ঈদযাত্রায় টহল-পাহারা থাকবে রেললাইনে
বিগত কয়েকমাস আগে রাজনৈতিক সহিংসতা ও সম্প্রতি কয়েকটি দুর্ঘটনার কারণে এলোমেলো হয়ে পড়েছিল রেল ব্যবস্থা। এতে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। গন্তব্যে পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হয়েছে তাদের। এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় নিরাপদে ট্রেন চলাচলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চার নির্দেশনা দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। নির্দেশনা অনুযায়ী রেললাইনে থাকবে নজরদারি ও টহল।
বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিনিধি 2024-03-25
বিগত কয়েকমাস আগে রাজনৈতিক সহিংসতা ও সম্প্রতি কয়েকটি দুর্ঘটনার কারণে এলোমেলো হয়ে পড়েছিল রেল ব্যবস্থা। এতে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। গন্তব্যে পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হয়েছে তাদের। এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় নিরাপদে ট্রেন চলাচলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চার নির্দেশনা দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। নির্দেশনা অনুযায়ী রেললাইনে থাকবে নজরদারি ও টহল।
গতকাল রোববার (২৪ মার্চ) রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ নিশ্চিত করতে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা রোধে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে সার্বক্ষণিকভাবে টহলের ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা অতি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া রেল দুর্ঘটনায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি, যাত্রী ভোগান্তি এবং ট্রেনের সময়সূচি বিপর্যয়ের কারণে রেলওয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে চারটি নির্দেশনা পালন করা জরুরি।
নির্দেশনাগুলো হলো: ১. ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় রেলওয়ের রেলপথগুলো (ট্র্যাক) ওয়েম্যান ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে দিনে ও রাতে সার্বক্ষণিক পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে। এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য প্রতিটি নিয়ন্ত্রণকক্ষে কর্তব্যরত ওয়েম্যান ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মুঠোফোন নম্বর সংরক্ষণ করতে হবে। ২. প্রয়োজনে মোটর ট্রলি দিয়ে রেলওয়ে পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী এবং জ্যেষ্ঠ উপসহকারী প্রকৌশলীদের অধীন থাকা কর্মীদের সমন্বয়ে টহল দিতে হবে। ৩. স্টেশনমাস্টার, পরিদর্শক ও জ্যেষ্ঠ উপসহকারী প্রকৌশলীরা নিজ নিজ এলাকার রেলওয়ে ট্র্যাক (রেলপথ) সার্বক্ষণিক তদারকি এবং তা নিয়ন্ত্রণকক্ষকে অবহিত করবেন। ৪. প্রত্যেক বিভাগীয় প্রকৌশলীরা টহল কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করবেন।
নিরাপদ যাত্রার জন্য চার ধরনের নির্দেশনা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঈদে সবার যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রেলওয়ে কাজ করছে। আশাকরি এবার ঈদে সবাই নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ৩ এপ্রিল ঈদের বিশেষ ট্রেন চলাচল শুরু হবে। চলবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত। আর ঈদযাত্রার জন্য ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি গতকাল শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস