বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘোরবিরোধী ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের অ্যাডমিন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি এবার মুখ খুললেন। উপলব্ধি শিরোনামে ফেসবুকে দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়েছেন তিনি। অবশ্য তাতেও খুব একটা ভালো ফল মেলেনি। আওয়ামী সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের কবল থেকে মুক্তিকামী সাধারণ জনতা অভিনেত্রীকে কোনো ছাড় দিচ্ছেন না।
আন্দোলনকারী ছাত্র জনতার গায়ে গরম জল ঢালতে চাওয়া আলো আসবেই গ্রুপের অন্যতম সদস্য শামীমা তুষ্টি তার পোস্টে লিখেছেন, আমি এই মুহূর্তে যা লিখতে যাচ্ছি, আমি জানি, তার জন্য আমি গালি ও ট্রোলের সম্মুখীন হতে পারি। তবুও আমি আমার পজিশন ক্লিয়ার করতে চাই। আমি প্রথমেই বলে নিতে চাই যে আমি একটা রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী। এটার কারণ আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এবং ১৯৬৫ সালে বাবা মালিবাগ আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ছিলেন, তাই আমার বাড়িতে সবসময় এই পরিবেশই ছিল যেখানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে আমি আমার নিজের পক্ষ ভেবেছি। আমার এই পক্ষপাতিত্ব যে ভুল তাও আমি মনে করি না। আমি মনে করি, আমি আমার অংশগ্রহণ ঠিক বিবেচনা করেই করেছি। কিন্তু এই দলের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও আমার নিজের কিছু বিচার-বিবেচনা আছে।
তিনি আরও লিখেছেন, আপনারা সকলেই জানেন কেউ কোনো দলের কর্মী হিসাবে কাজ করে, তখন তার সেই দলের নেতাদের কথামতো কাজ করতে হয়। সেসব দলীয় নির্দেশনার বিপক্ষে গিয়ে কাজ করার পরিস্থিতি থাকে না। এবং আমি তা করতেও চাই না দলের কর্মী হিসাবে। তাই বলে এই হত্যাকাণ্ড, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এই নৃশংসতার আমি সমর্থক নই। এক মিনিটের জন্যও ছিলাম না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে বহু কর্মীই তা ছিলেন না। আমাদের অনেকেরই পজিশন নেয়া দরকার ছিল। অনেক আগেই দরকার ছিল। আমি জানি, আপনাদের অনেকে এই কথাতেও ক্ষুব্ধ হবেন। কিন্তু আশা করি এটা মানবেন যে, আমরা বাংলাদেশে কী ঘটছে তাও জানতে দেরি করেছি। দলীয় রাজনীতির মধ্যেও খবর ফিল্টার হয়।
শামীমা তুষ্টি আরও লিখেছেন, লিখেছেন, যার সন্তান গেছে তার অবস্থা ভেবেছি। প্রতি মুহূর্তে আমি, আমাদের কেউ কেউ, একটা পজিশন নিতে গেছি। সেসব পজিশন কারো না কারো কারণে অন্য আরেকটা পজিশন হয়ে গেছে। আমরা বিটিভিতে গেছি শিল্পীরা সহিংসতা ও ছাত্রদের হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে, করেছেনও, তবে সেটা সংবাদে তেমন করে আসেনি, কিন্তু যা এসেছে তাতে আরও ভুল বোঝার জায়গা তৈরি হয়েছে। তবে যা দেখা গেছে সেটাও ঠিক না তা আমি বলবো না। আমরা হাসপাতালেও আহতদের দেখতে গেছি। আর তখনো আমি সকল কিছু বুঝে উঠতে পেরেছি তেমন না।
পোস্টের মাঝামাঝি অভিনেত্রী লিখেছেন, আমরা যে যাই ভাবি না কেন, দল মূলত কী কী করতে যাচ্ছে বা কী করবে, তা সম্পূর্ণ জানার উপায় আমাদের ছিল না। আমি এসব কথা বলে পক্ষ-বদলের চেষ্টা করছি না। বরং আমার দলের পক্ষে যেসব মারাত্মক ভুল ছিল আমার যে সব বোঝাবুঝি ছিল সেগুলোর কারণে আমার দোনোমনা আর পরিস্থিতির কথা আপনাদের জানাতে এসেছি। আমি একটা সংগঠন করি যেখানে সিংহভাগই এই হিংস্রতা, এই হত্যার সমর্থক নয়। কিন্তু আমাদের কোনো একটা পজিশন কীভাবে নিতে পারি তা ভাবতে ভাবতেই প্রতিদিন আরও নতুন মৃত্যু হয়েছে। প্রতিদিন আরও বেশি করে আপনাদের থেকে দূরে সরে গেছি।
