Categories: Bangladesh News

বিকল্প অর্থনীতি ও গ্রাম্য কায়কারবার


কারবারি ব্যবসায়ের আবডালে লুকিয়ে থাকা বিপ্লবী মজিদ রাড়ী। একসময় সেও বিপ্লবের স্বপ্ন দেখেছিল। ভেবেছিল ফুল ও ফলে টইটুম্বুর হয়ে উঠবে পেয়ারাবাগান। বিপ্লব সফল না হওয়ায় যারা বিপন্ন হতে বসেছিল সে তাদের একজন না হলেও কোনোমতে জীবন বাঁচিয়ে কারবারি ব্যবসায় এখন সুপ্রতিষ্ঠিত। মোবারেক মোল্লার চাতালের অনেকে তার পূর্ব জীবনে খবর জানলেও এসব নিয়ে তাদের বিশেষ মাথাব্যথা নেই। চাতালে বিপ্লবী আর শত্রুপক্ষ একাকার হয়ে সকলের এখন অভিন্ন পরিচয়—কারবারি। হালে বিপ্লব কেবল গল্পকথা। তবে চাতালের নয়া কারবারি রিংকু আকনের আগমন ও আগমন পরবর্তী দিলীপের বৌয়ের সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন পুরোনো বিপ্লবকে ফের জাগিয়ে তুলল। আর বিপ্লব জেগে উঠলে একইসূত্রে মজিদ রাড়ীর উপায় নেই না জেগে। তবে রিংকুর জন্য বিস্ময়ের বিষয় হল, সে ঘুণাক্ষরেও মজিদ রাড়ীর বিপ্লবী রূপ আন্দাজ করতে পারেনি। রিংকুর চোখে এই মজিদ রাড়ীর বিপ্লবী হিসেবে ঠাওর না হওয়ারও যথেষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যাবে। মজিদ রাড়ীর চলনবলন, কথাবার্তা, পোশাক-পরিচ্ছদ আর মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক অতি সাধারণ দশজন লোকের চেয়ে বিশেষ ফারাক কিছু নয়। রিংকুর কাছেও সে ধরা দিতে চায়নি। নিতান্ত বাধ্য হয়ে প্রকাশিত হল তার রূপ। প্রেম ও বিপ্লবের কবলে পড়ে রিংকুর হাবুডুবু দশা দেখে সে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এসে এখন রিংকুর সম্মুখে তার আলগা বসন উদোম হওয়ার জোগাড়। এদিকে জীবনে সিকি শতাব্দী পাড় হয়ে এই প্রথম রিংকুর মনে হল এখনও অনেক কিছু তার জানার বাইরে রয়ে গেল। চেনা মানুষকেও চিনতে পারেনি সে। অতি পরিচিত মানুষকেও নতুন করে চেনার থাকে। জানার থাকে। সে যে পৃথিবীর আলো বাতাসে এতদিন বেড়ে উঠেছে—তার বাইরেও এক বিরাট পৃথিবী অবস্থান করে। এতদিন সে নিজেকে জানলে-ওয়ালা মনে করলেও তার অহংবোধ নিমিষে গুঁড়িয়ে দিল মজিদ রাড়ীর ভিতরের রূপ। পুরোনো ঘটনাবলি উন্মোচন করতে গিয়ে মজিদ রাড়ীর এই কায়া বদল রিংকু আকনের মনে বিপ্লব সম্পর্কে গভীর ছাপ তৈরি করল। এখন বিপ্লবীকালের ঘটনাবলি জানতে হলে মজিদ রাড়ীই তার একমাত্র ভরসাস্থল। অন্যকেউ তাকে এত যত্ন করে বিপ্লবের গল্প বলতে আগ্রহ দেখাবে না। দিলীপের বৌ বিষ্ণু তো তাকে এভাবে বলবে না, বলতে চাইবেও না। বিষ্ণুর হৃদয়ের গভীরের ক্ষত বুঝতে হলেও তো তাকে এসব ঘটনাবলির বিষয়-বৃত্তান্ত জানতে হবে।

