সাপ্তাহিক ছুটির আগের দিন বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে রাস্তায় নেমে হঠাৎই আটকে যান নগরবাসী। আগারগাঁও, শাহবাগ, রায় সাহেব বাজার মোড়ে রাস্তায় নেমে সড়ক অবরোধ করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা। প্রায় ঘণ্টাখানেক পথে আটকে আছেন হাজার হাজার মানুষ। কেন এবং কারা রাস্তা আটকালো, তার উত্তর নেই বেশিরভাগের কাছেই। তবে কেউ কেউ শুনে এসে অন্যদের জানাচ্ছেন, ‘কোটার দাবিতে পোলাপান পথ আটকাইছে’। গাড়ি থেকে নেমে একটু এগিয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে এক ব্যক্তির প্রশ্ন, ‘কত শতাংশ চান?’ জবাব এলো, ‘কোটা যে চাই না, সেটাই জানেন না? আমরা কোটাবিরোধী, কোটার পক্ষে না। আমরা লড়াই করে জীবন গড়তে চাই। সেই ব্যক্তি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললেন, আমরা তো জানি কোটার দাবিতে পথঘাট বন্ধ হচ্ছে কয়েকদিন ধরে।’
এমন ‘পাবলিক বিভ্রান্তির’ মধ্যেই গত তিন দিন ধরে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর আবহাওয়া মেঘলা। দুপুরে ও বিকালে কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এমন আবহাওয়ার মধ্যেই সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদ ও কোটা প্রথা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এবারের আন্দোলন ও সড়ক অবরোধগুলো হুট করে শুরু হওয়ায় সাধারণ মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়েছে। তারা বলছেন, কোটা তো ২০১৮ তে বাতিল হলো, তাহলে এখন আবার এরা রাস্তায় কেন?
এবার কীভাবে শুরু?
৫ জুন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পরিপত্র (৫ অক্টোবর) জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের রায়-ই আপাতত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল (নিয়মিত আপিল) করতে বলেছেন আদালত। পাশাপাশি মামলার শুনানি মুলতবি রেখেছেন আদালত। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। শুনানিতে আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে বলেন, ‘আপাতত হাইকোর্টের রায় যেভাবে আছে, সেভাবে থাকুক। রায় প্রকাশ হলে আপনারা নিয়মিত আপিল দায়ের করেন, আমরা শুনবো।’
রাস্তায় এখন কোন দাবিতে শিক্ষার্থীরা
উচ্চ আদালত কোটা বহালের রায় দিলে তা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মাঠে নামে। তাদের আরও তিনটি দাবি আছে। মোট চার দফা দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। এরমধ্যে রয়েছে, ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা; পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ব্যতীত); সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
এদিকে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা পুনর্বহাল হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। একই সঙ্গে কোটাপ্রথা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিয়ে এ অবস্থান জানিয়েছেন ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক মো. মোর্শেদ হাসান খান।
পুরোনো-নতুন আন্দোলনকারীরা কী বলছেন
তিন দিন ধরে রাস্তায় অবরোধে অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একজন রাশনা মাহবুব সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা দেখেছি মানুষ কোটা চায়। আমরা কোটার বিরোধিতা করছি, আমরা প্রতিযোগিতা চাই। আমরা আমাদের সক্ষমতায় চাকরি চাই। আজ আপিল বিভাগে শুনানি ছিল, সেখানেও হাইকোর্টের রায় বহাল রয়েছে আমরা জেনেছি। আমরা সরকারের ২০১৮ এর সিদ্ধান্ত পুনর্বহাল চাই, এটা যৌক্তিক আন্দোলন।’
এদিকে কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের নেতা হয়ে ওঠা বর্তমানে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, যেখানে সরকারের নির্বাহী বিভাগের আদেশে কোটা পদ্ধতি বাতিল হয়েছিল। আমি আদালতের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা-আস্থা রেখেই বলতে চাই—২০১৮ সালের আট মাস ধরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফসল ছিল এই সিদ্ধান্ত, আন্দোলন করতে গিয়ে ছাত্ররা জেল-জুলুম, নির্যাতনের শিকার হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণাও দিলেন বাতিলের। এখন এসে একটি মীমাংসিত বিষয়কে আদালত উসকে দেওয়ার কোনও যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে উল্লেখ করে ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সদস্যসচিব ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম গণমাধ্যমকে বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আমরা অনেকের কথা বিবেচনায় নিয়ে সারা দিনের জন্য অবরোধ করছি না। হয়তো কিছু সময় আমরা রাস্তা বন্ধ করছি। কিন্তু আমরা কেবল এক ঘণ্টার আন্দোলনে আসিনি, দাবি আদায় করেই ফিরবো। বাংলাদেশের প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের সঙ্গে একমত— আমরা আর কোটা চাই না।’
👇Comply with extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com
POCO continues to make one of the best funds telephones, and the producer is doing…
- Commercial - Designed for players and creators alike, the ROG Astral sequence combines excellent…
Good garments, also referred to as e-textiles or wearable expertise, are clothes embedded with sensors,…
Completely satisfied Halloween! Have fun with us be studying about a number of spooky science…
Digital potentiometers (“Dpots”) are a various and helpful class of digital/analog elements with as much…
Keysight Applied sciences pronounces the enlargement of its Novus portfolio with the Novus mini automotive,…