মিরপুরের সনি সিনেমা হলের সামনে যানজটে আটকে পড়া গাড়ি থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ঈহা অবাপ্তির। ঘটনাটি জানুয়ারি মাসের শেষ দিকের। এই ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন ঈহার বাবা আনোয়ার পারভেজ। ঘটনার প্রায় তিন মাস পেরিয়ে গেলেও সেই মোবাইল ফোন এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। আনোয়ার পারভেজ জানান, প্রায় ৫০ হাজার টাকা দাম ছিল মোবাইলটির। তার চেয়ে বড় বিষয় হলো— মোবাইলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল। এ কারণেই মোবাইলটি উদ্ধারের জন্য মামলা দায়ের করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ তিন মাসেও সেটি উদ্ধার করতে পারেনি। এমনকি পুলিশের পক্ষ থেকে আপডেট কোনও তথ্যও জানানো হচ্ছে না।
ভুক্তভোগীরা জানান, মোবাইল ফোন এখন মানুষের জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ। যোগাযোগের অন্যতম প্রধান উপকরণ ছাড়াও অনেকেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই বহুমাত্রিক কাজ করে থাকেন। ব্যবসায়িক হিসাব-নিকাশ, গুরুত্বপূর্ণ নথি সংরক্ষণ, ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্তও সংরক্ষণ করা হয় মোবাইলে। অনেকে মোবাইল ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যও করে থাকেন। কিন্তু মোবাইল খোয়া যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তা উদ্ধারে আগ্রহ দেখায় না। বড় বড় ঘটনায় ব্যস্ততা দেখিয়ে মোবাইল খোয়া যাওয়ার বিষয়টি পাত্তাই দেওয়া হয় না।
পুলিশ সদর দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সারা দেশে মোবাইল হারানোর ঘটনায় ২৯ হাজার ৫৫৩টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নথিভুক্ত হয়েছে। এছাড়া মামলা হয়েছে ১৮টি। হারানো মোবাইলের সংখ্যা ২৯ হাজার ৭১১টি। জানুয়ারি মাসে মাত্র ৬ হাজার ৫৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ৬ হাজার ৮৪৩টি মোবাইল হারানোর জিডি ও ১৭টি মামলার ঘটনায় ৮৫৫টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় ২ হাজার ৩৭২টি মোবাইল হারানোর জিডির ঘটনায় ৩২৪টি মোবাইল উদ্ধার, খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকায় ৩১৬টি জিডির ঘটনায় ৫৮টি মোবাইল উদ্ধার, রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকায় ২২৪টি মোবাইল হারানোর জিডির ঘটনায় ৩৮টি মোবাইল উদ্ধার, বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় ১৬৯টি মোবাইল হারানোর জিডির ঘটনায় ৭১টি মোবাইল উদ্ধার, সিলেট মেট্রোপলটন এলাকায় ৬১৮টি মোবাইল হারানোর জিডির ঘটনায় ৪৬টি মোবাইল উদ্ধার, রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় ১৬০টি জিডির ঘটনায় ৭টি মোবাইল উদ্ধার, গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় ১ হাজার ৭৫টি জিডির ঘটনায় মাত্র ৬৪টি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা রেঞ্জে ৫ হাজার ১৮৯টি মোবাইল হারানোর জিডির ঘটনায় মাত্র ৯০০টি মোবাইল উদ্ধার, চট্টগ্রাম রেঞ্জে ৪ হাজার ৪১৬টি মোবাইল হারানোর জিডির ঘটনায় মাত্র ৯৭৯টি মোবাইল উদ্ধার, খুলনা রেঞ্জে ১ হাজার ৫২১টি জিডির ঘটনায় ২৯৯টি মোবাইল উদ্ধার, রাজশাহী রেঞ্জে ২ হাজার ২৬৯টি মোবাইল হারানোর জিডির ঘটনায় ৭৯৯টি মোবাইল উদ্ধার, বরিশাল রেঞ্জে ৬১২টি জিডির ঘটনায় ২২১টি উদ্ধার, সিলেট রেঞ্জে ১০৪৫টি জিডির ঘটনায় ৩০১টি মোবাইল উদ্ধার, রংপুর রেঞ্জে ১ হাজার ৩৫৫টি জিডির ঘটনায় ২৮৮টি উদ্ধার, ময়মনসিংহ রেঞ্জে ১ হাজার ২৪৮টি জিডির ঘটনায় ৪০২টি মোবাইল উদ্ধার ও রেলওয়ে রেঞ্জে ১৬২টি জিডি এবং একটি মামলার ঘটনায় ৫টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মোবাইল খোয়া যাওয়ার ঘটনাগুলোর বেশিরভাগই ছিনতাই বা চলতি পথে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরাও অনেক সময় ঝামেলা এড়াতে সরাসরি মামলা করতে চান না। আবার থানায় গেলে পুলিশও মামলা না নিয়ে হারানোর জিডি করতে পরামর্শ দিয়ে থাকে। এছাড়া অনেকেই মোবাইল খোয়া যাওয়ার পর মামলা বা জিডিও করতে চান না। মামলার ক্ষেত্রে খোয়া যাওয়া মালামাল উদ্ধার, আদালতে অভিযোগপত্র বা চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকে। কিন্তু জিডির ঘটনায় এরকম কোনও বাধ্যবাধকতা না থাকায় মোবাইল উদ্ধার করা হয় না।
