সরকারবিরোধী রাজনীতিকরা তাদের ঐক্য নিয়ে নিজেদের প্রতি ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য দিয়েছেন। বিএনপির ইফতারে তারা পরস্পর-পক্ষের নাম উচ্চারণ না করেই আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্টজনদের জন্য দলটির আয়োজিত ইফতারে বিএনপি, জামায়াত, নাগরিক ঐক্যসহ সমমনাবিরোধী দলগুলোর নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
ইফতারে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কঠিন সময় অতিক্রম করছি। ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী শক্তি গোটা জাতির ওপর, আমাদের সব আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধূলিসাৎ করে দিয়ে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার তৎপরতা চালাচ্ছে। আমাদের সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার। গণতন্ত্র যারা চাই, যারা কল্যাণমূলক দেশ চাই, তাদের অবশ্যই ৩১ দফাকে সামনে রেখে আন্দোলন করতে হবে। এক দফা আন্দোলন যে শুরু করেছিলাম, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তার শেষ করতে হবে।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘৭ জানুয়ারি, তার আগে ও এখন পরিস্থিতির বস্তুগত কোনও পরিবর্তন হয়নি। রাজনৈতিকভাবে মানুষ সংঘবদ্ধ। এই লড়াইয়ে জিততে হবে, মানুষের মধ্যে এই বোধ বেশি। আরও বেশি ঐক্য করে, আরও বেশি আন্দোলনে যাবো। এই হোক আজকের শপথ।’
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘গোটা জাতি জুলুমের শিকার। আমরা যেন আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখতে পারি, হে মাবুদ তুমি আমাদের শক্তি জোগাও। এই সংগ্রামে ভেদাভেদ বা বিরোধ নয়, মানুষের মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ লড়াই করি আসুন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের একটি পর্যায় অতিক্রম করেছি। আমরা একনায়কতন্ত্রের সরকারকে বিদায় দেবো। আমরা ঐক্যে বিশ্বাস করি। জাতিকে আমরা ঐক্য করে, ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো।’
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘আমরা গভীর সংকটে আছি। আন্দোলন সফল হয়েছে। জনগণ ভোট বর্জন করেছিল। কৌশল ও নীতিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলে এই সরকার হটাবো।’
সমমনা জোটের নেতা খন্দকার লুৎফুর রহমান তার বক্তব্যে ভারতের সমালোচনা করেন। তিনি দাবি করেন, ইফতারও করতে দিচ্ছে না সরকার।
বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘কে ডান, কে বাম, কে মধ্য, এখন তা দেখার সময় নয়। একসঙ্গে রাজপথে মিছিল করবো। গুটি কয়েকজনের জন্য পারিনি। তাদের আমরা চিহ্নিত করেছি। আমাদের বিভাজনের চেয়ে ঐক্যের রাজনীতি করতে হবে।’
শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় বিএনপির ইফতারে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা নেছারুল হক। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পদের দায়িত্বশীলরা।
ইফতারে অন্যান্য দলের মধ্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, চরমোনাইয়ের পীরের রাজনৈতিক উপদেষ্টা আশরাফ আলী আকন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণফোরাম একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদউদ্দিন মাহমুদ, এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের একাংশের সভাপতি নুরুল আমিন বেপারী, জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণঅধিকার পরিষদ (নুর) এর সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, আরেক অংশের আহ্বায়ক কর্নেল অব. মশিউজ্জামান, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুনুর রশিদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম ও লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান অংশগ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৯ মার্চ) হোটেল সোনারগাঁওয়ে জামায়াতের ইফতার ও হোটেল আমারিতে এবি পার্টির ইফতার। উভয় অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব থাকবে বলে দলীয় সূত্র জানায়।
POCO continues to make one of the best funds telephones, and the producer is doing…
- Commercial - Designed for players and creators alike, the ROG Astral sequence combines excellent…
Good garments, also referred to as e-textiles or wearable expertise, are clothes embedded with sensors,…
Completely satisfied Halloween! Have fun with us be studying about a number of spooky science…
Digital potentiometers (“Dpots”) are a various and helpful class of digital/analog elements with as much…
Keysight Applied sciences pronounces the enlargement of its Novus portfolio with the Novus mini automotive,…