গাজীপুরের একটি বেসরকারি কলেজের শতাধিক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে জোরপূর্বক কলেজ হোস্টেলে থাকার জন্য বাধ্য করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ৩ মাস কলেজের হোস্টেলে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। এটি না মানলে তাকে টিসির হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থেই এই নিয়মটি চালু করা হয়েছে।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গাজীপুর শহরের জোরপুকুর এলাকায় অবস্থিত একটি বেসরকারি কলেজ যার নাম গাজীপুর মেট্রোপলিটন কলেজ। এবারের এইসএসসি পরীক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষার পর যারা একাধিক বিষয়ে ফেল করেছে তাদেরকে পুনরায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এই পরীক্ষার জন্য প্রতিজন থেকে ২০০ টাকা করে ফি নেওয়া হয়৷ পুনঃ পরীক্ষার ফলাফলের পর শুক্রবার অভিভাবকদের ডাকা হয় কলেজে। পরে তাদেরকে জোরপূর্বক ৩টি শর্ত দেওয়া হয়। শর্তগুলো হলো, হোস্টেলে থাকতে হবে আগামী ৩ মাস, অন্যথায় আগামীবছর পরীক্ষা দিতে হবে অথবা টিসি নিতে হবে। জোর করে হোস্টেলের বিষয় চাপিয়ে দেওয়ায় একজন অভিভাবক পুরো বিষয় পুনরায় জানতে চাইলে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন ওই প্রতিষ্ঠানের একজন পরিচালক। পরে জোরপূর্বক হোস্টেলে থাকার জন্য সব অভিভাবকদের অঙ্গীকারনামায় সাইন করিয়ে নেওয়া হয়।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, ৩ মাসের হোস্টেল ফি ২৫ হাজার, ফরম ফিলাপের জন্য ৬ হাজার এবং আগামী আগস্ট মাস পর্যন্ত ৯ হাজার টাকা বেতন পরিশোধ করতে হবে৷ তবে হোস্টেলের পরিবেশ ভালো না, শিক্ষকও তেমন নেই। আর যাদের বাড়ি কলেজের পাশে তাদের কেনো হোস্টেলে থাকতে হবে। জোরপূর্বক বেকায়দায় ফেলে এই টাকাগুলো নিচ্ছে।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য তিন বিভাগের কয়েকশ শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নিলে ১১৯ জনই অকৃতকার্য হয়। এদের আবারও পরীক্ষা নেওয়া হলে ১০০ জন পাস করে এবং ১৯ জন শিক্ষার্থী ফেল করে। ফেল করা শিক্ষার্থীদের টিসি দেওয়া হয়েছে। বাকিরা যেন পাস করে এজন্য হোস্টেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য তাদের খরচ হিসাবে ২৫ হাজার করে টাকা চাওয়া হয়েছে।
নাদিম নামে ওই কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, হুট করে টিসি নেওয়ার আগ মুহূর্তে বলছে অভিভাবক মিটিং। পরে ওই মিটিং এ বলা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা করে দিয়ে হোস্টেলে থাকতে হবে৷ যদি হোস্টেলে ভালো নাও লাগে তবুও টাকা দিতে হবে৷ মূলত এদের টাকা কামানোর এটা পদ্ধতি। যদি পরীক্ষা দিতে নাই দিবে কিংবা হোস্টেলে থাকার বাধ্যবাধকতা থাকবে- তাহলে পরীক্ষা কেনো নিল।
আলিফ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, যারা ফেল করছে তাদেরকে রিটেক পরীক্ষা নিয়ে পাস করিয়েছে৷ পরে তাদেরকে বলা হয়েছে হোস্টেলে থাকতে হবে। হোস্টেলে থাকলেই ফরম ফিলাপ করাবে এবং পরীক্ষা দিতে দিবে, না হলে পরীক্ষা দিতে দিবে না। বিষয়টি হচ্ছে পরীক্ষার আগে কলেজ কর্তৃপক্ষের বড় অংকের টাকা কামানোর ধান্ধা। হোস্টেল ফি, ফর্ম ফিলাপ ও আগস্ট পর্যন্ত বেতন মিলিয়ে শিক্ষার্থী থেকে প্রায় ৪০ হাজার করে টাকা উঠাবে। আমরা প্রতিবাদ করেও লাভ হচ্ছে না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই কলেজের এক শিক্ষার্থী কলেজের এসব অনিয়ম নিয়ে পোস্ট করে। পরবর্তীতে কলেজের এক শিক্ষিকা ওই পোস্ট ডিলেট করতে বলেন। যদি না করা হয় তাহলে কলেজ হতে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়৷
মাহি নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট হওয়ার ১ দিন পরে আবারও ফেল করা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছে। সেখান হতে ১০০ জন পাস করছে এবং ১৯ জন ফেল করছে। ফেল করা শিক্ষার্থীদের টিসি দিয়ে দিয়েছে। বাকিদের অভিভাবক ডেকে এনে অঙ্গীকার নিয়েছে হোস্টেলে থাকার জন্য এবং প্রত্যেকে ২৫ হাজার দিতেই হবে। তাহলে যাদের বাসা কাছে তারা কেন হোস্টেলে থাকবে৷
কলেজের অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা ১০০ জন শিক্ষার্থীর পূনঃপরীক্ষা নিয়ে যোগ্য বিবেচনা করেছি, বাকি ১৯ জনকে টিসি দিয়েছি। আমাদের গর্ভনিং বোর্ডের সিদ্ধান্ত হচ্ছে এদের পাস করিয়ে আনতে হবে৷ আমরা ভেবে দেখলাম বাহিরে যদি প্রাইভেট পরে তাহলে প্রতি সাবজেক্টে মিনিমাম ১ হাজার করে লাগবে তাদের। তাহলে হিসাবে দাঁড়ায় ৩ মাসে ১৮ হাজার। এজন্য আমাদের সিদ্ধান্ত হলো আমরা পড়াবো শিক্ষক দিয়ে এজন্য তিনমাসে ১০ হাজার টাকা করে নিব। এবং আমাদের হোস্টেলে রাখবো এজন্য ৩ মাসে ১৫ হাজার এই মোট ২৫ হাজার। এটি শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্যই করেছি। এ সিদ্ধান্ত যদি কারও ভালো না লাগে তাহলে তাদের পথ খোলা আছে, আজ রাত ১২ টা পর্যন্ত সময় আছে টিসি নিয়ে অন্য কলেজে পরীক্ষা দিবে। অথবা ভালো প্রস্তুতি নিয়ে আগামী বছর পরীক্ষা দিবে।
এবিষয়ে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবিদা সুলতানা বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
POCO continues to make one of the best funds telephones, and the producer is doing…
- Commercial - Designed for players and creators alike, the ROG Astral sequence combines excellent…
Good garments, also referred to as e-textiles or wearable expertise, are clothes embedded with sensors,…
Completely satisfied Halloween! Have fun with us be studying about a number of spooky science…
Digital potentiometers (“Dpots”) are a various and helpful class of digital/analog elements with as much…
Keysight Applied sciences pronounces the enlargement of its Novus portfolio with the Novus mini automotive,…