স্কোর: বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ১১ ওভারে ২৬/২ (সাদমান ৭*, মুমিনুল ০*, হাসান ৪, জাকির ১০)
ভারত প্রথম ইনিংসে ৩৪.৪ ওভারে ২৮৫/৯ ডি., লিড ৫২ (বুমরা ১*; রোহিত ২৩, জয়সওয়াল ৭২, গিল ৩৯, পান্ত ৯, কোহলি ৪৭, জাদেজা ৮, অশ্বিন ১, লোকেশ রাহুল ৬৮, আকাশ দীপ ১২)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৭৪.২ ওভারে ২৩৩/১০ (মুমিনুল ১০৭*; শান্ত ৩১, সাদমান ২৪, জাকির ০, মুশফিক ১১, লিটন ১৩, সাকিব ৯, মিরাজ ২০, তাইজুল ৫, হাসান ১, খালেদ ০)
দ্বিতীয় ইনিংসে ৫২ রানে পিছিয়ে থেকে বাংলাদেশ খেলা শুরু করে। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের জোড়া আঘাতে সফরকারীরা দুই উইকেট হারিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে সফরকারীরা। ২ উইকেটে ২৬ রান তাদের। এখনও ২৬ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
নাইটওয়াচম্যান হাসান বোল্ড
১৮ রানে জাকির হাসানের বিদায়ের পর হাসান মাহমুদ নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ক্রিজে নামেন। দিনের কয়েক বল বাকি থাকতে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের দ্বিতীয় শিকার হলেন তিনি বোল্ড হয়ে। ৯ বলে ৪ রান করলেন তিনি। ২৬ রানে ২ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
জাকিরের বিদায়ে ভাঙলো উদ্বোধনী জুটি
বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি দ্বিতীয় ইনিংসেও দাঁড়াতে পারেনি। ১৮ রানে ভেঙে গেছে জাকির হাসানের বিদায়ে। অষ্টম ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি ১০ রানে। রিভিউ নিয়েও উইকেট বাঁচাতে পারেননি।
২৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা ভারতের
বাংলাদেশকে ২৩৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলাকেই মন্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছিল ভারত। তাতে তারা সফলও হয়েছে। ৮.২২ ওভার প্রতি রান তুলেছে তারা।
তাতে টেস্টে দ্রুততম দলীয় ফিফটি থেকে শুরু করে দ্রুততম আড়াইশ রানের বিশ্বরেকর্ডও গড়েছে। শেষ পর্যন্ত শেষ বিকালে ৩৪.৪ ওভারে ২৮৫ রানে ৯ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে ভারতীয় দল। লিড পেয়েছে ৫২ রানের। ওপেনার যশ্বসী জয়সওয়াল আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে সর্বোচ্চ ৭২ রান করেছেন। তাছাড়া বিরাট কোহলি ৩৫ বলে ৪৭, লোকেশ রাহুল ৪৩ বলে ৬৮ রান করে দলকে এগিয়ে নিতে অবদান রেখেছেন। শুবমান গিলও ৩৬ বলে করেছেন ৩৯ রান।
৪১ রানে চারটি উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। ৭৮ রানে চারটি নিয়েছেন সাকিব আল হাসানও। একটি নিয়েছেন হাসান মাহমুদ।
মেহেদীর চতুর্থ শিকার আকাশ
শেষের উইকেট পতনের মিছিলে দুই ছক্কা মেরে আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টায় ছিলেন আকাশ দীপ। তাকে টিকতে দেননি মিরাজ। খালেদের ক্যাচ বানিয়েছেন ১২ রানে। এটি ছিল মিরাজের চতুর্থ উ্ইকেট।
রাহুলকে ৬৮ রানে থামালেন মিরাজ
সাকিব চেপে ধরায় অপরপ্রান্ত হয়ে পড়ে নড়বড়ে। লোকেশ রাহুলকে শেষ পর্যন্ত ৬৮ রানে থামিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এগিয়ে এসে খেলতে গেলে তাকে স্টাম্পড করেছেন লিটন দাস। রাহুুলের ৪৩ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ২টি ছয়।
