ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই দফায় ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৮৯টি আসনে ভোট দেবেন ভোটাররা। এরমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে তিনটি আসনে।
এর আগে গত ১৯ এপ্রিল প্রথম ধাপে ২১ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে ভোট হয়। তবে প্রথম ধাপে ভোটের হার ছিলো অপেক্ষাকৃত কম, ভোট পড়ে ৬৩ শতাংশ। এবার দ্বিতীয় ধাপেও ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে বলে পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। বৃষ্টি, বন্যা, তীব্র তাপদাহসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
বেশ কিছু জায়গায় সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার খবরে শেষ হয় প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এদিকে জাতিগত সহিংসতায় বিপর্যস্ত রাজ্য মণিপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় ১১টি কেন্দ্রের ভোট বাতিল হয়। গত সোমবার সেসব কেন্দ্রে আবারও ভোট নেয়া হয়।
নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার জন্য লড়ছেন। বিভিন্ন জনমত জরিপে এগিয়ে আছে তার দল ও জোট। তবে দ্বিতীয় ধাপে বিজেপি বনাম কংগ্রেস জোটের শক্ত লড়াই হতে পারে।
বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের বিপরীতে লড়াই করছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। কংগ্রেসসহ দু’ডজনেরও বেশি বিরোধী দল এই জোটে রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর কর্ণাটকের আসনে ভোট হবে।
তবে, প্রথম ধাপের ভোটের পর কিছুটা চিন্তায় ক্ষমতাসীন বিজেপি। কারণ গতবারের তুলনায় ভোটের হার কমে যাওয়া। ফলে বিজেপি জোট এবার যে ৪০০ আসন জয়ের স্বপ্ন দেখছে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এদিকে দ্বিতীয় দফারও পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আসন- দার্জিলিং, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ও উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে ভোট হবে। ২০১৯ সালের সর্বশেষ নির্বাচনে এই তিন আসনেই জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির প্রার্থীরা।
প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফাতেও উত্তর প্রদেশের আট আসনে ভোট হবে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য এটি। এ রাজ্যে ভোটার প্রায় ২৪ কোটি, আসন সংখ্যা ৮০।
এটিই ভারতের সব থেকে জনবহুল রাজ্য আর এখান থেকেই পার্লামেন্টে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সদস্য নির্বাচিত হন। বিশ্লেষকরা বলে থাকেন, দিল্লি যাওয়ার পথটা উত্তর প্রদেশ হয়েই যায়।
এই রাজ্যে যে দল ভাল ফল করে, সাধারণত ভারত শাসন করে থাকে তারাই। এই রাজ্য থেকে ভারতের আটজন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তাই্ এবারও সবগুলো দলের প্রথম নজর রয়েছে উত্তরপ্রদেশে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্বিতীয় ধাপে উত্তরপ্রদেশের আসনগুলোতে বিজেপির অগ্নিপরীক্ষা হতে পারে। এসব আসনে ইন্ডিয়া জোটের সমাজবাদী পার্টি শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপের ভোটের জন্য প্রচারাভিযান শেষ হয় গতকাল বুধবার সন্ধ্যায়। এ ধাপে মণিপুর ও কেরালার ২০টি আসনের সব ক’টি, কর্ণাটকে ১৪, রাজস্থানে ১৩ আসনে ভোট হবে।
অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে আটটি, মধ্যপ্রদেশে সাতটি, আসাম ও বিহারে পাঁচটি করে, পশ্চিমবঙ্গ ও ছত্তিশগড়ে তিনটি করে এবং ত্রিপুরা ও জম্মু-কাশ্মীরে একটি করে আসনে ভোট হবে।
কেরালার ২০ আসনে লড়ছেন ২৫ নারীসহ ১৯৪ প্রার্থী। ওয়ানাড় আসন থেকে টানা দ্বিতীয়বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাহুল গান্ধি। তাঁর প্রধান দুই প্রতিপক্ষ বিজেপির কে সুরেন্দ্রন ও সিপিআইয়ের অ্যানি রাজা।
ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে কেরালা রাজ্য বিধানসভায় ক্ষমতায় বসতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। গেলো লোকসভা নির্বাচনে ২০ আসনের রাজ্যটিতে বিজেপি কোনো আসন পায়নি।
একইভাবে ২০২১ সালের রাজ্যটির বিধানসভা ভোটেও বিজেপির ঝুলিতে যায়নি ১৪০ আসনের একটিও। পৌরসভা, গ্রাম পঞ্চায়েতেও গেরুয়া শিবিরের উপস্থিতি টিমটিম করে জ্বলা বাতির মতোই।
কর্ণাটক রাজ্যে ১৪টি আসনে মোট প্রার্থী ৩৩৭ জন। মূল লড়াই বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে। যদিও সম্প্রতি উঠে এসেছে স্থানীয় রাজনৈতিক দল, জনতা দল-সেকুলার বা জেডি-এস।
রাজাস্থানে ১৩টি আসনে লড়ছেন ১৫২ প্রার্থী। হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন লোকসভা স্পিকার ওম বিরলা, তিনি লড়ছেন কোটা আসনে। রয়েছেন বিজেপির আরও ৭ প্রার্থী। মূল লড়াই কংগ্রেসের সঙ্গে।
উত্তর প্রদেশের ৮টি আসনের মধ্যে মিরুত, আমরোহা, বাগপাত, গৌতম বুধ নগরে ত্রিমুখী ভোটের লড়াইয়ে আছে ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট, বিরোধী ইন্ডিয়া ও বহুজন সমাজ পার্টি।
মহারাষ্ট্রের ৮টি আসনের ৪টিতে ক্ষমতাসীন শিবসেনা, ৩টিতে বিজেপি, একটিতে লড়ছে রাষ্ট্রীয় সমাজ পার্টি। বিপক্ষে ৪ আসনে প্রার্থী দিয়েছে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা। কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে তিনটিতে এবং একটিতে লড়ছে শরদ পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি-এসপি।
এছাড়া মধ্যপ্রদেশে ৭টি, আসামে ও বিহারে ৫টি করে আসনে, ছত্তিশগড় ও পশ্চিমবঙ্গে ৩টি করে এবং ত্রিপুরা-মনিপুর-জম্মু-কাশ্মিরে ১টি করে আসনে হচ্ছে ভোট।
এবার ভারতের লোকসভা নির্বাচন ভোটগ্রহণ হচ্ছে সাত দফায়। গত ১৯ এপ্রিল নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট হয়। এরপর ২৬ এপ্রিলের পর আছে ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে ও সবশেষ ১ জুন ভোটগ্রহণ হবে।
আর ভোট গণণা হবে আগামী চার জুন। সেদিনই জানা যাবে দিল্লির মসনদে কারা বসতে যাচ্ছে। এবারের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৯৭ কোটি; যার মধ্যে তরুণই ২১ কোটি।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস
👇Observe extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
POCO continues to make one of the best funds telephones, and the producer is doing…
- Commercial - Designed for players and creators alike, the ROG Astral sequence combines excellent…
Good garments, also referred to as e-textiles or wearable expertise, are clothes embedded with sensors,…
Completely satisfied Halloween! Have fun with us be studying about a number of spooky science…
Digital potentiometers (“Dpots”) are a various and helpful class of digital/analog elements with as much…
Keysight Applied sciences pronounces the enlargement of its Novus portfolio with the Novus mini automotive,…