ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ঠেকাতে এরইমধ্যে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। চাঁদাবাজি, অপহরণ, ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে চলছে কঠোর অভিযান। তবু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অগোচরে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে অপরাধীরা সক্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষ করে এসময় বাণিজ্যিক কিংবা শপিং মল এলাকার অপরাধীরা ওঁৎ পেতে থাকে। সুযোগ পেলেই তারা সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। শুধু তাই নয়, ঈদ মৌসুমে অপরাধী চক্র জাল টাকা ছাড়ানোর পাঁয়তারা করে। এ ব্যস্ত সময়ে কেনাকাটার ভিড়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠে জাল নোটের কারবারিরা। অনলাইনে পেজ খুলে এসব জাল টাকার ডেলিভারি দেয় তারা।
ডিএমপি বলছে, ঢাকা মহানগরের সব এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির তৎপরতা ঠেকাতে মাঠে রয়েছে পুলিশ সদস্যরা। যে নামেই চাঁদা আদায় করুক, সব ধরনের চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া রাজধানীর বড় বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র, শপিং মলে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এসব এলাকা চিহ্নিত করে ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারিও। এমন কড়া নজরদারির মধ্যেও অপহরণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ে লিপ্ত হচ্ছে কিছু চক্র।
সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে সেনাবাহিনীর এক সাবেক সদস্য মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি চক্র ঈদকে টার্গেট করে অপহরণ মিশনে নামে। মাওয়া থেকে ডিবি পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ নিয়ে নরসিংদীর মাধবদী এলাকায় ফেলে যায় তারা। এরপর পুরান ঢাকা হয়ে মুন্সিগঞ্জে ফেরার পথে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চক্রের মূল হোতাসহ চার জনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগ। এ সময় তাদের কাছ থেকে অপহরণে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস, চাপাতি, দা, ডিবি পুলিশ লেখা স্টিকার, সাংবাদিকের পরিচয়পত্র, দড়ি, গামছা, মোবাইল সেট, সুইচ গিয়ার, খেলনা পিস্তল ও হ্যান্ডকাফ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বলছে, মিজান ও তার সহকারীরা মূলত ঈদকে টার্গেট করে অপহরণ মিশনে নামে। অপহরণ করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয় তারা।
তবে তারা এখন পর্যন্ত কতজনকে অপহরণ করেছে– সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। একই দিন সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাত দলের ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১০)। র্যাব জানায়, এরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। রাজধানীর মোহাম্মদপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চুরি ও ডাকাতি করে আসছিল তারা।
এর আগে ২০ মার্চ রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে বাস, পণ্যবাহী ট্রাক থামিয়ে ডাকাতি করার সময় সংঘবদ্ধ আন্তজেলা ডাকাত দলের মূলহোতা হৃদয় ওরফে চাক্কু হৃদয়সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪। সংস্থাটি জানায়, ৭-৮ জনের ডাকাত দল প্রায়শই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ছুরি ও চাকুসহ অবস্থান করে। তাদের টার্গেট বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক বা লরি। গভীর রাতে কিছু যানবাহনের ড্রাইভাররা রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে বিশ্রাম করে। সেই সুযোগে গাড়ির ড্রাইভার-হেলপারকে জিম্মি করে মালামাল ডাকাতি করে আসছিল চক্রটি। এছাড়া ড্রাইভার-হেলপারকে জিম্মি করে মোটা অঙ্কের টাকাও দাবি করে আসছিল তারা। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া ও সাভার মডেল থানায় একাধিক ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি ও মাদক মামলা রয়েছে।
রমজান মাসে কোথায় কোথায় ডাকাতি করবে, তার একটি পরিকল্পনা করেছিল একটি ডাকাত দল। এ জন্য রাজধানীর মগবাজারে হোটেল কক্ষও ভাড়া নিয়েছিল তারা। পরিকল্পনা ছিল চাঁদরাত পর্যন্ত ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করবে। এরপর ঈদে বাড়ি ফিরে যাবে। ৬ মার্চ সকালে মতিঝিল এলাকায় শাহাদাত হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে ডিবি পরিচয়ে আটকায় ওই চক্রের সদস্যরা। ফাইন্যান্স টাওয়ারের অবস্থিত ল ফার্ম এবং মাল্টি অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল ম্যানেজার শাহাদাত তার ক্লায়েন্টের ৭১ লাখ টাকা জমা দেওয়ার জন্য ব্যাংকে যাচ্ছিলেন। ক্যাফে সুগন্ধা হোটেলের সামনে তাকে আটকে গাড়িতে তুলে নিয়ে ৭১ লাখ টাকা, মোবাইল, মানিব্যাগসহ সব কিছু নিয়ে যায় তারা। ওই ঘটনায় ডিবির হাতে গ্রেফতার হয় চক্রের পাঁচ সদস্য। ডিবি বলছে, এই ছিনতাইকারী-ডাকাতরা ইফতার-সেহরির পর বিভিন্ন স্থানে ওঁৎ পেতে থাকে। এ জন্য সেসব স্থানে ডিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়াও বাস, ট্রেন ও লঞ্চে ঢাকায় আসা মানুষদের টার্গেট করে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই করছিল একটি চক্র। চক্রটি রিকশাচালকের ছদ্মবেশে যাত্রী তুলে নিজেদের নির্ধারিত স্থানে নিয়ে পুলিশ পরিচয়ে তল্লাশির নামে ছিনতাই করতো। সম্প্রতি রিকশায় কমলাপুর থেকে পুরান ঢাকার বংশালে যাওয়ার পথে এক ব্যবসায়ীর ছেলে এই চক্রের কবলে পড়ে এক লাখ টাকা খোয়ান।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার ও অতিরিক্ত ডিআইজি লিটন কুমার সাহা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বড় বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র, শপিং মলে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এসব এলাকা চিহ্নিত করে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের টহল টিমসহ বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। ছিনতাই ঠেকাতে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকায় অনেক অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। আমরা বিভিন্ন প্রতিবেদন দেখছি, যেখানে গ্যাপ রয়েছে সেগুলো ধরেও কাজ করছি। আমাদের বড় একটি অংশ সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। ঈদকে ঘিরে যেন কোনও বিশৃঙ্খলা না হয় সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। ঈদে লোকজনের চলাচল বেড়ে যায়। অনেকে আগেভাগে গন্তব্যে পৌঁছাতে চায়। মার্কেটগুলোতে ভিড় হয়। সব কিছু মাথায় রেখে র্যাব নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। ঈদে জালনোটের কারবার যারা করে তাদের ওপর বিশেষ নজরদারি রাখছে র্যাব। র্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক অনলাইনে নজরদারি করছে। এছাড়া চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে র্যাবের বিভিন্ন ইউনিট সড়ক-মহাসড়কে কাজ করছে।
POCO continues to make one of the best funds telephones, and the producer is doing…
- Commercial - Designed for players and creators alike, the ROG Astral sequence combines excellent…
Good garments, also referred to as e-textiles or wearable expertise, are clothes embedded with sensors,…
Completely satisfied Halloween! Have fun with us be studying about a number of spooky science…
Digital potentiometers (“Dpots”) are a various and helpful class of digital/analog elements with as much…
Keysight Applied sciences pronounces the enlargement of its Novus portfolio with the Novus mini automotive,…