অশ্বিনকে ফিরিয়ে চতুর্থ উইকেট তুলে নিলেন সাকিব
ঝড়ো গতিতে খেলতে থাকা ভারতকে তাদের পরিকল্পনায় সফল হতে দিচ্ছেন না সাকিব। দ্রুত সময়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকেও সাজঘরে পাঠিয়েছেন। সাকিবের স্টাম্প ছেড়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন ১ রানে।
মিরাজের শিকার জাদেজা
বিরাট কোহলিকে ফিরিয়ে সাকিবের জুটি ভাঙার পর এবার আঘাত হেনেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এবার নতুন ব্যাটার রবীন্দ্র জাদেজাকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন তিনি। ভারতের ব্যাটার এগিয়ে এসে খেলতে গেলে ব্যাট-প্যাড হয়েছেন ৮ রানে। ততক্ষণে অবশ্য স্কোর হয়ে গেছে ৬ উইকেটে ২৬৯।
কোহলিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন সাকিব
তিন ওভারের মধ্যে গিল-পান্তের উইকেট নিতে পারলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। বরং সুযোগ হাতছাড়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। তার পর আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে চড়াও হন লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহলি। তাদের ব্যাটে ভর করে স্বাগতিক দল ২৮তম ওভারে লিডও নিয়েছে। রাহুল তো ৩৩ বলে তুলে নেন ফিফটি।মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ানো এই জুটি ভেঙেছেন সাকিব আল হাসান। ২৯.১ ওভারে কোহলিকে তিনি বোল্ড করেছেন। তাতে ৪৭ রানে থেমেছেন ভারতের অভিজ্ঞ ব্যাটার। কোহলি স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকা কোহলির ৩৫ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ১টি ছয়ের মার। রাহুল-কোহলি জুটিতে যোগ হয়েছে ৮৭ রান!
রাহুল-কোহলির ব্যাটে ভারতের দ্রুততম দুইশ
বিরাট কোহলি- লোকেশ রাহুলের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ভারত দ্রুততম দলীয় দুইশ রানের রেকর্ডও নিজেদের করে নিয়েছে। তারা দুইশ পূরণ করেছে ২৪.২ ওভারে। পঞ্চম উইকেটে পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে কোহলি-রাহুল জুটি।
আবার জীবন পেলেন কোহলি
২৫তম ওভারে আবারও কোহলি ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তাইজুলের বলে এগিয়ে এসে খেলার চেষ্টা করেন ভারতের অভিজ্ঞ ব্যাটার। কিন্তু ব্যাটে লাগাতে পারেননি। দুর্ভাগ্য তখন স্টাম্পিং করার সুযোগ হাতছাড়া করেছেন লিটন দাস। তখন কোহলি ২৫ রানে ব্যাট করছিলেন।
গিলের পর সাকিবের শিকার পান্ত
আগের ওভারে বিরাট কোহলি জীবন পেলেও পরের ওভারে ঋষভ পান্ত ঠিকই বড় শট খেলতে গিয়ে বিদায় নিয়েছেন। তাতে ১৫৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে ভারতীয় দল। সাকিবের বলে মেরে খেলতে গেলে হাসান মাহমুদের হাতে তালুবন্দি হয়েছেন পান্ত। ভারতের উইকেট কিপার ব্যাটার ১১ বলে ৯ রানে ফিরেছেন।
কোহলিকে রানআউটের সুযোগ হাতছাড়া করলেন খালেদ
টেস্টে দ্রুততম দলীয় ফিফটি, দ্রুততম দলীয় সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ডের পর দ্রুততম দলীয় দেড়শর রেকর্ডও নিজেদের করে নিয়েছে ভারতীয় দল। অবশ্য রেকর্ডের আগে এই ১৯তম ওভারে বিরাট কোহলিকে রানআউটে ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগও হাতছাড়া করেন খালেদ আহমেদ। তখন কোহলি ২ রানে ব্যাট করছিলেন।