পুলিশ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় মোবাইল খোয়া যাওয়া এবং উদ্ধারে পুলিশের অনীহার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। ওই সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘মোবাইল হারানোর সংখ্যাকে যদি সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়— তাহলে সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। মোবাইল হারানোর যে পরিমাণ জিডি করা হয়েছে— তার তুলনায় সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধে রুজুকৃত মামলার সংখ্যা খুবই কম।’ মোবাইল হারানোর বিষয়ে দায়েরকৃত জিডি বা রুজুকৃত মামলা বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি।
পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, ওই সভায় মোবাইল উদ্ধারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। হারানো মোবাইল উদ্ধার ও চোরাই মোবাইল বিক্রির স্থান চিহ্নিত করে অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অবশ্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, আগে চুরি বা ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনগুলো মোবাইলের দোকানে বিক্রি করা হতো। সেই দোকান থেকে সেগুলো আবার সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করা হতো। কিন্তু প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ সেসব মোবাইলের অবস্থান ও ব্যবহারকারীকে শনাক্ত করে উদ্ধার করতো। এখন দামি ফোনগুলোর পার্টস খুলে বিক্রি করা হয়। এজন্য চুরি বা ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার কম হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, তারা সম্প্রতি কয়েকজন ভারতীয় নাগরিকসহ একটি চক্রের বেশ কয়েকজকে গ্রেফতার করেছিলেন, যারা দেশে চুরি বা ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনগুলো পাশের দেশে নিয়ে বিক্রি করতো। আর পাশের দেশে চুরি বা ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন বাংলাদেশে এনে বিক্রি করতো। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার সীমান্ত দিয়ে চোরাই মোবাইলগুলো এপাড়-ওপাড় করা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আজহারুল ইসলাম মুকুল জানান, একটি চুরি-ছিনতাই বা হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধার আর একটি খুনের মামলা ডিটেকশন করতে প্রায় একই সময় লাগে। যেহেতু বড় অপরাধের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য বেশি চাপ থাকে, এজন্য মোবাইল হারানোর জিডি বা মামলাগুলো একটু কম গুরুত্ব পায়। তবে মোবাইল হারানোর জিডি বা মামলা যদি হয়— আর যদি সেটি খোলা থাকে, তাহলে অবশ্যই তা উদ্ধার করা যাবে।
👇Comply with extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
POCO continues to make one of the best funds telephones, and the producer is doing…
- Commercial - Designed for players and creators alike, the ROG Astral sequence combines excellent…
Good garments, also referred to as e-textiles or wearable expertise, are clothes embedded with sensors,…
Completely satisfied Halloween! Have fun with us be studying about a number of spooky science…
Digital potentiometers (“Dpots”) are a various and helpful class of digital/analog elements with as much…
Keysight Applied sciences pronounces the enlargement of its Novus portfolio with the Novus mini automotive,…