিণত হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

জনগণ ভোট দেবে জেনেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি

২০০৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছিল, একই সঙ্গে ওই নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের ভরাডুবির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেনি। তা হয়েছিল অবাধ, সুষ্ঠু। তাহলে বিএনপি কেন মাত্র ৩০টি আসন পেল? তাহলে তারা এখন কীভাবে বলে নির্বাচনে আসবে না, নির্বাচন হয় না বা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে। জনগণ ভোট দেবে জেনেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

২০২৩ সালের আন্দোলনের সময় (২৮ অক্টোরব) বিএনপি প্রধান বিচারপতির বাড়ির দরজায় হামলা করেছিল বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মারা বিএনপির অভ্যাস আছে। সেটাও তারা করেছিল। সাংবাদিকদের খালি পেটানো না, প্রেসক্লাবে ঢুকে সাংবাদিকদের পিটিয়েছে, সেই রেকর্ডও আছে। অপকর্মের কোনও কিছুর বাদ নেই। তার জন্য আমার প্রশ্ন উঠে, আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখা উচিত!

রেন্টাল বিদ্যুৎ আইন কেন

রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ আইনের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা প্রশ্ন উঠান, বিশেষ আইন কেন করলাম। বিশেষ আইন এ জন্য করেছি, আমি তো ব্যক্তিখাতে সব উন্মুক্ত করে দিয়েছি। ব্যক্তিখাতে উন্মুক্ত করে দিতে হলে আইন করেই করতে হবে। দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা শুধু সরকার দিয়ে হবে না, ব্যক্তিখাত দিয়েই করতে হবে। ব্যক্তিখাত না দিলে কর্মসংস্থানও বাড়ে না। পৃথিবীর কোন দেশ আছে যেখানে ক্যাপাসিটি চার্জ ছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর হয়? একটা দেশ দেখান। এখন ক্যাপাসিটি চার্জ বলে চিৎকার। বিশেষ আইনে কাউকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়নি। বরং বেসরকারি খাতে প্রথম বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র করেছিল সামিট, খুলনায় তারা এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে দেরি করেছিল, যে কয়দিন দেরি করেছিল প্রতিদিন ১০ হাজার ডলার করে জরিমানা দিতে হয়েছিল। সেই জরিমানা আমি আদায় করেছিলাম।

তিনি বলেন, ছাড় আমি দেই না সেটা মাথায় রাখতে হবে। তাই এখানে দায়মুক্তির কিছুই নেই। বিদ্যুৎ উৎপাদন যাতে বন্ধ না হয় এ জন্য বিশেষ আইনটি করা হয়েছে। উন্নয়ন করতে হলে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ দেওয়া।  বিদ্যুৎ দিতে পারলে কর্মসংস্থান এমনিই তৈরি হয়।

সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র বহুমুখী করেছে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, আমরা সোলার প্যানেল শুরু করেছি। বায়ুভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র শুরু করেছি। কয়লাভিত্তিক করছি। তেলভিত্তিক-গ্যাসভিত্তিক সবই করছি। মানুষকে বিদ্যুত দিতে চাই। হ্যাঁ লোড। যে প্রচণ্ড গরম। সেখানে লোডশেডিং হয়েছে। আমরা সেটা স্বীকার করি। কিন্তু কৃষক যেন সেচটা পায়, সেখানে কিন্তু ভর্তুকি দেওয়া হয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী অভিজাত এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং দেওয়ার কথা বলেন। এ বিষয়টি তিনি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন।

উন্নয়ন কাজের সমালোচনার জবাব

সরকারের উন্নয়ন কাজের সমালোচনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মায় রেললাইন নেই। এটার নাকি প্রয়োজনই নেই। এ রেললাইন ঢাকা থেকে খুলনা হয়ে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত পৌঁছাবে সেইভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটা প্রয়োজন নেই যারা বলেন তাদের কী বলবো অর্বাচীন ছাড়া? এত টাকা খরচ করে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র কেন করলাম? এটার কী প্রয়োজন ছিলো! নিউক্লিয়ার পাওয়ার হচ্ছে সব থেকে ক্লাইমেট ফ্রেন্ডলি। কোনও দূষণ নেই। সেই ১৯৬২ সাল থেকে এটা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পাকিস্তানিরা আমাদের ধোকা দিয়েছিল। দুটি পাওয়ার প্লান্ট করবে বলে দুটোই নিয়ে গেলো পাকিস্তানে (পশ্চিম পাকিস্তানে)। আজ আমরা পারমাণবিক পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ করেছি। এখান থেকে সব থেকে ভালো বিদ্যুৎ আমরা পাবো। আমরা সেখানে আরও একটা করবো। ইতোমধ্যে আমি কথা বলেছি। ওখানেই আরেকটা হবে।