বিরতি থেকে ফিরেই গিলকে তুলে নিলেন সাকিব
চায়ের বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হেনেছেন সাকিব। তার বলে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে উঠিয়ে মারতে গিয়েছিলেন শুবমান গিল। শেষ পর্যন্ত বাউন্ডারি লাইনে থাকা হাসান মাহমুদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৩৯ রানে ফিরেছেন। তার ৩৬ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ১টি ছয়। একই ওভারে পান্তকে আউটেরও আবেদন উঠে। বাংলাদেশ রিভিউ নিলেও পেরে দেখা যায় ব্যাট ছুঁয়ে প্যাডে আঘাত করেছে তার।
৯৫ রানে পিছিয়ে থেকে চায়ের বিরতিতে ভারত
বাংলাদেশকে ২৩৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে দ্রুত ছুটছে ভারতীয় দল। চায়ের বিরতিতে যাওয়ার আগেই মাত্র ১৬ ওভারে প্রথম ইনিংসে ২ উইকেটে ১৩৮ রান তুলে ফেলেছে। তারা পিছিয়ে আছে আর ৯৫ রানে।
দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশের পর ব্যাট করতে নেমে ৮.৬২ ওভার প্রতি রান তুলেছে স্বাগতিকরা। শুরুতে যার পেছনে অবদান দুই ওপেনার রোহিত-জয়সওয়ালের। চড়াও হওয়া রোহিতকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন মিরাজ। ততক্ষণে ৩.৫ ওভারে ৫৫ রান স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে। টেস্টের দ্রুততম দলীয় ফিফটির পর জয়সওয়াল ঝড়ে দ্রুততম শতরানের বিশ্বরেকর্ডও গড়ে ভারত। জয়সওয়াল গিলকে নিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ছুটছিলেন। চায়ের বিরতির একটু আগে জয়সওয়ালকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন হাসান। এই জুটিতে যোগ হয়েছিল ৭২ রান। দ্বিতীয় সেশনের শেষ ওভারে সাকিবের ওভারে ঋষভ পান্তও আউট হতে যাচ্ছিলেন। তাকে কট বিহাইন্ডের জন্য আম্পায়ার আঙুল তুললে রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন ভারতের উইকেটকিপার ব্যাটার। স্নিকো মিটারে কোনও পরিবর্তন দেখা যায়নি। দ্বিতীয় সেশন শেষ হওয়ার আগে গিল ৩৭ রানে ব্যাট করছিলেন। পান্ত অপরাজিত ৪ রানে।
জয়সওয়ালকে থামালেন হাসান
অবশেষে আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলতে থাকা ওপেনার জয়সওয়ালকে থামিয়েছেন হাসান মাহমুদ। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ছুটছিলেন তিনি। ৫১ বলে ৭২ রানে থাকা অবস্থায় দারুণ এক ডেলিভারিতে তাকে বোল্ড করেছেন হাসান। জওসওয়াল যখন ফিরছেন, তখন ভারতের স্কোর ১৪.২ ওভারে ১২৭। স্বাগতিকরা দ্রুত গতিতে ছুটছে। জয়সওয়ালের ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও ২টি ছয়ের মার।
দ্রুততম দলীয় শত রানের বিশ্ব রেকর্ডও গড়লো ভারত
টেস্টের দ্রুততম দলীয় ফিফটির পর এবার দ্রুততম দলীয় শতরানের বিশ্ব রেকর্ডও গড়লো ভারত। ১০.১ ওভারেই ভারতের দলীয় স্কোর ছাড়ায় একশ। এর আগে দ্রুততম দলীয় শতরানের রেকর্ডটি হয়েছিল ১২.২ ওভারে। ২০২৩ সালে পোর্ট অব স্পেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেটা করেছিল ভারত। রোহিতের আউটের পর জয়সওয়াল-গিল জুটিও পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে। এই জুটিতে ভর করেই দ্রুত শত রান ছাড়ায় ভারতের স্কোর।