আলো আসবেই গ্রুপের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি একটা হোয়াটসএ্যাপ গ্রুপে ছিলাম। সেখানেও আমি বলেছি যে সকলের সাথে গিয়ে আলাপ করতে হবে। এগুলো বন্ধ করা দরকার। কিন্তু ঘটনা এত দ্রুত ঘটছিল আমি যা সমর্থন করি না তা আপনাদের জানানোর সুযোগ পাইনি। তাছাড়া আমার অনেক সহকর্মীরাও এসবের ভিতরে ছিলেন, পরে হয়তো থাকেননি। তারাও আমাকে অনেক গালাগাল করেছেন তবু আমি বলতে চাই যে আমি আমার সহকর্মীদের জন্য অনেক কিছুই করার চেষ্টা করেছি। এখনো তাই করবো। এছাড়াও আমরা আমাদের সিনিয়র সহকর্মীদের সাথেও যোগাযোগ করতে পরিনি এক সঠিক দিক নির্দেশনার জন্য। সেসব ও আমাকে ভাবিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখনও আপনাদের সামনে এসে কথা বলতে দেরি করেছি। যে ঘৃণার সম্মুখীন আমরা, যে গালাগালি আমি খেতে পারি সেসবের ভয়েই আরও আরও দেরি করে ফেলেছি। কিন্তু আমি নিজেকে বুঝিয়েছি, এইসব সমালোচনা আর গালি আর ট্রোল আমার গ্রহণ করতে হবে। আর সেসবের মধ্য দিয়েই শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে। আপনারা দয়া করে ভুল বুঝবেন না। আমি দলবদলের ইচ্ছা থেকে আসিনি। আমি যে দলে ছিলাম সেই দলের নেতৃবৃন্দের সকল কার্যক্রম যে আমি সমর্থন করি না সেটা জানাতে এসেছি। আমি জানাতে এসেছি আমি দল করলেও নিজের বিচারবুদ্ধি বিবেক-বিবেচনা বিক্রি দিয়ে আমি দল করি না। আমি অনেক দেরিতে আপনাদের সামনে এসেছি। কিন্তু আমার অনুভূতি নতুন নয়। শুরু থেকেই হচ্ছিল।
পোস্টের শেষের দিকে শামীমা লিখেছেন, আমি সত্যি সত্যি ট্রোল-গালির ভয়েই আমি আগে লিখিনি। অনেক ট্রোল আর গালি নেবার মতো মানসিক অবস্থায় ছিলাম না। এখন কিছুটা কিছুটা নিজেকে সংযত করতে পেরেছি। সহ্য করার মতো ধৈর্য আশা করি আমার হবে, আপনাদের সকল কথা নেবার। সেরকম জায়গা থেকেই আমার অবস্থান আমি আপনাদের কাছে পরিষ্কার করলাম। আমি সকলের মঙ্গল কামনা করছি। শহীদদের আত্মত্যাগ যেন বাংলাদেশে বিফলে না যায় সেই প্রত্যাশা করছি। পোস্টের শেষে নিজের নাম ও দিন তারিখ লিখে দিয়েছেন অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, আলো আসবেই গ্রুপে আরও যুক্ত ছিলেন, ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও চিত্রনায়ক রিয়াজ। সেই তালিকায় ছিলেন- সোহানা সাবা, জ্যোতিকা জ্যোতি, অরুণা বিশ্বাস, সুবর্ণা মুস্তাফা, আজিজুল হাকিম, স্বাগতা, বদরুল আনাম সৌদ, শমী কায়সার, তানভীন সুইটি, আশনা হাবীব ভাবনা, শামীমা তুষ্টি, জামশেদ শামীম, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সাজু খাদেম, হৃদি হক, ফজলুর রহমান বাবু, দীপান্বিতা মার্টিন, সাইমন সাদিক, জায়েদ খান, লিয়াকত আলী লাকী, নূনা আফরোজ, রোকেয়া প্রাচী, রওনক হাসান, আহসানুল হক মিনু, গুলজার, নির্মাতা মিলন ভট্টাচার্য, এস এ হক অলীক প্রমুখ।
বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ
👇Observe extra 👇
👉 bdphone.com
👉 ultraactivation.com
👉 trainingreferral.com
👉 shaplafood.com
👉 bangladeshi.assist
👉 www.forexdhaka.com
👉 uncommunication.com
👉 ultra-sim.com
👉 forexdhaka.com
👉 ultrafxfund.com
👉 ultractivation.com
👉 bdphoneonline.com
POCO continues to make one of the best funds telephones, and the producer is doing…
- Commercial - Designed for players and creators alike, the ROG Astral sequence combines excellent…
Good garments, also referred to as e-textiles or wearable expertise, are clothes embedded with sensors,…
Completely satisfied Halloween! Have fun with us be studying about a number of spooky science…
Digital potentiometers (“Dpots”) are a various and helpful class of digital/analog elements with as much…
Keysight Applied sciences pronounces the enlargement of its Novus portfolio with the Novus mini automotive,…