বর্ণনার আতিশয্যে মনে হল মজিদ রাড়ী রিংকুকে নিয়ে এক গভীররাতে ফের পেয়ারাবাগানে ফিরল। মজিদ রাড়ীর বর্ণনা স্পষ্ট, তীক্ষ্ণ ও বৃষ্টির ফোটার মতো ধারালো। তার বর্ণনায় প্রতিটি শব্দ কোনো এক শিকারি সারসের চঞ্চু হয়ে খুবলে তুলছে পরিণত ফলের শরীর। সেখানে চারিদিকে বৃষ্টি। বাগানজুড়ে ভারি শব্দ। বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটাকে গুলির আওয়াজ বলে সন্দেহ হয়। মনে হয় এইতো কিছুক্ষণ আগে বিস্ফোরিত বারুদ থেকে ধোঁয়া উড়ে গেছে, এখনো রয়েছে গেছে চাপা উত্তাপ। ঝাঁঝালো গন্ধ। সজাগ কান গিয়ে আটকায় পাতার ফাঁকে ফাঁকে। মিলেমিশে ক্যামেরার মতো লেন্স হয়ে আছে অজস্র পাতা, সেই লেন্সের ভিতর দিয়ে দেখা যাচ্ছে সুদূরের দৃশ্য, একের পর এক দৃশ্যের বদল। খালের কিনারে নুয়ে পড়া পেয়ারার ডালে সম্ভাবনার সঙ্গে মিশে আছে তীব্র অনিশ্চয়তা, এই এর পরেই কী ঘটতে চলছে—যেন কেউ কিছু জানেনা। জলের ক্রমাগত ছুটে চলায়, শ্রাবণের আস্ফালনেও এই ছবি ছড়িয়ে গেছে চতুর্দিক। প্রথমে পেয়ারাবাগানে থাকা বিপুল অস্ত্রের ভাণ্ডার উন্মুক্ত করে রিংকুকে মজিদ রাড়ী দেখাল। শুরুতে সে বলল, বিপ্লবী অস্ত্র ভাণ্ডার তিনভাগে বিভক্ত আছিল। প্রথম ভাগে আছিল মজুদ অস্ত্রশস্ত্র। মাটির নিচে থাকা সুরক্ষিত বাংকারে রাখা ওইছিল সেইসব অস্ত্র। প্রথমে গর্ত খুইড়া সেইহানে পোড়া ইট, চুন আর সুড়কি দিয়া সুড়ঙ্গ করা ওইছিল। তার ভিতরে ভারি সিন্ধুকে রাখা অইছিল অস্ত্র। সিন্দুকের চাবি গচ্ছিত আছিল বিশ্বস্ত এক কমান্ডারের আতে। কেউ চেনেনা কে সেই কমান্ডার। সিন্দুকের ভিতরে তাকে তাকে আলাদা আলাদা অস্ত্র। এমনকি পেয়ারাগানে প্রশিক্ষণরতরাও এইসব অস্ত্রের খোঁজখবর জানত না। কেবল যার যার জানার কতা তারাই জানত। সেই কমান্ডার।

মজিদ রাড়ীর এই কঠিন কথা শুনে অবাক না হয়ে পারল না রিংকু। সে জিজ্ঞেস করল, গোপনের ভিতরে গোপন সেই জিনিস? বিপ্লবের প্রশিক্ষণ নিতে আইসাও জানল না কোতায় কোন অস্ত্র থাকে? রিংকুর কথায় মজিদ রাড়ী অবাক হলনা। সে বুঝতে পারল রিংকুর কোনো বিপ্লবী পূর্বাভিজ্ঞতা নেই। যে দল লোকচক্ষুর আড়ালে দিনের পর দিন কার্যক্রম চালিয়ে বিপ্লব ঘটাতে চায়, জোগাড় করে সৈন্যসামন্ত, গোলাবারুদ—এমন কোনো দলের সঙ্গে সে কোনোদিনও উঠাবসা করেনি। মজিদ রাড়ী যেন এখন একজন বিপ্লবী কমান্ডার। তার হাতে নাঙ্গা তলোয়ার, কোমরা বন্দুক। আর রিংকু তার নবাগত কর্মী। অবুঝ আর আবেগপ্রবণ হৃদয় তার। এমন অর্বাচীন কর্মীর কথায় ভুল অনুসন্ধান করা চলে না। সে ধৈর্যসহকারে রিংকুকে বুঝাল, বলল, এইডাই বিপ্লবী কৌশল। বিপ্লবী কোনো সিদ্ধান্তই সবাইরে একলগে জানান অয় না। তাতে অনেক রিকস থাহে। কেউ পুলিশের আতে ধরা পড়তে পারে, কেউ দুশমনি কইরা শত্রুপক্ষের লগে আত মিলাইতে পারে, বিপ্লবীগো মধ্যেও কেউ কেউ সরকারের চর হইয়া মিশা থাকবার পারে। এইগুলা সবই সম্ভাবনা, এমন হওয়ার সম্ভাবনা নাই বইলাই ধইরা নেওয়া যায়। সাবধানের মাইর নাই—এইকতা বিপ্লবের ক্ষেত্রে বেশি প্রযোজ্য। একটা অপারেশনের আগে আর অপারেশনের সময় যতবেশি সাবধানতা অবলম্বন করা যায় তত নির্ভুলভাবে অপারেশন সফল করা সম্ভব। একথা বলে মজিদ রাড়ী যেন একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাল।