৩১ বলে জয়সওয়ালের ফিফটি
আক্রমণাত্মক রোহিত শর্মা ফিরলেও অপরপ্রান্তে ঝড় ব্যাটিং অব্যাহত রেখেছেন জয়সওয়াল। ৩১ বলে তুলে নিয়েছেন ষষ্ঠ টেস্ট ফিফটি। যা টেস্টে ভারতের চতুর্থ দ্রুততম টেস্ট ফিফটির নজির।
ভারতের বিশ্ব রেকর্ডের পর রোহিতকে থামালেন মিরাজ
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে ২৩৩ রানে অলআউটের পর টেস্ট খেলতে নেমে যেন টি-টোয়েন্টি মেজাজে খেলা শুরু করেন ওপেনার রোহিত শর্মা ও যশ্বসী জয়সওয়াল। ৩ ওভারেই দলীয় ফিফটি তুলে ফেলেন তারা। টেস্ট ইতিহাসে এত দ্রুত দলীয় ফিফটির ঘটনা এবারই প্রথম। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের ওপর চড়াও হন রোহিত-জয়সওয়াল। ৫৫ রানের এই বিপজ্জনক জুটি ভেঙেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার টার্ন করা দারুণ বলে বোল্ড হয়ে রোহিত শর্মা ২৩ রানে ফিরেছেন। তার ১১ বলের ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ৩টি ছক্কা! আগের দ্রুততম দলীয় ফিফটিটি হয়েছিল ৪.২ ওভারে। এই বছরই নটিংহ্যামে সেটা হয়েছিল ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্টে।
অবশ্য আগের ওভারেই লেগ বিফোরে আউট হয়েছিলেন। বাংলাদেশের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দিয়েছিলেন। রোহিত রিভিউ নিয়ে রক্ষা পেয়েছেন। কিন্তু পরের বলে আর শেষ রক্ষা হয়নি।
এই রোহিতকে ১২ রানেই ফেরানো যেত। তৃতীয় ওভারে হাসান মাহমুদের বলে ক্যাচ গিয়েছিল লিটন দাসের কাছে। কিন্তু কেউ আবেদনই করেনি। মিরাজ ইঙ্গিত করলেও তার কথা কেউ আমলে নেয়নি।
বৃষ্টি বিঘ্নিত টেস্টে ব্যাট হাতে একমাত্র নজর কাড়লেন মুমিনুল হক। তার সেঞ্চুরিতে ভর করেই লড়াই করেছে বাংলাদেশ। বাকিরা যোগ্য দিতে পারেননি। তাতে প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে থেমেছে বাংলাদেশ দল। শেষ উইকেট হিসেবে রবীন্দ্র জাদেজা খালেদ আহমেদকে বিদায় দিলে লাল-সবুজদের ইনিংস শেষ হয় ৭৪.২ ওভারে। খালেদের উইকেট নিয়ে টেস্টে তিনশ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন জাদেজা।
সকালের সেশনে একে একে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক, সাকিব ও লিটন। তার পর সপ্তম উইকেটে জুটি গড়েন মুমিনুল ও মিরাজ। এই জুটিতে ভর করেই স্কোর দুইশ ছাড়িয়েছে। লাঞ্চের পর ৫৪ রানের এই জুটি ভাঙতেই প্রতিরোধ দুর্বল হয়ে পড়ে। শুধু প্রান্ত আগলে ১০৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মুমিনুল। তার ১৯৪ বলের ইনিংসে ছিল ১৭টি চার ও ১টি ছয়।
ভারতের হয়ে ৫০ রানে তিন উইকেট নিয়ে সেরা বোলার জসপ্রীত বুমরা। দুটি করে নিয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও আকাশ দীপ। একটি নিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা।
হাসানকেও বিদায় দিলেন সিরাজ
নতুন নামা পেসার হাসান মাহমুদও মুমিনুল হকের সঙ্গী হতে পারলেন না। মোহাম্মদ সিরাজের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ১ রানে ফিরেছেন। তাতে পড়েছে নবম উইকেট। অবশ্য আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রিভিউ নিয়েছিলেন তিনি। যদিও ভাগ্য বদলায়নি তাতে।
