রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের এখনও তদন্ত করছে আন্তর্জাতিক আদালত। যুক্তরাষ্ট্র ওই নিপীড়নকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছে। লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আর যারা রাখাইনে রয়ে যায় তারা জান্তার নিপীড়নের মুখে পড়েছে। এখন এই রোহিঙ্গারা নতুন এক হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। এবার মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পরিবর্তনে শক্তিশালী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ উঠছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি হচ্ছে আরাকান আর্মি। ইতোমধ্যে রাখাইন রাজ্যের বিশাল অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা। সম্প্রতি রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে তারা সফলতা পেয়েছে, এসব অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের আবাস। সম্প্রতি মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো অভিযোগ করেছে, রোহিঙ্গাদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করছে আরাকান আর্মি। এমনকি তাদের সম্পত্তি ধ্বংস করছে বিদ্রোহীরা। অনেক ক্ষেত্রে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। অবশ্য আরাকান আর্মি এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
এই জাতিগত উত্তেজনা মিয়ানমারের জটিল জাতিগত চরিত্র ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি হাজির করছে। আরাকান নামে পরিচিত রাখাইন রাজ্যের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাখাইন জাতিগোষ্ঠী মিয়ানমার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চায়। তারা প্রায় সময় রাজ্যে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ আসা অবৈধ অভিবাসী ও দুষ্কৃতকারী হিসেবে মনে করে।
প্রায় ১৫ বছর আগে গঠিত আরাকান আর্মি দাবি করে, তাদের বাহিনীতে প্রায় ৪০ হাজার যোদ্ধা রয়েছে এবং বছরের পর বছর ধরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে আসছে। দেশটির বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে তারা। সামরিক সরকারকে উৎখাত করে চায় এমন গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তারা যোগ দিয়েছে। ২০২১ সালে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল সেনাবাহিনী। সম্প্রতি সশস্ত্র বিদ্রোহী ও গণতন্ত্রপন্থি শক্তির পক্ষ থেকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে জান্তা।
আরাকান আর্মির হাতে রোহিঙ্গাদের নিপীড়িত হওয়ার সাম্প্রতিক খবর নতুন করে নৃশংসতা আশঙ্কা তৈরি করছে। জান্তা দুর্বল হলেও রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না।
বুথিডাংয়ে বসবাস করা ৪২ বছর বয়সী রোহিঙ্গা আং হতায় বলেছেন, আরাকান আর্মির যোদ্ধারা আমাদের নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলেছে। আমাদের শহরে লড়াইয়ের তীব্রতা বেড়েছে এবং ঝুঁকি রয়েছে। আমরা চলে যাব কি যাব না সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বেই আমাদের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।
টেলিফোনে তিনি নিউ ইয়র্ক টাইমসকে এসব কথা বলেছেন। রাতের অন্ধকারে শহরের বিভিন্ন বাড়িতে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হচ্ছে তা জানেন না তিনি।
শহরটির আশেপাশে বসবাস করা অপর ৯জন বাসিন্দা বলেছেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অনেক বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বাসিন্দাদের চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। কারা এই সহিংসতা চালাচ্ছে তা এখনও অস্পষ্ট, তবে আরাকান আর্মির জড়িত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া গবেষক শায়না বাউখনার বলেছেন, আমরা একাধিক মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। তারা বলেছেন যে, যখন ১৭ মে বিস্তৃত অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে তখন বুথিডাংয়ের নিয়ন্ত্রণ ছিল আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের হাতে।
জাতিসংঘও বলেছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী যে-সব এলাকা থেকে পিছু হটেছে সে সব স্থানে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সংঘাতের কারণে হাজার হাজার রাখাইনজুড়ে হাজার হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছেন। কিছু মানুষ প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বাংলাদেশে আগে থেকেই দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বসবাস করছেন।
আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে অতীতে রাখাইন জনগোষ্ঠীর মানুষদের নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছিল। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির এক প্রতিনিধি এমন অপরাধের কথা অস্বীকার করেছেন।
আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইং থু খা বলেছেন, আমরা বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়াতে জড়িত নই। তিনি এসব অগ্নিকাণ্ডের জন্য মিয়ানমার জান্তাকে দায়ী করেছেন। এই বিষয়ে মিয়ানমারের সামরিক কর্মকর্তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বেসামরিকদের জোর করে বাড়ি-ঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য করার অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেছেন আরাকান আর্মির মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, আমরা কখনও কাউকে সরে যেতে বলিনি। কিন্তু যুদ্ধের এলাকা নিরাপদ নয় উল্লেখ করে হয়ত চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকতে পারি।
তবে গোষ্ঠীটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টগুলোতে এমন আন্তরিকতার প্রকাশ কম। আরাকান আর্মির কমান্ডার তয়ান ম্রাত নাইং রোহিঙ্গাদের ‘বন্ধু’ ও ‘নাগরিক’ বললেও তিনি তাদের ‘বাঙালি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। বাঙালি বলার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ অনুপ্রবেশকারী এবং মিয়ানমারে তাদের কোনও অধিকার নেই বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়।
এক্স-এ এক পোস্টে তিনি রোহিঙ্গা অ্যাক্টিভিস্টদের বিরুদ্ধে পৃথক ইসলামি নিরাপদ অঞ্চল গড়তে চাওয়ার অভিযোগ করেছেন। যদিও অ্যাক্টিভিস্টরা এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রোহিঙ্গাদের জোর করে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দিচ্ছে মিয়ানমার জান্তা এবং তাদের রাখাইনের গ্রামগুলোতে বিদ্রোহী বিরোধী অভিযানে পাঠানো হচ্ছে, এমন খবর যখন প্রকাশ হচ্ছে তখন আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ উঠছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মনে করে, ফেব্রুয়ারির পর থেকে এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে জোর করে বাহিনীতে নেওয়া হয়েছে।
নতুন করে ছড়িয়ে পড়া সাম্প্রদায়িক উত্তেজনায় উদ্বিগ্ন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার সতর্ক করে বলেছেন, আরও নৃশংসতার তীব্র ঝুঁকি রয়েছে।
সেনাবাহিনীর ফাঁদে পা না দিতে আরাকান আর্মির নেতৃত্বের প্রতি এক যৌথ বিবৃতিতে আহ্বান জানিয়েছেন রোহিঙ্গা অ্যাক্টিভিস্টরা। তারা অভিযোগ করেছেন, দুই সম্প্রদায়কে একে অন্যের বিরুদ্ধে উসকে দিয়ে সুবিধা নিতে চাইছে জান্তা।
বুথিডাং থেকে নির্বাচিত সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য ইউ অং থাউং সোয়ে বলেছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী এখনও জাতিগত ও ধর্মীয় সংকট তৈরি করতে চাইছে। যখন তারা পরাজিত হওয়ার মুখে থাকে তখন এমন সংঘাত সৃষ্টি করে। আমাদের সতর্ক হতে হবে।
তিনি জানিয়েছেন, তার বাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। কে দায়ী তা তিনি জানেন না।
এখন রোহিঙ্গাদের এমন একটি সংঘাতে কোনও একটি পক্ষকে বেছে নিতে হচ্ছে যাদের কোনও পক্ষই তাদের অধিকারকে সমর্থন করে না। নিজেদের সশস্ত্র গোষ্ঠীও তাদের সন্ত্রস্ত করে রেখেছে। রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের শিবিরে জোর করে তরুণদের দলে ভেড়ানোর অভিযোগ রয়েছে।
মিয়ানমারের প্রখ্যাত মানবাধিকারকর্মী থিনজার শুনলেই ইয়ি বলেছেন, সরেজমিনে পরিস্থিতি হয়ত জটিল হতে পারে। কিন্তু একটি বিষয় একেবারে সহজ: রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করা হচ্ছে।
👇Comply with extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com
POCO continues to make one of the best funds telephones, and the producer is doing…
- Commercial - Designed for players and creators alike, the ROG Astral sequence combines excellent…
Good garments, also referred to as e-textiles or wearable expertise, are clothes embedded with sensors,…
Completely satisfied Halloween! Have fun with us be studying about a number of spooky science…
Digital potentiometers (“Dpots”) are a various and helpful class of digital/analog elements with as much…
Keysight Applied sciences pronounces the enlargement of its Novus portfolio with the Novus mini automotive,…