কয়েক দিনের বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। সঙ্গে বেড়েছে মশার উপদ্রব। পাশাপাশি দেখা দিয়েছে গ্যাসের সংকট, পাইপের পানিতে দুর্গন্ধের পরিমাণটাও বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে বাসিন্দাদের কাছ থেকে এসব অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজধানীর মিরপুর, শেওড়াপাড়া, শান্তিনগর, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড, ধোলাইপাড়, বংশাল, গুলশান লেক পাড়, বাড্ডার সাঁতারকুলসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক ও অলিগলিতে জলাবদ্ধতার চিত্র দেখা যায়।
গত শনিবার থেকে ঢাকার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। থেমে থেমে চলছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, কখনও মুষলধারে হচ্ছে। বৃষ্টিতে ভ্যাপসা গরম কিছুটা কমলেও জলাবদ্ধতায় সৃষ্টি হয়েছে ভোগান্তি।
হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতেই মিরপুরের বেশিরভাগ এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। হাঁটুপানি পেরিয়ে কাজে যাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। মিরপুরের বাসিন্দা তানিশা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সকালে আমার ছোট বোনের এইচএসএসি পরীক্ষা ছিল। বাসা থেকে বের হয়ে দেখি রাস্তায় হাঁটুপানি। ৪০ টাকার রিকশাভাড়া নিলো ১০০ টাকা। ৩০ মিনিট বাড়তি সময় নিয়ে বের হয়েও জ্যামের কারণে কেন্দ্রে পৌঁছাতে সমস্যা হয়েছে।
বেড়েছে মশার উপদ্রব
বৃষ্টির এই কয়দিনে বেড়েছে মশার উপদ্রব। ডিএনসিসির ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কামাল উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, অলিগলিতে পানি জমে যেমন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে, তার চেয়েও বেশি ভোগান্তি হচ্ছে মশা বাড়ায়। সিটি করপোরেশন থেকে আগে নিয়মিত মশক নিধনের ওষুধ দেওয়া হলেও এখন তা হচ্ছে না।
বাড্ডার সাঁতারকুল এলাকার বাসিন্দা মোক্তার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এই এলাকায় যেন মশার উৎপাদন করা হচ্ছে। ডিএসসিসি মাঝে-মধ্যে মশার ওষুধ ঠিকই দেয়, কিন্তু যেখানে মশার জন্ম নেয় সেখানে ওষুধ দেয় না। পাশের সুতিভোলা খালও ময়লা-আবর্জনায় পূর্ণ। নোংরা পানির দুর্গন্ধ বাসা পর্যন্ত আসে। বৃষ্টিতে ওখানকার সব মশা এখন চলে এসেছে বাসাবাড়িতে।
ডিএসসিসি’র ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আকরাম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এখন আর এই এলাকায় মশার ওষুধ দেওয়া হয় না। দুই বাসার মাঝখানে ফাঁকা জায়গায় যেখানে মানুষ চলাচল করতে পারে না, সেসব জায়গা আবর্জনায় একাকার। সেখান থেকেই মশার জন্ম। দিনের বেলায়ও মশার কারণে রুমে থাকা যায় না। আমার রুমমেটের ১০৩ ডিগ্রি জ্বর, ডেঙ্গু পজিটিভ হয়ে এখন হাসপাতালে।
পুরান ঢাকায় গ্যাসের তীব্র সংকট
বৃষ্টির এই কয়েক দিন পুরান ঢাকার বাসিন্দারা গ্যাস সংকটেও ভুগছেন। বাংলাবাজার, কলতাবাজার ছোট মসজিদ এবং বড় মসজিদ, কাজী আব্দুর রউফ লেন, হাজী আব্দুল মজীদ লেন, রোকনপুর, রসের গলি, ৫ ভাই ঘাট লেন, দক্ষিণ মুহসেন্দী, রায় সাহেব বাজার, বানিয়ানগর, টং মার্কেট, ধোলাইখাল, বংশাল, নবাবপুর, নাজিরাবাজার, নন্দলাল দত্ত লেন, উর্দু রোড, ডাইলপট্টি, বকশীবাজার, ছুরিটোলা, কুলুটোলাসহ বিভিন্ন জায়গায় গ্যাস সংকটের অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী।
পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের বাসিন্দা আসমা বেগম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সারা দিন বাসায় কোনও গ্যাস থাকে না। রাতে গ্যাস আসে, তাও ১২টার পরে। ২-৩ ঘণ্টা থাকার পর আবার নিভু নিভু হয়ে যায় চুলা। বৃষ্টির আগেও এই সমস্যা ছিল, এখন একটু বেশি হচ্ছে।