তাইজুলের বিদায়ে পড়লো অষ্টম উইকেট
মিরাজের বিদায়ের পর অষ্টম উইকেট পড়তেও সময় লাগলো না। প্রতিরোধ গড়তে পারেননি তাইজুল ইসলাম। জসপ্রীত বুমরার বলে ৫ রানে বোল্ড হয়েছেন তিনি। তাইজুল ছিলেন বুমরার তৃতীয় শিকার।
মিরাজের বিদায়ে ভাঙলো ৫৪ রানের জুটি
চতুর্থ দিনে এখন পর্যন্ত বড় পার্টনারশিপ বলতে মুমিনুল হক-মেহেদী হাসান মিরাজের। লাঞ্চের আগে থেকে প্রতিরোধ গড়ে খেলছিলেন তারা। বিরতি থেকে ফেরে পঞ্চাশ পূরণ করে তাদের জুটি। সম্ভাবনাময় জুটিটি ভেঙেছে মিরাজের বিদায়ে। জসপ্রীত বুমরার বলে খোঁচা মারতে গিয়ে স্লিপে শুবমান গিলের কাছে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তাতে ৪২ বল খেলা মিরাজকে ২০ রানে থামতে হয়েছে। তার বিদায়ে ভেঙেছে ৫৪ রানের জুটি।
মুমিনুলের সেঞ্চুরিতে শেষ প্রথম সেশন
কানপুরে দ্বিতীয় টেস্টে টানা দুই দিন খেলা গড়ায়নি। চতুর্থ দিন খেলা গড়ালেও ব্যাট হাতে শক্ত প্রতিরোধ ছিল না বাংলাদেশের। প্রথম সেশনে বাংলাদেশের তিন উইকেট পতনের বিপরীতে প্রাপ্তি বলতে মুমিনুল হকের সেঞ্চুরি। তার প্রতিরোধেই বাংলাদেশ দুইশ পার করে এগিয়ে চলেছে। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ২০৫ রান। বিরতিতে যাওয়ার আগে ১৭২ বলে ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরির দেখা পান মুমিনুল। তিনি এখন ১০২ রানে ব্যাট করছেন। তার সঙ্গে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ৬*।
বিরতির আগে মুমিনুল ৯৫ রানে থাকা অবস্থায় মোহাম্মদ সিরাজের বলে স্লিপে ক্যাচ উঠেছিল। কিন্তু কোহলি সেটা হাতে নিতে পারেননি।
সকালের শুরুতে মুমিনুল দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রান্ত ধরে রাখলেও অপরপ্রান্ত ছিল নড়বড়ে। একে একে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান। তার মধ্যে শেষ দুটি উইকেট পতনে ভারতের অসাধারণ ফিল্ডারদের কৃতিত্ব।
বৃষ্টির কারণে সময় নষ্ট হওয়ায় বাড়তি সময় যোগ হয়েছিল প্রথম সেশনে। সোয়া দুই ঘণ্টার সেশনে ৩১ ওভারের খেলা হয়েছে। বাংলাদেশ ৯৮ রান যোগ করেছে ৩ উইকেট হারিয়ে।
সাকিবের বিদায়ে বিপদে বাংলাদেশ
রোহিত শর্মার অসাধাণ ক্যাচে ফিরেছেন লিটন দাস। এবার মোহাম্মদ সিরাজের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরলেন সাকিব আল হাসানও। রবিচন্দ্রন অশ্বিন দিনের প্রথম ওভার করতে এসেই সাফল্য পেয়েছেন। যার মূল কৃতিত্ব অবশ্যই সিরাজের।
এগিয়ে এসে বিলাসী শট খেলার চেষ্টা করেছিলেন টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়া সাকিব। তার ওপর ছিল না হাতের নিয়ন্ত্রণ। ব্যাট থেকে একহাত ছুটেও যায়। বল অনেক উপরে উঠে যাওয়ার পরও সেটা হাতছাড়া হতে দেননি সিরাজ। শরীর যথেষ্ট বাঁকিয়ে এক হাতেই ক্যাচ নেন তিনি। তাতে ১৭ বল খেলা সাকিব ৯ রানে বিদায় নিলে দিনের প্রথম সেশনেই বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ।
রোহিতের অসাধারণ ক্যাচে ফিরলেন লিটন
মুমিনুল হক প্রান্ত ধরে খেললেও সঙ্গীদের পক্ষ থেকে যোগ্য সমর্থন পাচ্ছেন না। লিটন দাসই যেমন ওয়ানডে মেজাজে খেলতে গিয়ে বিদায় নিয়েছেন। মোহাম্মদ সিরাজের ৪৯.৪তম ওভারে ডাউন দ্য উইকেটে এসে শট খেলার চেষ্টায় রোহিত শর্মার অসাধারণ ক্যাচে ফিরেছেন তিনি। রোহিত এক হাতে এমন ক্যাচ নিবেন, সেটা প্রত্যাশা করেনি কেউ। লিটনও অবাক হয়ে যান। তাতে ৩০ বলে ১৩ রানে থামতে হয়েছে তাকে।