বিভিন্ন এলাকা থেইকা সংগ্রহ কইরা আনা দেশি-বিদেশি অস্ত্র ভান্ডারে জমা করা ওইছিল। দেশের আঞ্চলিক পরিচালকরা এইসব অস্ত্রশস্ত্রের সংগ্রহ ও মজুদ করার কাজ সমন্বয় করছিল। হোনেন, কীভাবে এইসব অস্ত্রশস্ত্র দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেইকা পেয়ারাবাগান পর্যন্ত আইসা পৌঁছাইল এইডা আরেকটা মজার ঘটনা। একদিকে তো বিপ্লবের গন্ধ পাইয়া, পুলিশ, পুলিশের চর, জোতদার আর মজুদদারের দল কান খাড়া কইরা রাখছে, দিকে দিকে লোক লাগাইছে, আরেকদিকে চলল প্রকাশ্য অভিযান। এতসবের ভিতর দিয়া, সগলের চোখ ফাঁকি দিয়া পেয়ারাবাগান আইসা পৌঁছাইত অস্ত্র আর গোলাবারুদ। এমন এক বৃষ্টির দিনে গোলাবারুদের এক চালান আসা জরুরি অইয়া পড়ল। প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে গোলাবারুদের মজুদ নিশ্চিত না কইরা তো আর অভিযান পরিকল্পনা ফাইনাল করা যায় না। বিপ্লবীরা চাইয়া আছে চালান কহন আইসা পৌঁছাইব। বিপ্লবী দলের কাছে খবর আছে চালান ঘাট পর্যন্ত আইসা পৌঁছাইছে। কিন্তু পুলিশি পাহারা আর অনুচরের যন্ত্রণায় কোনোভাবে নদীতে গোলাবারুদ তোলা যাইতেছিল না। পরে বহুকষ্টে বুদ্ধির জোরে গোলাবারুদ নদীতে নামানো অইল। শেষমেশ নদী-খাল হয়ে চালান ঢুকল পেয়ারাবাগানে।

মজিদ রাড়ীর মুখে বুদ্ধির জোরের কথা শুনে রিংকুর কান সজাগ হয়ে গেল। সে নড়েচড়ে বসল। গল্প এমন একটি স্থানে এসে থেমেছে যেন পরের পৃষ্ঠা না পড়লে চলে না। রিংকু বলল, কী সেই বুদ্ধি, যে বুদ্ধির জোরে গোলাবারুদ নদী পার হয়? রিংকুর চোখেমুখে আর কণ্ঠে আগ্রহ দেখে মজিদ রাড়ী আরো তেজোদ্দীপ্ত হয়ে উঠল। সে বলল, দক্ষিণের দ্যাশে বৃষ্টির মৌসুমে নদী-নালা, খাল-বিল, ফসলের জমি পানিতে ডুইবা থাহে। পানি ছাড়া চাইরদিকে তো আর কিছু থাহে না। এমনিতে পানি আর পানি, তার উপর জোয়ারে সেই পানি আরো বাড়ে। চাষবাস সব লাটে উঠই বইসা থাহে। বাড়িতে ফল-ফসল নাই, হাটেও নাই। মানুষ খালি ব্যাগ আতে নিয়া ঘরে ফেরে। এই অবস্থা থেইকা রেহাই পাওয়ার লেইগ্যা একদল বুদ্ধিমান কৃষক জমিতে ভাসমান কায়দায় বিছানা তৈয়ার করছে। হেই স্থানে চাষ অয় সব ধরনের শাক-সবজি, মসলা আর কত কী। চাষাভুষারা এই বিছানারে কয় বেড। ইংরেজি কয়। হা হা হা।

