‘বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার বিষয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও সারজিস আলম এবং গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মধ্যে আলোচনা হয়। গত ১৮ জুলাই রাত ১০টায় মোবাইল ফোনকল এবং ম্যাসেজের মাধ্যমে এ আলোচনা হয়।’
রাজধানীর সেতু ভবনে ধ্বংসাত্বক হামলার ঘটনায় বনানী থানায় করা মামলায় এক প্রতিবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের পরিদর্শক আবু সাইদ মিয়া এ তথ্য উল্লেখ করেছেন।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে নুরুল হক নুরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আদালতে পুলিশের করা আবেদনে বলা হয়েছে, আসামি ভিপি নুরকে আদালতের নির্দেশনা মেনে নিবিড়ভাবে মামলার ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আসামির জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু সাইদ মিয়া জানান, গত ৫ জুন সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আদালতের রায় হয়। এরপর থেকেই নুর নাহিদ ইসলাম, নাসানাত আব্দুল্লাহ, সার্জিস আলম, আসিব মাহমুদ, আক্তার হোসেন এবং আহনাফদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে গত ১৮ জুলাই রাতে নাহিদ ইসলাম ও সার্জিস আলম সঙ্গে মোবাইল ফোনে এবং ম্যাসেজে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ও বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার আলোচনা হয়।
তিনি আরও জানান, ওই দুই সমন্বয়ক নুরকে দাবি-দাওয়াগুলো ম্যাসেজ করে লিখে দিতে বলে। এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া, ইন্টারনেট সচল করা, ছাত্রলীগ অথবা যুবলীগে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা, স্বরাষ্টমন্ত্রীর পদত্যাগসহ সরকারের পদত্যাগ ইত্যাদি দাবি-দাওয়া লিখে দেয় নুরুল হক নুর। পরের দিন ১৯ জুলাই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য নুর তার নেতাকর্মীদের আহ্বান জানায় এবং বর্তমান সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে অন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানায়। আসামি মামলার ঘটনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে, যা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
এর আগে গত ২১ জুলাই ভিপি নুরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই প্রতিদিনের মতো সেতু ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথারীতি অফিসের কার্যক্রম করতে থাকেন। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অজ্ঞাতনামা ২৫০/৩০০ জন আসামি কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতা করার লক্ষ্যে বেআইনি জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে আমাদের অফিসের সামনে এসে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। সেতু ভবনের সিনিয়র সচিবসহ কর্মকর্তাদের পদ-পদবি উল্লেখ করে খোঁজাখুঁজি করে হুমকি প্রদর্শন ও ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্ঘাতমূলক ভীতি সৃষ্টি করে সেতু ভবন লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।
একপর্যায়ে আসামিরা অফিসের মূল ফটক ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করে সেতু ভবনের নিচ তলায় ভবনের সামনে রক্ষিত জিপ, কার, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ, মোটরসাইকেল, নিরাপত্তা ভবন, সিসি ক্যামেরা, পার্কিং শেড, ক্যানটিন, গাড়িচালকদের কক্ষ, আনসার শেড, মুজিব কনার, জেনারেটরস কক্ষসহ মূল ভবন ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ ঘটায়। এ সময়ে সেতু ভবনের সিনিয়র সচিব ও অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরাসহ ভেতরে থাকা অফিস স্টাফ ও নিরাপত্তাকর্মী আসামিদের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম থেকে সরে যেতে অনুরোধ করলে আসামিরা তাদের মারধর করে ও গুরুতর জখম করে।
এজাহার থেকে আরও জানা যায়, পরবর্তী সময় আসামিরা নিচ তলার আনসার শেড, ড্রাইভার শেড থেকে চেয়ার টেবিলসহ অন্যান্য আসবাবপত্র এবং সেতু ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে নিচতলা হতে ১১তলা পর্যন্ত অফিসে ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে অফিসে রক্ষিত কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ফাইল কেবিনেট, এসি, ফ্যান, পানির ফিল্টার, চেয়ার, টেবিল, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য সরকারি ও ব্যক্তিগত মালামাল সামগ্রী চুরি করে এবং প্রত্যেক ফ্লোরে অগ্নিসংযোগ ঘটায়।
আসামিদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগে সেতু ভবনের নিচতলা হতে ১২ তলা পর্যন্ত ফ্লোরে রক্ষিত পদ্মা সেতু প্রকল্প, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বহুলেন সড়ক টানেল-প্রকল্প, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প সেতু বিভাগের আওতাধীন সব প্রকল্পের প্রধান কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দলিলাদি, এফডিআর ইনস্ট্রুমেন্ট, টেন্ডার সিকিউরিটি ডকুমেন্টস, ইন্টারনেট সার্ভার, শতাধিক কম্পিউটার ও কম্পিউটার সামগ্রী, আসবাবপত্র, কম্পিউটার, জেনারেটর, ফায়ার এক্সটিংগুইশারসহ যাবতীয় নথিপত্র এবং সেতু ভবনের পার্কিংয়ে তা থাকা ৩২টি জিপ গাড়ি, ৯টি পিকআপ, ৭টি মাইক্রোবাস, ১টি মিনিবাস, ৫টি মোটরসাইকেল, ১টি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দিলে ভস্মীভূত হয় আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকার মালামাল। তাৎক্ষণিক বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মারফত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ইউনিটকে সংবাদ প্রদান করা হয়। এ ঘটনায় সেতু ভবনের কেয়ারটেকার রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি মামলা করেন।
নুরের পক্ষে বিপ্লব পোদ্দার জামিন শুনানিতে বলেন, নুর ডাকসুর ভিপি ছিলেন। ২০১৮ সালে কোটা আন্দোলন শুরু হয়। সরকার তখন পরিপূর্ণ স্টেপ নেয়নি। এজন্য আবার ২০২৪ সালে এসে আন্দোলন। তখন নুর কোটা আন্দোলনের নেতা ছিলেন। এজন্য এখনকার সমন্বয়করা তার সাথে যোগাযোগ করেছে। দাবি রাখতেই পারে।
তিনি বলেন, গত ২১ জুলাই নুর আদালত দাঁড়িয়ে ছিলেন। আজ দাঁড়াতে পারছেন না। সেদিন তাকে সুস্থ-সবল অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হলো। আর আজ তার কী অবস্থা! রিমান্ডের নামে কী নির্যাতন করা হলো। নুর ইয়াং লিডার। যদি এমন হয়, তাহলে পরবর্তীতে আর কোনো ইয়াং রাজনীতিতে আসবে না। তিনি পালিয়ে যাওয়ার লোক না। তার জামিন প্রার্থনা করছি।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি
👇Comply with extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com
POCO continues to make one of the best funds telephones, and the producer is doing…
- Commercial - Designed for players and creators alike, the ROG Astral sequence combines excellent…
Good garments, also referred to as e-textiles or wearable expertise, are clothes embedded with sensors,…
Completely satisfied Halloween! Have fun with us be studying about a number of spooky science…
Digital potentiometers (“Dpots”) are a various and helpful class of digital/analog elements with as much…
Keysight Applied sciences pronounces the enlargement of its Novus portfolio with the Novus mini automotive,…