রিভিউতে বাঁচার পর মুমিনুলের ফিফটি
মুশফিকুর রহিম আউট হলেও প্রান্ত আগলে প্রতিরোধ গড়ে খেলছেন মুমিনুল হক। ৪৬তম ওভারে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ২০তম ফিফটি। তিনি হাফসেঞ্চুরির দেখা পান ১১০ বলে। তার আগের বলে অবশ্য রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন তিনি। মোহাম্মদ সিরাজের বাউন্সারে বল ব্যাটে লেগে শর্ট স্কয়ার লেগ ফিল্ডারের হাতে গেছে ভেবে আউট দেন আম্পায়ার। মুমিনুল রিভিউ নিলে দেখা যায় বল ব্যাটে লাগেনি। শুধু প্যাডে আঘাত করে উপরে উঠেছে।
খেলা যথা সময়ে গড়ালো ঠিকই কিন্তু বাংলাদেশের টেস্ট মেজাজের ব্যাটিংটা দেখা গেলো না। দিনের শুরুতে পাঁচ ওভার পর্যন্তই টিকলেন মুশফিকুর রহিম। আগের ৬ রানের সঙ্গে যোগ করতে পারলেন ৫ রান। জসপ্রীত বুমরার ৪১তম ওভারে শেষ পর্যন্ত আউট হলেন দৃষ্টিকটূভাবে! অফস্টাম্প থেকে বল ভেতরে ঢুকে পড়েছিল। আগের ডেলিভারির মতো বাউন্স আশা করে মুশফিক সেই বল ছেড়ে দিয়ে বিপদ ডেকে আনেন। বল আঘাত করে স্টাম্পে। তাতে ৩২ বল খেলা মুশফিক সাজঘরে ফিরেছেন ১১ রানে।
কানপুরে যথা সময়েই শুরু হচ্ছে খেলা
টানা দুই দিন খেলা গড়ায়নি বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিতীয় টেস্টে। প্রথম দিন শুধু ৩৫ ওভার মাঠে গড়িয়েছে। মাঝে দুই দিন ভেসে গেছে। চতুর্থ দিন অবশ্য যথা সময়েই মাঠে খেলা গড়াচ্ছে। সকাল থেকেই এদিন কানপুরের আকাশে উঁকি দিয়েছে সূর্য। তাই যথা সময়ে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় খেলা গড়াচ্ছে। দুই দলের খেলোয়াড়রাও ওয়ার্ম আপও করেছেন অনেক্ষণ।
কানপুরে বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিনও খেলা পুরোপুরি মাঠে গড়ায়নি। হয়েছে মাত্র ৩৫ ওভার। বিলম্বে হয়েছে টস। প্রথম দিন প্রথম ইনিংসে টস হেরে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০৭ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। ক্রিজে আছেন মুমিনুল হক ৪০* ও মুশফিকুর রহিম ৬*। দ্বিতীয় দিন বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হলেও তৃতীয় দিন খেলা পরিত্যক্ত হয়েছে মাঠ ভেজা থাকায়। তিনদিন সময় নষ্ট হওয়ায় আজ সাড়ে ৫টা পর্যন্ত খেলা গড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
👇Comply with extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com
POCO continues to make one of the best funds telephones, and the producer is doing…
- Commercial - Designed for players and creators alike, the ROG Astral sequence combines excellent…
Good garments, also referred to as e-textiles or wearable expertise, are clothes embedded with sensors,…
Completely satisfied Halloween! Have fun with us be studying about a number of spooky science…
Digital potentiometers (“Dpots”) are a various and helpful class of digital/analog elements with as much…
Keysight Applied sciences pronounces the enlargement of its Novus portfolio with the Novus mini automotive,…