মজিদ রাড়ী ফের বলল, নদীতে বর্ষাকালে কচুরিপানার আনাগোনা বেশি থাহে। এক রাইশ কচুরিপানা, ছোট পানা, শ্যাওলা, আগাছা, ধানের বিচালি আর পচা ময়লা জমা কইরা লম্বা ভাসমান বেড তৈরি করা অয়। এই মেড মজবুত করার লেইগ্যা মধ্যখানে দেওয়া অয় দুই-তিনডা লাম্বা বাঁশ। কয়েকদিনের মধ্যে জমা করা কচুরিপানা পঁচতে শুরু করে। কচুরিপানার বেড রেডি অইয়া গেলে তার উপরে তোশকের মত কইরা বিছানো হয় বিভিন্ন পদের ঘাস ও আগাছা। তার উপরে চাদর হিসাবে বিছানো অয় নারিকেলের ছোবড়া ও স’মিল থেইকা বাইর অওয়া গাছের গুড়ি। এইভাবে বিশ-পঁচিশ আত লাম্বা আর তিন আত চওড়া বিছানা রেডি।

আস্ত্র আর গোলাবারুদ খালাসে পুলিশ ঝামেলা করতে পারে এই আভাস বিপ্লবী দলের আগেই আছিল। এইডা অবশ্য কোনো বড় অনুমান না। পুলিশ ঝামেলা না করার তো কোনো কারণও নাই। পুলিশের কাজই তো বিপ্লবী কাজে গোলযোগ বাধান। আপনে বিপ্লব করবেন আর পুলিশ আপনেরে যত্ন-আদ্দি কইরা ঘরে তুলব তা তো অইতে পারে না। নিরাপদে অস্ত্র ও গোলাবারুদ পৌঁছায়ে দেওয়ার টিমে দুইজন বিপ্লবী কৃষকরে আগেই নিয়োগ করা অইছিল। তারা বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে আষাঢ় মাস আওনের লগে লগে নদীতে বেড পাইতা রাখছে। পানিতে ভাইসা থাকা কচুরিপানার ফাঁকে ফাঁকে গভীর আর ঘন ঘন জায়গা রাখছে। পানিতে যেমন কইরা কচুরিপানা ভাইসা থাহে প্রথমে তেমন কইরা কচুরিপানা সাজাইল তারা। তার মধ্যে পাশাপাশি তিনডা বাঁশ রাখল। মজবুত সুতলি দিয়া বাঁধল সেই বাঁশ। ছাদ বানাইলে যেমন ভিতরে রড দেওয়া অয় তেমন কইরা। তার উপরে এবার উল্টো কইরা কচুরিপানা দেওয়া অইল। পাতা নিচে, শিকড় উপরে।

এমন মজবুত কইরা বেড বান্ধা অইল যে, নদীর ঢেউ, জোঁয়ার-ভাটার স্রোতে বা ঝড়-বৃষ্টি যেন বেডের ক্ষয়ক্ষতি করতে না পারে। এই বেড চাষ আর আবাদের উপযোগী হইতে মাসখানেক সময় লাগে। সেই সময় তারা পাইছিল। তাগো কাছে সিগন্যাল যাওনের পর তারা সেই বেডের গভীর গর্তগুলার মধ্যে লতাপাতা প্যাঁচানো অস্ত্র আর গোলাবারুদ রাখল। এবার বেডের উপরে লাউ চারা, সিমের চারা আর হলুদের চারা বোনা হল। চারাগুলা ৫-৬ ইঞ্চি পরপর এমনভাবে রোপণ করা অইল যেন দূর থেইকা মনে অয় সবুজ একটা লম্বা বিছানা। সবজির ভাসমান এই বেডে এসব চারার ফাঁকে ফাঁকে আরো দেওয়া অইল ঢেঁড়শ, টমেটো, বেগুন ও কলমিশাকের চারা। যত্ন কইরা গুইজা দেওয়া অইল সব।