গ্যাস সংকটের বিষয়ে তিতাসের অপারেশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. সেলিম মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, পুরান ঢাকার গ্যাসের লাইনগুলো অনেক পুরনো। তাছাড়া শীত আর বর্ষায় গ্যাস সরবরাহের সময় লাইন পুরনো হওয়ায় কিছুটা সমস্যা দেখা দেয়। পুরনো গ্যাসলাইন নতুন করে প্রতিস্থাপন করার জন্য একটা প্রজেক্ট নেওয়া হচ্ছে, যা চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এটা বাস্তবায়ন হলে পুরনো লাইন পরিবর্তন করে নতুন লাইন দেওয়া হবে। তখন সাধারণ মানুষ গ্যাস সমস্যা থেকে স্বস্তি পাবেন।
ওয়াসার পানিতে বেড়েছে দুর্গন্ধ
রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজের পেছনে কলতাবাজার লবণের গোডাউন সংলগ্ন একটি উন্মুক্ত লাইন থেকে ওয়াসার পানি সংগ্রহ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এছাড়াও আশপাশে মেসের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এখান থেকে পানি নেন। হঠাৎ করেই সেই পানিতে বেড়েছে দুর্গন্ধ। নাকের কাছেই আনা যাচ্ছে না সেই পানি। একই সমস্যা আশপাশের বাসাবাড়ির লাইনের পানিতেও।
কলতাবাজারের বাসিন্দা সৌদিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, খাওয়া তো দূরের কথা, রান্নায়ও এই পানি ব্যবহার করতে ঘেন্না লাগছে। পরে ওয়াসার বুথ থেকে পানি এনেছি। আজ সেটাও ভালো ছিল না। পানিতে গন্ধের কারণ কী জানতে চাওয়ার পর ওয়াসার বুথের কেউ কোনও কথা বলেনি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আফরান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা মেসের সবাই লাইনের পানি ব্যবহার করতাম। কিন্তু এই দুদিন পানি নাকের কাছেই নেওয়া যাচ্ছে না। উপায় না দেখে দোকান থেকে কিনে পানি খাওয়া লাগছে।
পানিতে দুর্গন্ধের কারণ জানতে ঢাকা ওয়াসার দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তাকে কল দিয়েও তাদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
জলাবদ্ধতার বিষয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের বরাত দিয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আমাদের টিম সর্বাত্মক কাজ করছে। যেখানে পানি জমাট বেঁধে আছে সেখানেই আমাদের কর্মীরা গিয়ে দেখে ম্যানহোলের ঢাকনায় পলিথিন আটকে আছে। ড্রেনেও একগাদা প্লাস্টিক। মূলত এসব কারণে পানি স্বাভাবিকভাবে যেতে পারছে না। আমাদের কাছে ফোন আসামাত্রই টিম জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে।
মশার উপদ্রব বাড়ার বিষয়ে তিনি জানান, মশক নিধনে প্রত্যেক ওয়ার্ডে নিয়মিত স্প্রে করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া আছে। নগরবাসী কিন্তু এতদিন মশক নিধন কার্যক্রমের সুফল পেয়েছেন। আর সিটি করপোরেশন কিন্তু এখন আবার অভিযান পরিচালনা শুরু করেছে। যেখানে বা যে স্থাপনায় ময়লা আবর্জনা বা এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়, তাদের জরিমানা করছে।
👇Comply with extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com
POCO continues to make one of the best funds telephones, and the producer is doing…
- Commercial - Designed for players and creators alike, the ROG Astral sequence combines excellent…
Good garments, also referred to as e-textiles or wearable expertise, are clothes embedded with sensors,…
Completely satisfied Halloween! Have fun with us be studying about a number of spooky science…
Digital potentiometers (“Dpots”) are a various and helpful class of digital/analog elements with as much…
Keysight Applied sciences pronounces the enlargement of its Novus portfolio with the Novus mini automotive,…