নির্বাচন ও গণতন্ত্রকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে টানাপড়েন তৈরি হয়েছিল, তা মিটিয়ে ফেলতে চায় ওয়াশিংটন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের লেখা চিঠিতে ওই ইঙ্গিত ছিল এবং এরপর বেশ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তাও ঢাকা ঘুরে গেছেন। সবশেষ গত সপ্তাহে ঢাকা সফর করে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু একই ধরনের বার্তা দিয়ে গেলেন।
গত মঙ্গলবার (১৪ মে) দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসেন ডোনাল্ড লু। বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথমবার ঢাকা সফরে এলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের কোনও কর্মকর্তা। ওইদিন বিকালেই ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসায় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকার, শ্রমিক নেতা ও জলবায়ুকর্মীরা অংশ নেন।
ওইদিনই রাজধানীর গুলশানে আমেরিকান ক্লাবে এক আয়োজনে তারকা রাঁধুনি রহিমা সুলতানার সঙ্গে অংশ নেন ডোনাল্ড লু ও বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সেখানে সাদা পোশাকের ওপর নীল অ্যাপ্রোন পরে রান্নাতেও অংশ নেন তারা। ওই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও প্রকাশ করে মার্কিন দূতাবাস। যাতে দেখা যায়, ভিন্নধর্মী এ আয়োজনে বাংলাদেশের ঝালমুড়ি ও ফুচকার স্বাদ নেন তারা। এই দুই মার্কিনি একপর্যায়ে ফুচকা হাতে নিয়ে একসঙ্গে ‘বাংলাদেশের ফুচকাই সেরা’ বলেও মন্তব্য করেন।
পরদিন বুধবার (১৫ মে) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডোনাল্ড লু। ওইদিন বিকালে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে ক্রিকেট আড্ডায় মেতে ওঠেন ডোনাল্ড লু। এমনকি নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে এক প্রীতি ম্যাচেও অংশ নেন তিনি। এছাড়াও ঢাকা সফরকালে ডোনাল্ড লু প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেওয়া এক নৈশভোজে যোগ দেন। তিনি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
যা বলছেন কূটনীতিকরা
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের ডোনাল্ড লু বলেন, ‘বাংলাদেশ সফরে এসে গত দুই দিনে আমি দুই দেশের জনগণের মাঝে পুনরায় আস্থা স্থাপনের চেষ্টা করছি। আমরা জানি, গত বছর বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অনেক টেনশন ছিল। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন (বাংলাদেশে) অনুষ্ঠানে যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলাম। এতে কিছু টেনশন তৈরি হয়েছিল। আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা স্বাভাবিক।’
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে আস্থার যে ঘাটতি তৈরি হয়েছিল, সেটির মিটমাট চায় যুক্তরাষ্ট্র। আমাদের সঙ্গে আলোচনায় এবং সাংবাদিকদের সঙ্গেও এ বিষয়টি পরিষ্কার করেছে ডোনাল্ড লু।’
ভেতরে কী আলোচনা হয়েছে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মোটা দাগে আস্থার সম্পর্ক তৈরির বিষয়ে ওয়াশিংটনের আগ্রহের বিষয়টি তারা পরিষ্কার করেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে আমেরিকানরা অত্যন্ত পরিষ্কার ও স্পষ্টভাবে প্রকাশ্যে তাদের উদ্দেশ্য ব্যক্ত করেছে। একদিকে যেমন তারা দুই দেশের টেনশনের বিষয়টি উল্লেখ করেছে। আবার অন্যদিকে আবার বলেছে তারা পেছনে না তাকিয়ে ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চায়।’
এ মুহূর্তে দুই দেশের সম্পর্কে ‘নতুন বাতাস বইছে’ বলে মনে হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সম্পর্কে টানাপড়েনের বিষয়টি ডোনাল্ড লু স্পষ্ট করে বলেছেন যে—নির্বাচনের সময় তারা গণতন্ত্র, আইনের শাসনসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে তারা যা বলেছিলেন; সেটির কারণে দুপক্ষের মধ্যে টেনশন তৈরি হয়েছিল। এই সম্পর্কটি তারা ঠিক করতে চায়।’
নিজের কূটনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, ‘আমেরিকা দ্রুত কোর্স কারেকশন করে থাকে। তাদের যে জাতীয় স্বার্থ রয়েছে, সেটি অর্জনের জন্য তারা নিজেদের কার্যক্রমকে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়।’
‘লু সরাসরি বলেছেন, তারা অস্বস্তিকর বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবেন এবং সেজন্য তারা ইতিবাচক বিষয়গুলো নিয়েও কাজ করবেন’, বলেন শহীদুল হক।
‘ইন্দো-প্যাসিফিকে জোর’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির একটি বড় ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে কেন্দ্র করে এবং বাংলাদেশেও সেটির প্রতিফলন আছে বলে মনে করেন শহীদুল হক। তার কথায়, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে চিঠি লিখেছিলেন, সেখানে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন—তারা সম্পর্ককে বাণিজ্য ও উন্নয়ন অংশীদারের মধ্যে না রেখে তারা ইন্দো-প্যাসিফিকের কোণ থেকে দেখতে চান। আমরা সেটিরই প্রতিফলন দেখছি।’
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে বেশি গুরুত্ব দেয়। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিরাপত্তার বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চীন একটি বৃহৎ শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ওই ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের যে জোট আছে, সেদিকে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কাসহ অন্যান্য ছোট দেশগুলো যেন কিছুটা সমর্থন দেয়, সে বিষয়টিও প্রচ্ছন্নভাবে এই সফরে তুলে ধরা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে যেটি বলা হয়েছে সেটি হচ্ছে—আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। আগে যা হয়েছে, তা ভুলে আমরা সামনে দেখতে চাই। আমরা দুপক্ষের মধ্যে একটি সমমনা চিন্তাভাবনা দেখতে পাচ্ছি। ভবিষ্যতে কীভাবে এটি বিস্তার লাভ করে, সেটি দেখতে হবে।’
👇Observe extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
POCO continues to make one of the best funds telephones, and the producer is doing…
- Commercial - Designed for players and creators alike, the ROG Astral sequence combines excellent…
Good garments, also referred to as e-textiles or wearable expertise, are clothes embedded with sensors,…
Completely satisfied Halloween! Have fun with us be studying about a number of spooky science…
Digital potentiometers (“Dpots”) are a various and helpful class of digital/analog elements with as much…
Keysight Applied sciences pronounces the enlargement of its Novus portfolio with the Novus mini automotive,…