সকালবেলা আল্লাহর নামে বিপ্লবী দুই কৃষক ভাই শাক-সবজির বেড গাঙ্গে ভাসাইল। খুব ভোরে গাঙ্গে নামার আগে নিজেগো গায়ের গামছা জমিনে বিছাইয়া তারা দুইজন দুই রেকাত নফল নামাজ পইড়া নিল। নামাজ পড়ল ক্যান, জানেন? রিংকু না সূচক মাথা ঝাঁকালো। এই বিশেষ সময়ে নামাজের মর্ম সে বুঝতে পারল না। মজিদ রাড়ী বলল, কোনো বড় কাজে নামার আগে নামাজ পড়লে আল্লাহর রহম পাওয়া যায়। বলতে পারেন তার কাছ থেইকা সিগনালও পাওয়া যায়। অনেক সময় এমন অয় যে—আপনে সিদ্ধান্ত নিতে পারতেছেন না, কি করবেন—হেই সময় এই নামাজ খুব কাজে দেয়। যাইহোক, নামাজের পিছনে আরেকটা কারণও আছিল। যদি তারা ধরা পড়ে তাইলে তো জানে শ্যাষ। হয়ত লগে লগে গুলি, নয়তো জেল, তারপর সাক্ষাৎ ফাঁসির দড়ি। এইসব ভয়-ডর পিছনে ফেলাইয়া তারা গাঙ্গে নামল। একজন বেডের সামনে একজন পিছন দিকে। দুইজনের আতে দুইডা বড় বাঁশ। লগি ঠেলতে ঠেলতে তারা নদী পাড় অয়। যেহানে ঠাই নাই হেইস্থানে ওই লগি দিয়া পানি পিছনে ঠেলে। গান গায়, মুখে হাসিখুশি ভাবভঙ্গি বজায় রাহে, যেন কেউ কিছু ধরতে না পারে, বুঝতে না পারে। পাশ দিয়া নাও যায়। নাওয়ের মাঝি জিগায়, এত বৃষ্টিতে বেড ভাসাইলা ক্যান মিয়া, দৌল্লা সব পচন ধরব, ভাদ্দুর মাসে ভাসাইতা। বিপ্লবী কৃষক হাসে। হাইসা কয়, যে চারা গাড়ছি তাতে পচন ধরবার উপায় নাই মাঝি, বড্ড শক্ত চারা, পিছনের দিকে থাকা কৃষক কইয়া ওঠে, হ, ঠিক কইছে, গোরা মেলা শক্ত।

মাঝির নৌকা দূরে মিলাইয়া যায়। আকাশ ফাইট্টা যেন বৃষ্টি ঝরতেছে, বৃষ্টি থামার কোনো লক্ষণ নাই। সবাইর চোখ ফাঁকি দিয়া বেড নদী থেইকা খালে ঢুইকা পড়ে। একেবারে বিপ্লবের দুয়ারে।

চলবে


👇Observe extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com

Uncomm

Share
Published by
Uncomm

Recent Posts

That is the POCO X7 Professional Iron Man Version

POCO continues to make one of the best funds telephones, and the producer is doing…

9 months ago

New 50 Sequence Graphics Playing cards

- Commercial - Designed for players and creators alike, the ROG Astral sequence combines excellent…

9 months ago

Good Garments Definition, Working, Expertise & Functions

Good garments, also referred to as e-textiles or wearable expertise, are clothes embedded with sensors,…

9 months ago

SparkFun Spooktacular – Information – SparkFun Electronics

Completely satisfied Halloween! Have fun with us be studying about a number of spooky science…

9 months ago

PWMpot approximates a Dpot

Digital potentiometers (“Dpots”) are a various and helpful class of digital/analog elements with as much…

9 months ago

Keysight Expands Novus Portfolio with Compact Automotive Software program Outlined Automobile Check Answer

Keysight Applied sciences pronounces the enlargement of its Novus portfolio with the Novus mini automotive,…

9 months ago