দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাব, নির্মাণসামগ্রী আনা-নেওয়ায় ভারী যানবাহন চলাচলসহ নানা কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর অবস্থা বেহাল। বিভিন্ন সড়কের কার্পেটিং উঠে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। ধুলা-ময়লা জমে হয়ে পড়েছে চলাচলের অনুপযোগী। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। যাতায়াতে অসুবিধার পাশাপাশি যানবাহনেও অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় রাস্তা ঠিক করা যাচ্ছে না। তবে বারবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ালেও কাজ শেষ হচ্ছে না। কবে নাগাদ শেষ হবে, তা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ভারী মালবাহী ট্রাকগুলো ক্যাম্পাসে প্রবেশ করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে কয়েকটি সড়ক। তাই রিকশা ও অটোতে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়। কয়েকটি রাস্তার অবস্থা এখন এমন; হাঁটারও অবস্থা নেই। শুষ্ক মৌসুমে মাত্রারিক্ত ধুলাবালুর কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন তারা। অন্যদিকে বর্ষাকালে কর্দমাক্ত সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, নির্মাণসামগ্রী বহনকারী ভারী ট্রাক চলাচলের ফলে মাদার বখশ হলের সামনে এবং বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের সামনের সড়ক দুটির বিভিন্ন স্থানের পিচ উঠে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আবার চারুকলা থেকে স্যার জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন হয়ে খালেদা জিয়া হলের পাশের সড়কও বেহাল। অতিরিক্ত ধুলার কারণে এই সড়কে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে অসুবিধা হচ্ছে। এছাড়া শহীদ হবিবুর রহমান হল থেকে মাদার বখশ হল পর্যন্ত বেশিরভাগ সড়কের অবস্থাও একই। তাছাড়া ক্যাম্পাসের ছোট-বড় প্রায় সব সড়কের পিচ উঠে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শেখ হাসিনা হল, এএইচএম কামারুজ্জামান হল, ১০তলা শিক্ষক কোয়ার্টার, ২০তলা একাডেমিক ভবন, ড্রেন ও শেখ রাসেল মডেল স্কুলসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ শুরু হয়। এরই মধ্যে ড্রেন নির্মাণ, শেখ রাসেল মডেল স্কুল ও অডিটরিয়াম সংস্কারকাজ শেষ হয়েছে। তবে বড় চারটি ভবনের কাজ চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। এতেই তৈরি হয়েছে ভোগান্তি।
পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দফতর সূত্রে আরও জানা যায়, নির্মাণাধীন এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। তবে করোনা মহামারি, এক শিক্ষার্থী ও দুই শ্রমিকের মৃত্যু এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারণে অনেকদিন কাজ বন্ধ ছিল। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় এক দফা প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। তবে এই সময়ের মধ্যে কোনও ভবনেরই নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হবে না বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বেশ কিছু ভবন নির্মাণাধীন আছে। এসব ভবনের মালামাল আনা-নেওয়ার জন্য ভারী ট্রাক চলাচল করতে হয়। সড়কগুলো যদি সাময়িক ঠিক করা হয়, তবে ট্রাক চলাচলে তা আবারও খারাপ হয়ে যাবে। যদি নির্মাণাধীন এসব কাজের মেয়াদ আর না বাড়ে, তবে আমরা শিগগিরই সড়ক এবং ড্রেনের কাজ শুরু করবো।’
নির্মাণকাজ শুরুর আগেই কেন সড়কগুলো সংস্কার করা হয়নি জানতে চাইলে এই প্রকৌশলী বলেন, ‘প্রকল্পগুলো অনেকদিন আগে শুরু হয়েছে। তখন জানা যেতো না ক্যাম্পাসের কোথায় কাজটি হবে। তাই আগে থেকে সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করতে পারিনি। পরবর্তীতে যে কাজগুলো হবে, তখন আর এমন সমস্যা থাকবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়কগুলোর বেহাল দশা নিয়ে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসের সড়কগুলোর বেহাল অবস্থা। বিশেষ করে বিনোদনপুর গেট, হাবিবুর রহমান হল ও মাদার বখশ হলের দিকে সড়ক চলাচলের অনুপযোগী। উন্নয়নকাজের কারণে এসব সড়কের সংস্কারকাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ভোগান্তি আরও বেড়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত অজুহাত না দেখিয়ে এসব কাজের পাশাপাশি সড়কগুলো সংস্কার করা। প্রয়োজনে আলাদা সেল গঠন করে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।’
দুর্ভোগের কথা জানিয়ে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী হাদিউল ইসলাম হাদি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ বছরের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে যে অবকাঠামোগুলো গড়ে উঠছে, তা প্রশংসিত। তবে একে কেন্দ্র করে আশপাশের সড়কের বেহাল দশা আমাদের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। কতদিনে এসব সড়কে দুর্ভোগ পোহাতে হবে জানি না। তবে এগুলো সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে তোলার দাবি জানাই।’
দীর্ঘদিন ধরে মেয়েদের হলের সড়কটি খারাপ ছিল উল্লেখ করে গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তাসমিম তাসফিয়া হক বলেন, ‘কয়েকদিন আগে এটি ঠিক করা হয়েছে। তবে খালেদা জিয়া হলের পাশ থেকে চারুকলা যাওয়ার তুত বাগান সংলগ্ন সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রচণ্ড ধুলায় হাঁটা যায় না। এই সড়কের পিচ কিংবা ইট কোনোটাই নেই। রিকশাতে গেলে অন্য সড়কের তুলনায় বেশি ভাড়া দিতে হয়। সামনে বর্ষা, তখন আবার কাদায় চলাফেরা করা কষ্টকর হয়ে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো, দ্রুত যেন ক্যাম্পাসের সড়কগুলো সংস্কার করা হয়।’
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্ল্যান অনুযায়ী এক এক করে সব কাজের এস্টিমেট করা হচ্ছে। বাজেট এবং অর্থ সবকিছুই দেখা হচ্ছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে সড়কগুলো সংস্কার করা হবে।’
👇Comply with extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
POCO continues to make one of the best funds telephones, and the producer is doing…
- Commercial - Designed for players and creators alike, the ROG Astral sequence combines excellent…
Good garments, also referred to as e-textiles or wearable expertise, are clothes embedded with sensors,…
Completely satisfied Halloween! Have fun with us be studying about a number of spooky science…
Digital potentiometers (“Dpots”) are a various and helpful class of digital/analog elements with as much…
Keysight Applied sciences pronounces the enlargement of its Novus portfolio with the Novus mini automotive,…