বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে গত ৫ আগস্ট। জুলাইয়ের প্রথম থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। ওই মাসের ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একমাস-পূর্তিতে আন্দোলনের সংগঠক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। এ সময় এই সরকারের কাছে নিজেদের প্রত্যাশা এবং মতামত তুলে ধরেন সংগঠকরা।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি কার্যালয় ‘শাপলা’য় বেলা ১১টা থেকে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়, যা চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। এতে ১৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।
সরকারি হাসপাতালের অনিয়মের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আন্দোলনের সমন্বয়ক ও এক নারী মেডিক্যাল শিক্ষার্থী বলেন, যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে, রোগীদের যাতে হেনস্তা না হতে হয়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমরা চাই, চিকিৎসা সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা হোক। যেখানে শুধুমাত্র চিকিৎসক না, রোগীদেরও সেবা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, সিভিল সার্ভিস, জুডিশিয়ারি সার্ভিসের মতো বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিসের অধীনে সব মেডিক্যাল শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের যদি এর অধীনে আনা যায়, তাহলে অনেক স্বচ্ছতা ও সেবার মান বৃদ্ধি পাবে।
দেশের মেধাপাচারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের চেয়েও মেধাপাচার ভয়ংকর। মেধা পাচার না হলে প্রতি বছরই দুই-একজন ড. ইউনূস বের হতো। বিদেশি পিএইচডি করতে যাওয়াদের দেশে ফিরিয়ে এনে পলিসি লেভেলে নিয়োগ দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
মব জাস্টিস নিয়ন্ত্রণ করার অনুরোধ করে এক নারী সমন্বয়ক বলেন, এই মুহূর্তে প্রধান কাজের মধ্যে এটি একটি। মব জাস্টিস যদি সমাজের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে যায় এবং কুচক্রী মহল এই দুরবস্থার সুযোগ নিয়ে আমাদের ভেতর প্রবেশ করে— তাহলে এই ঐক্য নষ্ট করার চেষ্টা করবে। তাই এ বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
আন্দোলন রাজনীতির অংশ উল্লেখ করে আরেক নারী সমন্বয়ক বলেন, এ রাজনীতিটা ক্যাম্পাসের বাইরে থাকবে। সবার রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে, সেটা শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থী হোক। সেটা থাকবে চায়ের চুমুকে। পাঠদানের সময় তিনি শুধুই শিক্ষক। কোনও ট্যাগধারী ছাত্র ও শিক্ষককে ক্যাম্পাসে দেখতে চাই না।
ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ করেন এক সমন্বয়ক। তিনি বলেন, ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ব্যাপার বন্ধ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা এখনও সঠিকভাবে চালু হয়নি। তা দ্রুত চালুর দাবি করেন এ সমন্বয়ক। শিক্ষা ব্যবস্থায় আরও বেশি জিডিপি বরাদ্দ দেওয়ার দাবি করেন তিনি।
আরেক সমন্বয়ক বলেন, যে রক্ত ঝরেছে তার ঋণ শোধ করার দায় আমাদের কাঁধে। এ দায়িত্ব পালনে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এ দায়িত্ব পালন করতে পারলে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আমাদের স্মরণ করবে। আমাদের দায়িত্বের গুরুত্ব ও ভার বুঝতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের তরুণ সমাজ ও ছাত্রদেরকে দায়িত্ব পালনে উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবেন। আমাদের সংগ্রাম চলমান থাকবে।
শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ চিন্তায় অনড় থাকার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘যে যতই পরামর্শ দিক না কেন, এটা থেকে বেরিয়ে আসবে। সে পরামর্শ তোমরা গ্রহণ করো না। তোমাদের চিন্তাই স্বচ্ছ ও সঠিক— এটা মুঠো থেকে ছাড়বে না। যদি আমরা এ স্বপ্ন থেকে দূরে সরার কোনও কাজ করি, স্মরণ করিয়ে দেবে। আমাদের কারও কোনও ইচ্ছা নেই— এ স্বপ্ন থেকে বাইরে যাওয়ার। এ স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা আমাদের সার্বক্ষণিক কাজ।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ভুলক্রমে আমরা যদি সীমা অতিক্রম করি, তাহলে আমাদের সঙ্গে সঙ্গে জানাবে। এ শপথ নিয়ে আমরা সবাই একত্র হলাম। যারা আজকে উপস্থিত হতে পারে নাই, তাদের জানিয়ে দিও— আমরা একযোগে, একসঙ্গে এ কাজে নামলাম। এটাকে সফল করবো।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্ম থেকে ৫৩ বছরে এ সুযোগ আর আসে নাই। যে সুযোগ তোমরা আমাদের দিয়েছো। এ সুযোগ যেন হাতছাড়া না হয়। এ সুযোগ হাতছাড়া হলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ থাকবে না। এটা কোনও রাষ্ট্র আর থাকবে না। এটা যেন শুধু রাষ্ট্র নয়, পৃথিবীর সম্মানিত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। যেহেতু তরুণরা এটার ঢাল ধরেছে। এ কারণে এটা ইউনিক, অন্যন্য দেশ আমরা তৈরি করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘দুনিয়ার মানুষ তোমাদের কাছে শিখতে আসবে। তোমাদের নিয়ে যাবে— বলবে কী মন্ত্র দিয়ে এটা করেছো? এ মন্ত্রটা তারা শিখতে আসবে। সে মন্ত্রটা তোমরাও টের পাচ্ছো না, এটা কীভাবে আসলো? কিন্তু একটা বিরাট মন্ত্র তোমরা আবিষ্কার করেছো। সেটাকে ধরে রাখবে। এ মন্ত্র যদি শিথিল হয়ে যায়— তাহলে আমাদের কপালে অশেষ দুঃখ আছে। সেই দুঃখ যেন আমাদের দেখতে না হয়।’
মতবিনিময় সভায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়াকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
আরও পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ চিন্তায় অনড় থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
👇Observe extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com
POCO continues to make one of the best funds telephones, and the producer is doing…
- Commercial - Designed for players and creators alike, the ROG Astral sequence combines excellent…
Good garments, also referred to as e-textiles or wearable expertise, are clothes embedded with sensors,…
Completely satisfied Halloween! Have fun with us be studying about a number of spooky science…
Digital potentiometers (“Dpots”) are a various and helpful class of digital/analog elements with as much…
Keysight Applied sciences pronounces the enlargement of its Novus portfolio with the Novus mini automotive,…