তিনি বলেন, কেউ কেউ মেট্রোরেল নিয়েও প্রশ্ন তোলেন? এর কী প্রয়োজন ছিলো! তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে তো যানজটমুক্ত হতো। আজ প্রতি ঘণণ্টায় ৬০ হাজার মানুষ মেট্রোরেল দিয়ে চলতে পারে। এটায় যারা চড়ছে তারা সুফল পাচ্ছে। যারা এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তারা লজ্জা পাচ্ছে কি না জানি না।

শেখ হাসিনা বলেন, কেউ কেউ বলে বাংলাদেশে রাস্তা বানাতে এত খরচ কেন? এদের দেশের মাটি সম্পর্কে মোটেও ধারণা নেই। মাটির সঙ্গে এদের কোনও সম্পর্কই নেই। আমাদের মাটি এটা একটা ব-দ্বীপ। এ মাটি দো-ফসলা। যাকে বলে জোবা মাটি। এ মাটি নরম। এখানে কোনও কিছু করতে গেলে… ওই যেনতেন করতে করতে গেলে দু-চারদিনের বেশি থাকে না। সেখানে আমরা মাটি তুলে আধুনিক প্রযুক্তিতে রাস্তা তৈরি করছি। রাস্তা যখন চড়েন দেখেন না? তো খরচ তো লাগবে। সেখানে শক্তমাটি সেখানে অত খরচ হয় না। নরম মাটি বলেই খরচ বেশি। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কিছু নেই।

বর্তমান সরকারের সঙ্গে অন্যান্য সরকারের উন্নয়ন চিত্রের তুলনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ১৫ বছরে যে পরিমাণ কাজ করতে পেরেছি ওই ২১ বছর আর ৮ বছর, এই ২৯ বছরে কেউ করতে পেরেছে? পারেনি। পারবেও না। প্রকল্প দিয়েই তো আগে টাকা খাওয়া। আর আমরা প্রজেক্ট শেষ করে ছাড়ি। টাকা খাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। বিশ্বব্যাংক চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল। আমরা তা মোকাবিলা করেছি। প্রমাণ করতে পেরেছে? হ্যাঁ কিছু জিনিস আপনারা তৈরি করে গেছেন। ওই জিয়াউর রহমানের আমল থেকে কালচার একটা তৈরি করে গেছে। এদের কিছু আছে। সেখান থেকে কীভাবে উত্তরণ ঘটানো যায় সেই চেষ্টাও আমাদের আছে। আমাদের চেষ্টাই হচ্ছে দেশের উন্নতি করা। আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করি।

সমালোচকদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কাজগুলো আমরা করছি যার সুফল জনগণ পাচ্ছে সেটাকে স্বীকার করেন। প্রত্যেকটি কাজ যদি প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে হয় তাহলে কী করা যাবে। তবে জনগণ থেকে আমাকে দূরে সরাতে পারবেন না। আমার একটা শক্তি হচ্ছে জনগণ। তাদের শক্তি নিয়ে আমি চলি।

তিনি বলেন, জনগণের মাঝে একটা আস্থা তৈরি হয়েছে। আমি তাদের জন্য কাজ করি। ওই আস্থা ও বিশ্বাসই আমার একমাত্র সম্বল। এই সম্বল নিয়ে আমি চলি। এজন্য কাউকে পরোয়া করি না। যতক্ষণ আমার দেশবাসী পাশে আছে, কাউকে পরোয়া করি না। জানি আমার বাবার সঙ্গেও একটি জিনিস হয়েছে। যতগুলো কাজ তিনি করে গেছেন, তারপরও তার সমালোচনা। তার বিরুদ্ধে নানা কথা। নানা লেখা। অনেক কিছু করে তাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা হয়েছে। যখন পারেনি, তখন হত্যা করা হয়েছে। আমাকে তো হত্যার জন্য বার বার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এখন জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। 


👇Observe extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com

Uncomm

Share
Published by
Uncomm

Recent Posts

That is the POCO X7 Professional Iron Man Version

POCO continues to make one of the best funds telephones, and the producer is doing…

6 months ago

New 50 Sequence Graphics Playing cards

- Commercial - Designed for players and creators alike, the ROG Astral sequence combines excellent…

6 months ago

Good Garments Definition, Working, Expertise & Functions

Good garments, also referred to as e-textiles or wearable expertise, are clothes embedded with sensors,…

6 months ago

SparkFun Spooktacular – Information – SparkFun Electronics

Completely satisfied Halloween! Have fun with us be studying about a number of spooky science…

6 months ago

PWMpot approximates a Dpot

Digital potentiometers (“Dpots”) are a various and helpful class of digital/analog elements with as much…

6 months ago

Keysight Expands Novus Portfolio with Compact Automotive Software program Outlined Automobile Check Answer

Keysight Applied sciences pronounces the enlargement of its Novus portfolio with the Novus mini automotive,…

6 months ago